আপনার প্রশ্ন, চিকিৎসকের পরামর্শ

>স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে প্র স্বাস্থ্য পাতায় প্রতিদিনই প্রচুর প্রশ্ন আসে পাঠকদের কাছ থেকে। সেসব থেকে বাছাই করা প্রশ্ন এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের দেওয়া পরামর্শ নিয়ে সাজানো হয়েছে এবারের প্র স্বাস্থ্যের পুরোটাই। করোনাকালে স্বাস্থ্যগত সমস্যার দরকারি পরামর্শ পেতে কিছুটা হলেও সহায়তা করবে এ আয়োজন।

চর্মরোগ
l দুই বছর ধরে আমার ঘাড়, পিঠ ও বুকের কিছু অংশে ছুলি হয়েছে। এর আগেও দু-তিনবার হয়েছিল। তখন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে শ্যাম্পু ব্যবহার করায় সেরে যায়। কিন্তু আবার ফিরে এসেছে। কী করব?
নাম ও ঠিকানা প্রকাশে অনিচ্ছুক

পরামর্শ: ছুলি আসলে একধরনের ছত্রাকজনিত ছোঁয়াচে চর্মরোগ। আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত কাপড়চোপড় তোয়ালে ও ব্যক্তিগত জিনিসপত্রের মাধ্যমে ছড়ায়। বর্ষা ও গ্রীষ্মকালে অতিরিক্ত ঘাম, আর্দ্রতার জন্য বা ভেজা থাকলে এর প্রবণতা বাড়ে। একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে নিজে উপস্থিত হয়ে কিংবা অনলাইনে ছবি দেখিয়ে রোগ নির্ণয় করুন এবং ছত্রাকরোধী ওষুধের একটি কোর্স গ্রহণ করুন। সঙ্গে দুই সপ্তাহ কিটাকোনাজল শ্যাম্পু দৈনিক গোসলের আগে আক্রান্ত স্থানে ১৫-২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলবেন। অন্যের ব্যবহৃত জিনিসপত্র, জামা-কাপড়, তোয়ালে, বালিশ, চাদর ইত্যাদি ব্যবহার করবেন না। ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন।

পরামর্শ দিয়েছেন
অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আফজালুল করিম
সিনিয়র কনসালট্যান্ট, চর্মরোগ বিভাগ
হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ঢাকা।

l আমার বয়স ১৭ বছর। ৫-৬ বছর ধরে আমার মাথায় খুশকি। রোজ শ্যাম্পু দিতে হয়, তারপরও ৩-৪ ঘণ্টা পর আবার আগের মতো হয়ে যায়। চিরুনি দিয়ে কালো কাগজের ওপর আঁচড়ালে কাগজ সাদা হয়ে যায় খুশকিতে। এটা কমাতে কী করা যেতে পারে?

সাজিদুল হক, বরিশাল

l আমার বয়স ২২। মাথায় দুই বছর ধরে অনেক খুশকি এবং মাথা ঘেমে গেলে চুলকায়। নখ দিয়ে চুলকানোর সময় ময়লা আসে। চুলকাতে চুলকাতে মাথার বিভিন্ন জায়গাতে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ওই ক্ষতস্থানে কষ বা তেলের মতো পদার্থ বের হয়ে জড়া বা চটা তৈরি হয়। ফলে অনেক চুল পড়ে গেছে।

আবজেল মিয়া, সীতাকুণ্ড, চট্টগ্রাম।

পরামর্শ: আপনাদের দুজনেরই মাথায় খুশকির সমস্যা। এটি আসলে একধরনের ছত্রাকের সংক্রমণ। যার কারণে এত চুলকানি হয় ও চুল পড়ে যাচ্ছে। সাধারণ শ্যাম্পুতে যাবে না। কিটোকোনাজল শ্যাম্পু সপ্তাহে দুবার করে ব্যবহার করবেন। চুলকানি কমাতে অ্যান্টি হিস্টামিন ওষুধ খেতে পারেন। মাথা পরিষ্কার রাখবেন ও চিরুনি, বালিশের কভার, তোয়ালে ইত্যাদি নিয়মিত ধুয়ে ফেলবেন। অন্য কারোটা ব্যবহার করবেন না।

পরামর্শ দিয়েছেন

অধ্যাপক মো. আসিফুজ্জামান খান

বিভাগীয় প্রধান, চর্ম বিভাগ, গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ঢাকা।

বার্ধক্যজনিত

l আমার দাদুর বয়স ৬৮। মাঝেমধ্যে ঘুমাতে গিয়ে ছটফট করেন তিনি। হঠাৎ বিছানা থেকে উঠে পড়েন। একবার ছাদে যান তো একবার আমার কাছে চলে আসেন। তারপর আবার ঘুমাতে যান। ডিমলাইট ছাড়া ঘুমাতে পারেন না। দাদুর মাথার অংশে তাপমাত্রা বেশির ভাগ সময়ে গরম থাকে। রাত সাড়ে ১০টার পর বা ঘুমাতে দেরি করলে এ সমস্যাটি হয়। এটি গরমকালে বেশি হয়। কীভাবে রোধ করা যায়?

