বগুড়ার দই

মো. জালাল উদ্দিন
মো. জালাল উদ্দিন

চট্টগ্রামে গিয়ে মেজবানি মাংস খেয়েছেন কিংবা সিলেটে গিয়ে সাতকরার রান্না! বাংলাদেশের একেক অঞ্চলে আছে বিশেষ বিশেষ খাবার, যে খাবারগুলোর সঙ্গে এক হয়ে গেছে সেই অঞ্চলের নাম। তেমনি দই শব্দের সমার্থক যেন বগুড়া। বগুড়ার দই তৈরি শুরু হয়েছিল ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পরপরই। শেরপুর উপজেলার ঘোষদের হাত ধরে এর যাত্রা শুরু হলেও এখন বানাচ্ছেন অসংখ্য কারিগর। এই দইয়ের রেসিপি দিয়েছেন এশিয়া সুইটসের দই বিভাগের প্রধান কারিগর মো. জালাল উদ্দিন

উপকরণ
এক কেজি দইয়ের জন্য
গরুর দুধ ২ কেজি, চিনি ২৫০ গ্রাম, সামান্য পরিমাণ পুরোনো দই ও মাটির একটি হাঁড়ি বা সরা।

প্রণালি

বগুড়ার দই
বগুড়ার দই


একটি পরিষ্কার কড়াই বা পাতিলে দুধ ছেঁকে ঢেলে দিন। কড়াই চুলাতে বসান। এবার জ্বাল দিতে থাকুন। চুলায় আগুন যত ধীরে জ্বলবে দই তত সুস্বাদু হবে। এবার সিদ্ধান্ত নিন, সাদা নাকি ঘিয়ে রঙের দই তৈরি করবেন। সাদা রঙের দই তৈরি করতে চাইলে ঘণ্টা দুয়েক পর কড়াই নামিয়ে ফেলুন। আর ঘিয়ে রঙের দইয়ের জন্য তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা চুলাতে কড়াই রাখুন। দুধ ফুটিয়ে দুই কেজি থেকে এক কেজিতে এলে তাতে চিনি ঢেলে দিন। চিনি না গলা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। দুধ উথলে উঠলে কড়াই নামিয়ে ফেলুন। ঠান্ডা না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। মাটির হাঁড়ি বা সরা একটু গরম করুন। এবার সরায় ঠান্ডা দুধ ঢেলে নিন। পুরোনো এক চিমটি দই দুধের সঙ্গে ভালোভাবে মেশান। এবার ঝাঁপি দিয়ে সরা ঢেকে দিন। ছাইচাপা আগুনে সরা বসিয়ে চার ঘণ্টা রেখে দিন। জমাট না বাঁধলে আরও দেড়-দুই ঘণ্টা সময় নিন। জমাট বাঁধার পর ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন।