চোখের আরামের জন্য

কর্মব্যস্ত দিনে বেশি চাপ পড়ে চোখে। কখনো কম্পিউটারের সামনে, কখনোবা মনোযোগ দিয়ে কোনো কিছু দেখা। এর মধ্যে চোখের বিশ্রামের কথা ভাবার অবকাশ থাকে না। এ ছাড়া এ সময় চোখের প্রসাধনসামগ্রী ব্যবহারেও কিছু সতর্কতা প্রয়োজন। প্রসাধনী ব্যবহার করলে অবশ্যই তা সঠিকভাবে তুলেও ফেলতে হবে। এমনটাই জানালেন রূপবিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা।

যা-ই করুন না কেন, চোখের ওপর চাপ পড়েই। তাই একনাগাড়ে কাজ করা উচিত নয়। বিশেষ করে কম্পিউটারের সামনে বসে। সম্ভব হলে ১৫ মিনিট অন্তর চোখ বুজে নিন। তা না হলে অনেক সময় চোখ লাল হয়ে যায়। ঝাপসাও হয়ে আসে। এ ছাড়া একেকজনের একেক ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। তবে বড় ধরনের সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। আবার এটাও ঠিক, প্রতিদিন একটু যত্ন নিলেই ছোট ছোট সমস্যা এড়ানো যায়। যত্ন নিতে পারেন অফিসে বা বাসায় বসেই।
চোখে প্রসাধনী ব্যবহারের ক্ষেত্রে যা যা করা উচিত
ওয়াটার প্রুফ মাসকারা, আইলাইনার খুব প্রয়োজন না হলে ব্যবহার না করাই ভালো। চোখের কৃত্রিম পাপড়ি ব্যবহার করতে চাইলে নিশ্চিত হয়ে নিন সেটা ভালো মানের। কোনো ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে তা ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। কাজের চাপ বেশি থাকলে চোখে কয়েক মিনিট আই কভার দিয়ে রাখতে পারেন। আই কভার না থাকলে ছোট নরম কাপড় দিয়ে চোখ ঢেকে রাখুন। বাইরে থেকে ফিরেই চোখে বেশি করে পানির ঝাপটা দেওয়া উচিত। ধুলা-ময়লা সব পরিষ্কার হবে।
অনেকে অন্য কোনো প্রসাধনসামগ্রী ব্যবহার না করলেও নিয়মিত কাজল ব্যবহার করেন। মনে করেন, কাজল আবার তোলার কী আছে! এটা ভুল ধারণা। কাজলও ভালোভাবে তুলতে হবে। অলিভ ওয়েল বা বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের চোখের মেকআপ তোলার ক্রিম পাওয়া যায়। সেসবও ব্যবহার করতে পারেন। যাঁদের চোখের নিচে কালো দাগ আছে, তাঁরা আন্ডার আই ক্রিম ব্যবহার করুন। চোখের ক্লান্তি কমাতে শসা বা আলুর রস বের করে তুলায় ভিজিয়ে চোখে ওপরে দিন। কয়েক মিনিট রাখুন। কাঁচা দুধের মধ্যে তুলা ভিজিয়ে চোখের ওপর ১০ মিনিট রাখুন। এ ছাড়া ব্যবহৃত টি-ব্যাগ ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন। চোখের চারপাশে ১০ মিনিট রেখে দিন। দেখবেন, নিমেষেই ক্লান্তি দূর হয়ে গেছে।
চোখের একটা ব্যায়াম আছে। মাথা সোজা রেখে চোখ হাতের ডান থেকে বাঁয়ে ও বাঁ থেকে ডানে ১০ বার ঘোরাতে হবে। প্রতিদিন সম্ভব না হলেও সপ্তাহে তিন দিন করা যেতে পারে। রোদে বের হওয়ার আগে সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহার করুন। আর সানগ্লাস পরতে ভুলবেন না। সঙ্গে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। চোখের ক্লান্তি দূর করতে প্রকৃতির সবুজ রঙের জুড়ি নেই। একটু সময় পেলে সবুজে ঘেরা কোথাও থেকে ঘুরে আসুন। মনও ভালো থাকবে, চোখও আরাম পাবে।