মাশরাফি সাহাদ, মল্লিকপাড়া, মেহেরপুর।

পরামর্শ: এটি আপনার দাদুর ঘুমের সমস্যা। সাধারণত প্রবীণদের মধ্যে এ ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ জন্য যেটা কার্যকর, তা হচ্ছে আপনার দাদুকে দিনের বেলা বিছানায় শুয়ে-বসে থাকা বা বিছানায় বসে অন্য কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। রাতের বেলা ঘুমের এক ঘণ্টা আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়ে ঘুমাতে হবে। এই অস্থিরতার পেছনে কোনো শারীরিক কারণ থাকলে (যেমন রক্তে গ্লুকোজ কমে যাওয়া) সেটা নির্ণয় করে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। রাতে ঘুমের ২ ঘণ্টা আগে থেকে টিভি-মোবাইল ফোন দেখা বন্ধ রাখতে হবে। রাতে খাবারের কমপক্ষে ২ ঘণ্টা পর ঘুমাতে যাবেন। আর এতেও না হলে কেবল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নির্ধারিত সময়ের জন্য ঘুমের ওষুধ খেতে পারেন।

পরামর্শ দিয়েছেন—ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ

সহযোগী অধ্যাপক, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ঢাকা ।

খুশকি এক ধরনের ছত্রাকের সংক্রমণ। ছবিটি প্রতীকী
খুশকি এক ধরনের ছত্রাকের সংক্রমণ। ছবিটি প্রতীকী

কিডনি
l আমার বয়স ৩৫ বছর। এক সপ্তাহ ধরে আমার কোমরের পেছনে ডান দিকে ব্যথা অনুভব করছি৷ যন্ত্রণা নেই। কিডনির সমস্যার লক্ষণ কি না জানতে চাই৷
নাম ও ঠিকানা প্রকাশে অনিচ্ছুক

পরামর্শ: আপনার প্রস্রাব করতে সমস্যা হয় কি না বা প্রস্রাবে জ্বালা–যন্ত্রণা হয় কি না তা বলেননি। প্রস্রাবের রুটিন পরীক্ষা, কিডনি বা পেটের আলট্রাসনোগ্রাম এবং সেরাম ক্রিয়াটিনিন পরীক্ষা করে স্থানীয় চিকিৎসককে দেখালে বুঝতে পারবেন আপনার ব্যথা কিডনিজনিত কি না। কোমরে ব্যথার বেশির ভাগ রোগীই কিডনি রোগে আক্রান্ত নন, অল্প কিছু কিডনি সমস্যায় কোমরে ব্যথা হতে পারে। মনে রাখবেন কোমরের পেছনে ব্যথা কিডনি সমস্যার প্রধান বা একমাত্র লক্ষণ নয়।
পরামর্শ দিয়েছেন—
ডা. শুভার্থী কর
সহকারী অধ্যাপক, নেফ্রোলজি বিভাগ, সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ।

পরিপাকতন্ত্র

l আমার বয়স ২৭ বছর। সমস্যা হলো খাবারে অরুচি, নিয়মমাফিক পায়খানা হয় না, পায়খানার চাপ কম আসে। সকালবেলা কিছু না খেলে চাপ আসে না আর পায়খানা হলেও পরিষ্কারভাবে হয় না। স্বাস্থ্য অনেক ভালো ছিল কিন্তু এখন অনেক শুকিয়ে গেছি। করণীয় কী?

