মুড়ি নাকি টোস্ট বিস্কুট?

.
.

মুড়ি তো খাবারই। তবু বন্ধুমহলে ‘মুড়ি খা’ বলে কেন যে কাউকে অকর্মা বোঝানো হয়, তা বোঝা কঠিন। যা হোক, এই মুড়ি কিন্তু বেশ কাজের। বারডেম জেনারেল হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ পুষ্টিবিদ শামসুন্নাহার নাহিদ তা-ই জানালেন। তিনি বলেন, ভাত বা রুটির বদলেও মুড়ি খাওয়া যায়। কারণ, এটি শর্করাজাতীয় খাবার। তবে মুড়িতে লবণের পরিমাণ বেশি থকায় উচ্চ রক্তচাপ এবং হাইপার টেনশনের সমস্যা থাকলে পরিহার করতে হবে। চিনি দিয়ে ভেজে খাওয়া যায়, আবার মুড়ি মাখিয়েও খাওয়া যায়। তবে চানাচুরের বদলে ছোলা বা মটরশুঁটি দিয়ে মাখিয়ে খাওয়া ভালো। ইউরিয়ামিশ্রিত মুড়ি খাওয়া নিষেধ, খেতেই যদি হয়, তবে ধুয়ে নিতে হবে।
হালকা নাশতায় মুড়ির বদলে টোস্ট বিস্কুট বিবেচনায় রাখতে পারেন। টোস্ট বিস্কুট সাধারণত দুই ধরনের হয়—চিনিসহ ও চিনি ছাড়া। চিনি থাকলে ক্যালরির পরিমাণটা বেশি থাকে। ডায়াবেটিস রোগীদের তা মাথায় রাখতে হবে। চিনির প্রলেপ না থাকলেও অবশ্য ময়ানে চিনি মেশানো হয়। আর তা ছাড়া মুড়ির সঙ্গে তুলনা করলে টোস্ট বিস্কুট সাধারণত ডালডা বা ঘিয়ে ভাজা হয়। অতিরিক্ত ওজন এবং হৃদ্রোগ পরিহার করে চলতে হবে বলে জানান শামসুন্নাহার নাহিদ। ইদানীং ঝাল টোস্ট বিস্কুট পাওয়া যাচ্ছে। বিটলবণ ও মসলা বেশি থাকায় উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের পরিহার করে চলতে হবে।

প্রতি ১০০ গ্রাম মুড়ি ও টোস্ট বিস্কুটের খাদ্য উপাদান পরিমাণসহ দেওয়ার চেষ্টা করা হলো।

.
.

খাদ্য উপাদান মুড়ি টোস্ট বিস্কুট
ক্যালরি ৪০২ ৪০৭
চর্বি ০.৫ গ্রাম ৭.২ গ্রাম
কোলেস্টেরল নেই ৭৮ মিলিগ্রাম
শর্করা ৮৯.৮ গ্রাম ৭২.৩ গ্রাম
প্রোটিন ৬.৩ গ্রাম ১৩.৫ গ্রাম
সোডিয়াম ৩ মিলিগ্রাম ২৫৩ মিলিগ্রাম
পটাশিয়াম ১১৩ মিলিগ্রাম ২৪৫ মিলিগ্রাম
ক্যালসিয়াম ৬ মিলিগ্রাম ২৭ মিলিগ্রাম
তথ্যসূত্র: ক্যালরি কিং ওয়েবসাইট।