রঙিন পোশাকে শিশু

আসছে ঈদুল আজহা। এদিকে চলছে করোনাকাল। এরপরও যেহেতু ঈদ, বাড়ির ছোট শিশুদের মন ভালো রাখার জন্য ক্ষুদ্র প্রয়াস তো থাকতেই পারে। নতুন পোশাকে ঈদ, বাড়ির ছোট সদস্যের মুখে হাসি ফোটাতে যথেষ্ট।

বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, ছোট–বড় প্রায় সব ফ্যাশন হাউসেই এখন আছে ছোটদের পোশাকের আয়োজন। ছোটদের পোশাকের ব্র্যান্ড শৈশবের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাকিব চৌধুরী জানালেন, গরমের বিষয়টি মাথায় রেখে এবারে ছোটদের পোশাকে সুতি কাপড়ের ব্যবহার করেছেন তাঁরা। মেয়েদের জন্য এনেছেন হারেম। ত্রিভুজাকৃতি কাটের এই পোশাক শৈশবের বিশেষ সংগ্রহ। এ ছাড়া মেয়েদের জন্য আরও থাকছে টিউনিক ও কুর্তি। জারদৌসি আর অ্যামব্রয়ডারির নকশা থাকছে এসব পোশাকে। ছেলেশিশুদের জন্য থাকছে পাঞ্জাবির আয়োজন। 

এদিকে লা রিভের বিপণন প্রধান আফরিনা হাবিব বলছিলেন, লা রিভের ছেলেদের পোশাকে এবার থাকছে পাফ প্রিন্ট, থ্রি ডি ফ্লোরাল প্রিন্টে প্যাচ ওয়ার্কের ব্যবহার। এ ছাড়া ক্যাজুয়াল টি–শার্ট ও পলো শার্টে থাকছে জ্যামিতিক নকশা এবং অক্ষরের ছাপ। মেয়েদের পোশাকের মজাটা হাতের ছাঁটে। রংবেরঙের পমপমের ব্যবহার থাকছে হাতায়। কোনো কোনো পোশাকের হাতায় থাকছে প্রজাপতির মতো ফ্রিল। মেয়েদের পোশাকে লেসের ব্যবহার এবার বেশি নজর কাড়বে।

ছোট ছেলেদের জন্য নানা ধরনের ক্যাজুয়াল শার্টের আয়োজন আছে সেইলরে। চেক ও বিভিন্ন ছাপের এই শার্টগুলো শিশুদের জন্য বেশ আরামদায়ক। আর মেয়েদের জন্য থাকছে ফ্রিল দেওয়া লেসের পার্টি ফ্রক। এ ছাড়া মেয়েদের বিভিন্ন প্যাটার্নের প্যান্ট আর সালোয়ার পাবেন এখানে।

ঈদের সারা দিন পরে থাকার জন্য আরাম দেবে, এমন সুতি ফ্রকের আয়োজন এনেছে রঙ বাংলাদেশ। ছেলেদের জন্য থাকছে ফ্লোরাল মোটিফের পাঞ্জাবির আয়োজন। রঙ বাংলাদেশের সৌমিক দাস জানালেন, গরমের বিষয়টি মাথায় রেখে শিশুদের পোশাকের উপকরণ হিসেবে সুতিকে প্রাধান্য দিয়েছেন তাঁরা। পোশাকে হালকা রঙের ব্যবহার করা হয়েছে।

ছোটদের পোশাক নিয়ে কাজ করা ডিজাইনাররা জানালেন, এই সময়টায় যেহেতু গরম থাকছে, তাই পোশাকের উপকরণে সুতি কাপড়ের ব্যবহার দেখা যাচ্ছে বেশি। এ ছাড়া ছেলেশিশুদের জন্য পাঞ্জাবির পাশাপাশি ক্যাজুয়াল সুতি শার্ট থাকছে বেশি। ওদিকে শিশুদের বেশির ভাগ সময় বাড়িতেই কাটবে, তাই থ্রি কোয়ার্টার প্যান্ট এনেছে প্রায় প্রতিটি ফ্যাশন হাউস। মেয়েদের ক্যাজুয়াল পোশাক হিসেবে টি-শার্ট আর লেগিংসও এবার বেশি চলবে বলে জানালেন ইনফিনিটির প্রোডাক্ট ম্যানেজার ওবায়দুল আনোয়ার খান।