নাম ও ঠিকানা প্রকাশে অনিচ্ছুক

পরামর্শ: ঠিক কত দিন থেকে সমস্যাটির শুরু, পরিবারে কারও ক্যানসারের ইতিহাস আছে কি না, পেটে কোনো চাকা অনুভূত হয় কি না আর রক্তশূন্যতা আছে কি না, এই বিষয়গুলো জানা জরুরি। ওজন কমা রেড ফ্ল্যাগ সাইন বা বিপৎসংকেত হিসেবে ধরা হয়। আপনার একটি কোলনস্কপি করা দরকার হতে পারে। তবে তার আগে দরকার রক্তের হিমোগ্লোবিন ও অন্যান্য কিছু রুটিন পরীক্ষা। সবচেয়ে ভালো হয় আপনি প্রথমে একজন পরিপাকতন্ত্র বিশেষজ্ঞের সঙ্গে দেখা করুন।

পরামর্শ দিয়েছেন—

ডা. জাকির হোসেন

সহকারী অধ্যাপক, গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি ও হেপাটোলজি বিভাগ, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ।

স্পিচথেরাপি

l আমি বর্তমানে একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এমএস করছি। স্পষ্টভাবে কথা বলতে পারি না। যখন কথা বলি, তখন অনেকে বুঝতে পারে না। এমনকি যখন নাম বলি, তখনো অনেকে বুঝতে পারে না। যেমন: যখন ইমরুল বলি অনেকে ইমরু শুনে। আমি বোঝাতে চাইছি, শব্দগুলো মুখ থেকে ঠিকভাবে বের হয় না। মুখের ব্যায়াম করছি, কোনো উপকার এখনো পাইনি। কথা ঠিকভাবে বলতে না পারায় খুব মানসিক কষ্টে আছি। আমার কী কী চিকিৎসা নেওয়া উচিত?

নাম ও ঠিকানা প্রকাশে অনিচ্ছুক

পরামর্শ: প্রথমত জানতে হবে আপনার কোনো নিউরোলজিক্যাল অথবা কোনো মানসিক সমস্যা ছিল বা আছে কি না? এরপর জানতে হবে আপনার উচ্চারণ সাহায্য করে এমন অঙ্গগুলোর মাংসপেশি সঠিকভাবে কার্যক্ষম আছে কি না? আপনার সমস্যায় সাহায্য করতে পারেন একজন স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপিস্ট। আপনি সিআরপি অথবা সোসাইটি অব স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপিস্টসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। চিকিৎসা নেওয়ার আগ পর্যন্ত আপনি প্রতিটি বর্ণের উচ্চারণের জায়গাগুলো ভালো করে জিব দিয়ে স্পর্শ করে চর্চা করুন। আগেই শব্দ না বলে বর্ণগুলো উচ্চারণ করার চেষ্টা করুন। তারপর একটার পর একটা বর্ণ যোগ করে টেনে শ্বাস নিয়ে শব্দ তৈরি করুন। চাপমুক্ত থাকুন, বেশি বেশি পানি পান করুন।

না জেনে কারও কথায় কোনো অনুশীলন আগেই করবেন না। আরও বিশদ জানতে চাইলে সোসাইটি অব স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপিস্টসের ফেসবুক পেজটি দেখতে পারেন, যোগাযোগ সমস্যার কারণে আক্রান্ত ব্যক্তিদের অনলাইন সেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

পরামর্শ দিয়েছেন—

মো. সাজ্জাদ হোসেন

সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপি বিভাগ, বিএইচপিআই-সিআরপি। সাধারণ সম্পাদক, সোসাইটি অব স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপিস্টস।

ছবিটি প্রতীকী
ছবিটি প্রতীকী

স্ত্রীরো
l আমার স্ত্রীর বয়স ৪১ বছর। তাঁর মাসিক নিয়মিত। সর্বশেষ গত ৪ এপ্রিল মাসিক হয়েছে। মে ও জুলাইয়ে বাসায় প্রেগনেন্সি টেস্ট করে দুবারই নেগেটিভ এসেছে। গর্ভধারণের তেমন কোনো লক্ষণও তাঁর মধ্যে নেই। করোনা পরিস্থিতির কারণে কোনো চিকিৎসকের কাছেও যেতে ভয় হচ্ছে। আগের দুটি সন্তানই স্বাভাবিক প্রসবে (নরমাল ডেলিভারি) হয়েছে। আমার স্ত্রী আরেকটি সন্তান নেওয়ার জন্য খুবই ইচ্ছুক। এখন আমরা কী করব?|

