আজই বেরিয়ে পড়ুন হাঁটতে

আজ হয়তো ভাবলেন, জুতোজোড়া কেনার পর এক মাস তো হয়ে গেল, কালই বেরিয়ে পড়ব হাঁটতে।
পরদিন সকালে হয়তো মনে হবে, ডান পা’টা ব্যথায় টনটন করছে, আজ বরং না-ই গেলাম। কাল ঠিকই যাব। এভাবে ‘আজ নয় কাল’ করে করে দিন পার। হাঁটার কপালে সেই ঝাঁটা।
অনেকের মধ্যেই হাত-পা খেলানোর ব্যাপারে এমন আলসেমি বা ঔদাসীন্য কাজ করে। এই পায়ে ব্যথা কিন্তু না হাঁটতে যাওয়ার জন্যও হতে পারে। সকাল থেকে রাত ব্যস্ত থাকতে হয় নানা কাজে। দৈনন্দিন কাজগুলো ঠিকমতো করার জন্যই নিজের দিকে একটু যত্নবান হওয়া প্রয়োজন। দরকার প্রতিদিন অত্যন্ত ৩০ থেকে ৪৫ মিনিটের ব্যায়াম। সপ্তাহে যদি পাঁচ দিনও নিয়মিত ব্যায়াম করতে পারেন, শরীরের অনেক সমস্যাই কমে যাবে—এমনটাই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
আমাদের শরীর তৈরিই থাকে চলাচলের জন্য। ফিটনেস ও ভালো স্বাস্থ্যের জন্য দরকার নিয়মিত ব্যায়াম। হৃৎ​পিণ্ডের বিভিন্ন অসুখ, ক্যানসার, উচ্চ রক্তচাপ, বহুমূত্র রোগের মতো রোগগুলোকে কিছুটা হলেও দূরে রাখতে পারবেন। বয়সকে হয়তো ধরে রাখতে পারবে না, কিন্তু দ্রুত বয়সের ছাপ পড়া আটকে দেবে অনেক দিক থেকেই। মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ ও অক্সিজেনের মাত্রাও বাড়িয়ে দেয় ব্যায়াম।
ব্যায়াম শুরু করার প্রথম কয়েকটা দিন একটু ক্লান্ত লাগে। হাত-পা ব্যথা করে। কিন্তু কয়েক দিন পর দেখা যাবে ব্যায়াম না করলেই বরং শরীর খারাপ লাগছে। মজাটা এখানেই। কর্মশক্তিও বেড়ে যাবে হু হু করে। বাড়বে মনোবল। নিয়ন্ত্রণে থাকবে ওজন, মাংসপেশি হবে দৃঢ়।
খুব মন খারাপ থাকলে ৩০ মিনিট হেঁটে দেখুন। সতেজ ভাব চলে আসবে। মুক্তি পাবেন অনিদ্রা থেকেও। তবে শারীরিক কোনো সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যায়াম বেছে নেওয়া উচিত। কার্ডিও, সাঁতার, যোগব্যায়াম, স্ট্রেচিং, অ্যারোবিকসসহ বেছে নেওয়া যায় অনেক কিছুই। শারীরিক কোনো অসুবিধার জন্য একটি ব্যায়াম না করতে পারলে অন্য পন্থায় চলে যান। কাজের অজুহাত দেওয়াও বন্ধ করুন। সুতরাং আজ থেকে ব্যায়ামকে নয়, বরং কাজকে বলুন ‘ব্যায়াম’ আছে।
সূত্র: স্কিলস ইউ নিড