আট আনার শিঙাড়া!

নিজের দোকানে সুবল চন্দ্র দাস
নিজের দোকানে সুবল চন্দ্র দাস

সকালে কাঁচা শিঙাড়ার ভার নিয়ে বের হয়ে পড়েন সুবল৷ সপ্তাহে ছয় দিনই দোকান নিয়ে গ্রামের বিভিন্ন হাট-বাজারে যান তিনি৷ হাটে গিয়ে শিঙাড়া ভেজে গরম গরম বিক্রি করেন৷

একই বাজারে তিন টাকার শিঙাড়া বিক্রি হচ্ছে৷ আর সুবল বিক্রি করেন আট আনায়৷ আকারে তাঁর শিঙাড়া ছোট, কিন্তু খদ্দের বেশি৷ এত বছর ধরে আট আনায় কীভাবে শিঙাড়া বিক্রি করেছেন—জানতে চাইলে সুবল বলেন, তিনি হিসাব করে দেখেছেন, কম দামের শিঙাড়ার খদ্দের বেশি৷ তাঁর অল্প লাভ হয়, কিন্তু বেশি বিক্রির কারণে পুষিয়ে যায়৷ আলাপের ফাঁকে সুবল শোনালেন তাঁর নিজস্ব দর্শনের কথা৷ সংসার চলার মতো কিছু হলেই হয়৷ শুধু টাকাপয়সা তো আর মানুষকে শান্তি দিতে পারে না৷ সুবল ছেলের বিয়েতে কোনো যৌতুক নেননি; যদিও মেয়ের বিয়েতে যৌতুক দিতে বাধ্য হয়েছিলেন৷

সব জিনিসের দাম বেড়েছে৷ বাজারে বেশি দামের শিঙাড়া বিক্রি হচ্ছে৷ তিনি তাঁর শিঙাড়ার দাম সামনে এক টাকা করার কথা ভাবছেন৷