নাম ও ঠিকানা প্রকাশে অনিচ্ছুক

পরামর্শ: আপনার স্ত্রীর বয়স যেহেতু ৪১, এ বয়সে গর্ভধারণ ঝুকিঁপূর্ণ। মায়ের ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদির ঝুঁকির পাশাপাশি বেশি বয়সে বাচ্চা নিলে সন্তানের নানা সমস্যা (যেমন: ডাউনস সিনড্রোম) হওয়ার আশংকা থাকে। প্রেগনেন্সি টেস্ট নেগেটিভ মানে তিনি গর্ভধারণ করেননি। যেহেতু তাঁর দুটি সন্তান আছে, ঝুঁকি নিয়ে গর্ভধারণ করার পরিবর্তে স্বল্পমাত্রার জন্ম নিয়ন্ত্রণ বড়ি খেতে পারেন। এতে জন্ম নিয়ন্ত্রণ হবে, আবার মাসিকও নিয়মিত হবে।

পরামর্শ দিয়েছেন—ডা. ফারজানা শারমিন

সহকারী অধ্যাপক, স্ত্রীরোগ ও প্রসূতি বিদ্যা বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ), ঢাকা।

l আমার স্ত্রীর বয়স ২৩ বছর। দেড় বছর আগে আমাদের প্রথম সন্তান হয়। কিছু জটিলতার কারণে নরমাল ডেলিভারি সম্ভব হয়নি। আমাদের পরবর্তী সন্তান কি নরমাল ডেলিভারিতে সম্ভব? অনেকে বলে সম্ভব না। কথাটি কতটুকু সত্যি?

নাম ও ঠিকানা প্রকাশে অনিচ্ছুক

পরামর্শ: প্রথম সন্তান সিজারিয়ান হলেও পরবর্তী সন্তান হওয়ার সময় নরমাল ডেলিভারি সম্ভব। কিন্তু কয়েকটি বিষয়ের ওপর সিজারিয়ানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যেমন: প্রসবপথের সঙ্গে শিশুর আকারের সম্পর্ক, প্রসবে বিলম্ব, বা মায়ের প্রি–একলাম্পসিয়ার মতো কোনো জটিলতা আছে কি না, সব দিক বিবেচনা করে আপনার চিকিৎসক যথাসময়ে সিদ্ধান্ত নেবেন কীভাবে প্রসব হবে। আগে থেকে বলা সম্ভব হবে না।

পরামর্শ দিয়েছেন—ডা. শাহীনা বেগম

কনসালটেন্ট, বিআরবি হাসপাতাল, ঢাকা।

স্নায়ুরোগ

l আমার মায়ের বয়স ৫০ বছর। তাঁর বাঁ পায়ে প্রচুর ব্যথা ও জ্বালাপোড়া করে। মাঝেমধ্যে পা নাড়ানোর সময় পেশিতে টান লাগে। রগ কালো হয়ে থাকে। তাঁর ডায়াবেটিস নেই।

জুয়েল উদ্দিন

পরামর্শ: লক্ষণ শুনে মনে হচ্ছে আপনার মায়ের কোমরের হাড় ক্ষয় অথবা ডিস্ক প্রলাপ্সের মতো সমস্যা রয়েছে। এই রোগ নির্ণয় করার জন্য শারীরিক পরীক্ষা করা জরুরি। কোমরের এক্স–রে ও এমআরআই—এ দুটি পরীক্ষা করা প্রয়োজন। আপাতত পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে বলুন। কিডনির সমস্যা আছে কি না, তা না জেনে প্যারাসিটামল ব্যতীত অন্য ব্যথার ওষুধ খাওয়া যাবে না। দ্রুত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

পরামর্শ দিয়েছেন—ডা. মো রাশেদুল ইসলাম

সহকারী অধ্যাপক, নিউরোলজি বিভাগ, বারডেম জেনারেল হাসপাতাল, ঢাকা।

l আমার বয়স ১৬। আমি বসা থেকে দাঁড়ালেই আমার ডান পা ও ডান হাতের আঙুলগুলো অসাড় হয়ে বাঁকা হয়ে যাওয়ার মতো হয়, মুখও অনেকটা বাঁকা হয়ে যায়। ৫ থেকে ১০ সেকেন্ডের মধ্যেই আবার ঠিক হয়ে যায়। আমার ডান কানের পেছনে চামড়ার একদম নিচেই টিউমার আছে। টিউমারের কারণেই কি এমনটা হচ্ছে?

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, দিনাজপুর।

পরামর্শ: তুমি সম্ভবত ডিসকাইনেজিয়া নামের অনিচ্ছাকৃত শারীরিক অঙ্গভঙ্গিজনিত রোগে আক্রান্ত হয়েছ। এটি একধরনের স্বল্প পরিচিত স্নায়ুরোগ। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করলে উপকৃত হতে পার। তবে সমস্যাটি তোমার কানের পেছনের টিউমারের জন্য হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। সুতরাং অহেতুক দুশ্চিন্তা করবে না।

পরামর্শ দিয়েছেন—

ডা. সেলিম শাহী

সহযোগী অধ্যাপক, জাতীয় নিউরোসায়েন্স ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ঢাকা।

ডায়াবেটিস

l আমার মায়ের বয়স ৪৮ বছর। তাঁর অনেক দিন ধরে কোমর ও তলপেটে ব্যথা হয়। ঘনঘন প্রস্রাব হয়, বুকের বাঁ পাশে ধুকধুকানি বেশি হয়। ধুকধুকানির জন্য ইনডিভার সেবন করছেন। এর সমাধান কী?

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, চট্টগ্রাম।

পরামর্শ: উপসর্গ শুনে মনে হচ্ছে ডায়াবেটিস বা এর সঙ্গে প্রস্রাবে সংক্রমণ আছে। ঘন ঘন প্রস্রাব হলে অবশ্যই এ বয়সে রুক্তের সুগার পরীক্ষা করতে হবে। সেই সঙ্গে প্রস্রাবের সংক্রমণের জন্য প্রস্রাবের রুটিন ও কালচার পরীক্ষা করা জরুরি। বুকের ধুকধুকানির কারণ কী, সেটা নির্ণয় করতে হবে, এমনিতে ওষুধ খেয়ে লাভ নেই।

পরামর্শ দিয়েছেন—ডা. শাহজাদা সেলিম

সহযোগী অধ্যাপক, ডায়াবেটিস ও হরমোন বিভাগ, বিএসএমএমইউ, ঢাকা।

নাক–কান–গলা

l আমার বয়স ৪০ বছর। এক মাস ধরে আমার গলার ভেতর চুলকানি হচ্ছে, সঙ্গে ব্যথাও আছে, অনেক সময় ঢোঁক গিলতে কষ্ট হয়। ব্যথা বাড়লে কানে ও মাথার পেছনে ব্যথা করে। পাঁচ বছর আগেও আমার এমন অসুখ হয়েছিল।

সন্দীপন বিশ্বাস, নেত্রকোনা।

পরামর্শ: আপনার সমস্যাটি অ্যালার্জির কারণে হয়ে থাকতে পারে। খেয়াল করুন, কোনো নির্দিষ্ট ধরনের বস্তুর সংস্পর্শে এলে সমস্যাটি বাড়ছে কি না। অ্যালার্জির সম্ভাব্য সেই কারণগুলো এড়িয়ে চলুন। কান খোঁচানোর অভ্যাস থাকলে, তা বর্জন করুন।

আবার আপনার রিফ্লেক্স ইসোফ্যাজাইটিস নামের সমস্যাও থাকতে পারে (এ সমস্যায় পাকস্থলীতে স্বাভাবিকভাবে থাকা অ্যাসিড খাদ্যনালির দিকে উঠে আসে)। তাই খাওয়া ও শোবার সময়ের মধ্যে অন্তত তিন ঘণ্টার পার্থক্য নিশ্চিত করুন। বেশি রাতজাগার অভ্যাস থাকলে, তা বর্জন করুন। সঠিক সময়ে ঘুমান ও ভোরে ঘুম থেকে উঠুন।

আপনি রুপাটিডিন, ওমেপ্রাজল এবং রাতে হালকা মাত্রার ঘুমের ওষুধ সেবন করতে পারেন। তবে সময়–সুযোগমতো একজন নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞকে দেখিয়ে নেবেন।

পরামর্শ দিয়েছেন—অধ্যাপক ডা. এ এফ মহিউদ্দিন খান

সিনিয়র কনসালট্যান্ট, নাক-কান-গলা বিভাগ, জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল, ঢাকা।

পক্ষাঘাত

l আমার ছোট ভাইয়ের বয়স ১৯ বছর। প্রায় পাঁচ বছর আগে গাছ থেকে পড়ে গিয়ে কোমরের পেছনে স্পাইনাল কর্ড আঘাতপ্রাপ্ত হয়। দুই পা প্যারালাইজড হয়ে যায়। সেই থেকে প্রস্রাব–পায়খানার নিয়ন্ত্রণ ব্যাহত হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে পায়ে কোনো অনুভূতিশক্তি ছিল না। কিন্তু ধীরে ধীরে সে অনুভূতিশক্তি ফিরে পেয়েছে। এখন সে পা নাড়াতে পারে। শুরুতে প্রস্রাব করানো হতো ক্যাথিটার দিয়ে, কিন্তু এখন ক্যাথিটার ছাড়াই প্রস্রাব করতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত প্রস্রাব–পায়খানায় কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। ইচ্ছা থাকলেও এ সমস্যার কারণে প্রয়োজনীয় ব্যায়াম করা সম্ভব হয় না। কোথায় এবং কী চিকিৎসা নিলে সে পুরোপুরি সুস্থ হতে পারে?

তারিক মিথুন, যশোর।

পরামর্শ: মেরুদণ্ডের ভেতর স্পাইনাল কর্ডের ঠিক কোন লেভেলে আঘাত লেগেছিল এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, সেটা জানা দরকার। একটি ভালো এক্স–রে বা সম্ভব হলে এমআরআই করে সেটা জানা সম্ভব। তারপর পরবর্তী চিকিৎসাপদ্ধতি নির্বাচন করার জন্য একজন অভিজ্ঞ নিউরোসার্জন ও ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন। অস্ত্রোপচার প্রয়োজন হতে পারে। অনুভূতি ও প্রস্রাবের ক্ষমতা ফিরে আসতে শুরু করা একটা ভালো লক্ষণ।

দীর্ঘমেয়াদে সঠিক ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে অনুভূতিশক্তি আরও বাড়ানো সম্ভব, প্রস্রাব–পায়খানার নিয়ন্ত্রণও উন্নতি হতে পারে। একেবারে শয্যাশায়ী অবস্থা থেকে অন্তত হুইলচেয়ারে বসে নিজের কাজকর্ম সম্পাদন করার মতো উন্নতি আশা করা যায়। জাতীয় নিউরোসায়েন্স ইনস্টিটিউট, বিএসএমএমইউ, বারডেম বা নিকটস্থ সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর নিউরোসার্জারি বিভাগে যোগাযোগ করুন।

পরামর্শ দিয়েছেন—ডা. মো. নজরুল হোসেন

সহযোগী অধ্যাপক ও কনসালট্যান্ট, নিউরোসার্জারি বিভাগ, ইব্রাহিম কার্ডিয়াক সেন্টার, ঢাকা।

ফিজিওথেরাপি

l আমার বয়স ৪০ বছর। দুই মাস ধরে আমার পায়ের গোড়ালি ও পায়ের পাতার ওপরের অংশে ব্যথা। মাঝেমধ্যে খুব চিনচিনে ব্যথা অনুভব হয়। গোড়ালি অংশটুকু হালকা ফোলা। আমার প্রি ডায়াবেটিস রয়েছে।

পূরবী, চট্টগ্রাম।

পরামর্শ: গোড়ালির ওপর যাতে চাপ না পড়ে, সে জন্য নরম জুতা ব্যবহার করতে হবে। প্রয়োজনে হিল কুশন ব্যবহার করে জুতা পরতে হবে। পাতলা সুতি কাপড়ে বরফ নিয়ে পায়ের গোড়ালি ও পাতায় ৫-১০ মিনিট মালিশ করতে হবে। এতে ব্যথা ও ফোলা অনেক কমে যাবে আশা করি। বিছানায় সোজা হয়ে বসে পায়ের পাতা টান টান করে সামনে–পেছনে এভাবে ৩০ বার করে দিনে দুই বেলা এই স্ট্রেচিং অনুশীলন করলে অনেক উপকার পাবেন।

পরামর্শ দিয়েছেন—মেহেরুন নেসা

ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞ।

স্তন ক্যানসার

l আমার বয়স ২৫। গত মে মাসে হঠাৎ আমার বাঁ স্তনের নিপলে একটা ছোট অতিরিক্ত অংশ (আঁচিল চেয়ে ছোট) দেখি। সেটার চামড়া ফেটে গিয়ে হালকা রক্ত বের হয়। সাত-আট দিনের মধ্যে তা ঠিক হয়ে যায়। এ ছাড়া অন্য কোনো উপসর্গ বা ব্যথা ছিল না। জুলাইয়ে এসে সেই আঁচিলের মতো ক্ষুদ্র অংশের চামড়া আবার উঠে গেছে। আমি অবিবাহিত। আমার পরিবারে কারও স্তন ক্যানসারের ইতিহাস নেই। এ নিয়ে চিন্তার কি কিছু আছে?

নাম ও ঠিকানা প্রকাশে অনিচ্ছুক

পরামর্শ: আপনি নিজে গোসলের সময় ভালো করে হাত চেপে চেপে নিজের স্তন পরীক্ষা করবেন। কোনো গোটা বা চাকা অনুভব না করলে দুশ্চিন্তার তেমন কিছু নেই। এটি মনে হচ্ছে উপরিভাগের ত্বকের কোনো সমস্যা বা সংক্রমণ, ব্রেস্টে তেমন কিছু নেই। এরপরও সন্দেহ হলে একসময় একজন ব্রেস্ট সার্জন বা চর্ম বিশেষজ্ঞকে দেখিয়ে নিতে পারেন।

পরামর্শ দিয়েছেন

ডা. মো. হাবিবুল্লাহ তালুকদার

অনকোলজিস্ট, সহযোগী অধ্যাপক, জাতীয় ক্যানসার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ঢাকা।

মেডিসিন

l আমার বয়স ১৫ বছর। প্রায়ই মুখে ঘা হয়। এক সপ্তাহ আগে মুখে একটা ঘা হয়েছে, যেটা এখনো শুকায়নি। মুখে ঘা হওয়ার কারণে আমি ঠিকভাবে খেতে পারছি না। এখন আমি কী করব?

জান্নাতুল এষা

পরামর্শ: বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বারবার মুখে ঘায়ের কারণ এপথাস আলসার, ভিটামিনের অভাব, দাঁতের ঘর্ষণ বা সংক্রমণ ইত্যাদি। এপথাস আলসার হলে ঘায়ের জন্য কেনালগ বা এপসল–জাতীয় মলম লাগালে আরাম পাবেন। ভিটামিনের জন্য প্রচুর ফলমূল–শাকসবজি খান, দরকার হলে সাপ্লিমেন্ট খান। দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপে থাকলে এ ধরনের ঘা বাড়ে। তাই দুশ্চিন্তা করবেন না।

পরামর্শ দিয়েছেন—

ডা. আ ফ ম হেলাল উদ্দিন

সহযোগী অধ্যাপক, মেডিসিন

স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল, ঢাকা।

ছবিটি প্রতীকী
ছবিটি প্রতীকী

দাঁত

l আমার বয়স ১৭ বছর। আমার মুখের বাঁ দিকের একটি পেষণ দাঁতের মধ্যে গর্ত হয়েছে। খাবার খেতেও সমস্যা হয়। খাবার পেষণ করতে গেলে দাঁতে ঝিনঝিন করে ব্যথা হয়। যার ফলে খাবার এখন মুখের ডান দিক দিয়েই চিবুতে হয়। এই সমস্যা প্রায় এক বছর ধরে চলছে। এই সমস্যার সমাধান কী?

সাব্বির আহমেদ

পরামর্শ: দাঁতের গর্ত বা ক্যারিজ শুরুর দিকে ফিলিং করলে সুস্থ করে তোলা সহজ। কিন্তু মনে হচ্ছে অবহেলার কারণে গর্ত থেকে সংক্রমণ দাঁতের মজ্জাতে পৌঁছে গেছে। এখন দাঁতটিকে সংরক্ষণ করার জন্য রুট ক্যানেল করে পরবর্তী সময়ে ওপরে দাঁতের কৃত্রিম আবরণ বা ক্রাউন লাগিয়ে নিতে হবে।

পরামর্শ দিয়েছেন—ডা. মো. আসাফুজ্জোহা রাজ

কনসালট্যান্ট, রাজ ডেন্টাল সেন্টার, কলাবাগান, ঢাকা।

চোখ

l আমার বয়স ১৫, আমার চোখে মাইনাস ২.৫০ পাওয়ারের বেশি সমস্যা। এ জন্য আমি চশমা ব্যবহার করি। এই বয়সে কি আমার চোখ আর ভালো হবে? সঙ্গে কী কী খেতে হবে?

জান্নাতুল নাইম

পরামর্শ: ২.৫০ ডায়াপ্টার পাওয়ার হওয়ায় আপনাকে নিয়মিত চশমা পরতে হবে৷ এ বয়সে চশমা ছাড়া চোখ ভালো হওয়ার সুযোগ নেই। না পরলে কম দেখা ছাড়াও মাথাব্যথা হতে পারে৷ কাজেই দূরের দৃষ্টি ধরে রাখা এবং মাথাব্যথা না করার জন্য চশমা পরার বিকল্প নেই। চোখ ভালো রাখতে হলে নিয়মিত সবুজ শাকসবজি, ফলমূল, মাছ-মাংস, ডিম-দুধসহ ভিটামিন এ–সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে৷

পরামর্শ দিয়েছেন—ডা. মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম

সহযোগী পরামর্শক, চক্ষু বিভাগ, স্কয়ার হাসপাতাল লিমিটেড, ঢাকা।

হরমোন

l আমার বয়স ২৫। অবিবাহিত। ওজন ৫৫ কেজি এবং উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি। প্রথম থেকেই মাসিক অনিয়মিত ছিল। ১০ বছর ধরে দেখা যাচ্ছে, মাসিক হলে বন্ধ হয় না, আবার সাত-আট মাস চলে যায় কিন্তু হয় না। কখনো খুব কম রক্ত যায়, কখনো শুধু রক্তের চাকা যায়। পাঁচ বছর আগে হাইপোথাইরয়ডিজম ও দুই বছর আগে পিসিওডি ধরা পড়ে। এ অবস্থায় বন্ধ্যা হওয়ার আশঙ্কা কি আছে? আমার কী করণীয়?

নাম ও ঠিকানা প্রকাশে অনিচ্ছুক

পরামর্শ: হাইপোথাইরয়েডিজম ও পলিস্টিক এভারি সিনড্রোমের কারণেই কম বা অতিরিক্ত মাসিক, অনিয়মিত মাসিক ইত্যাদি হচ্ছে। এই সমস্যাগুলোর যথাযথ চিকিৎসা করতে হবে। থাইরক্সিনের মাত্রা বারবার রক্ত পরীক্ষা করে অ্যাডজাস্ট করতে হবে এবং টিএসএইচ সঠিক মাত্রায় ধরে রাখতে হবে। পিসিওডির চিকিৎসা হলো ওজন ঠিক রাখা ও মাসিক নিয়মিত করার জন্য কিছুদিন হরমোন বড়ি সেবন। দুটিই হরমোনজনিত সমস্যা এবং ঠিকভাবে চিকিৎসা না করলে পরবর্তী সময়ে সন্তান ধারণে সমস্যা হতে পারে। কিন্তু বন্ধ্যাত্ব হবেই তা নয়। ধৈর্য ধরে একজন হরমোন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করে চিকিৎসা চালিয়ে যান। সন্তান নেওয়ার সময় প্রয়োজনে ওভুলেশনের চিকিৎসা করা যাবে।

পরামর্শ দিয়েছেন—ডা. তানজিনা হোসেন

সহযোগী অধ্যাপক, এন্ডোক্রাইনোলজি, গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজ, ঢাকা।

l কিছু লোককে দেখা যায় ছেলে হয়ে জন্ম নিলেও মেয়েদের মতো হাঁটাচলা করে এবং কথা বলে। আমার প্রশ্ন হলো, এটা কি কোনো রোগ এবং এটাকে সম্পূর্ণভাবে নিরাময় করা সম্ভব?

অনুপ চৌধুরী

পরামর্শ: কেউ তৃতীয় লিঙ্গের বা হারমাফ্রোডাইট কি না, তা বুঝতে হলে তার বাহ্যিক চেহারার সঙ্গে প্রজননতন্ত্র পরীক্ষা করে দেখতে হবে, কিছু হরমোন পরীক্ষা ও দরকার হলে ল্যাবরেটরিতে ক্রোমাজোমাল অ্যানালাইসিসও করা লাগতে পারে। তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ মানে যে বাহ্যিকভাবে দেখতে এক লিঙ্গের, কিন্তু তাঁর প্রজননতন্ত্র অন্য লিঙ্গের মতো বা অপূর্ণাঙ্গ প্রজননতন্ত্র। ক্রোমোজোম অ্যানালাইসিস করলে পুরুষ না নারী জিন আছে তা বোঝা যায়। আলট্রাসনোগ্রাম করলে ডিম্বাশয়, জরায়ু আছে নাকি শুক্রাশয় আছে তা বোঝা যাবে।

তবে অনেকেরই আসলে শারীরিক কোনো খুঁত নেই, কিন্তু স্বভাব বা আচরণে বিপরীত লিঙ্গের মতো। তাদের ক্ষেত্রে এটি একটি সাইকো সেক্সুয়াল সমস্যা। এ ধরনের সমস্যার চিকিৎসায় হরমোন বিশেষজ্ঞ, সার্জন, সাইকিয়াট্রিস্ট ও সাইকোথেরাপিস্টের সমন্বিত চিকিৎসা দরকার হয়।

পরামর্শ দিয়েছেন—ডা. ইন্দ্রজিত প্রসাদ

সহযোগী অধ্যাপক, এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।