আদর্শ প্রেমিক-প্রেমিকার বৈশিষ্ট্য

আদর্শ প্রেমিকার বৈশিষ্ট্য
* একজন আদর্শ প্রেমিকা তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে চ্যাট লিস্টে নজর রাখে। প্রেমিক অনলাইন এসে নক দিতে দেরি করলেই তারা একটি বিশেষ ইমোটিকন [:)] সেন্ড করে।
* পৃথিবী বদলে যাবে, কিন্তু আদর্শ প্রেমিকার আদর্শ সূত্র ‘আমি তো পুরোনো হয়ে গেছি’ কখনো বদলাবে না।
* আদর্শ প্রেমিকারা অভিমান প্রকাশে ‘ব্যস্ত?’, রাগ প্রকাশে ‘আমাকে তো ভালোইবাসো না’ এবং ক্ষোভ প্রকাশে ‘ব্রেক আপ’ বলতে পছন্দ করে।
* প্রতে্যক আদর্শ প্রেমিকার প্রেমিকের এক বা একাধিক মেয়ে ক্লাসমেট, বন্ধু, বন্ধুর প্রেমিকা থাকে। যাদের নাম শুনলেই প্রেমিকা রেগে লাল হয়ে যায়।
* আদর্শ প্রেমিকারা কখনোই প্রেমিকের প্রোফাইল পিকচারে লাভ রিঅ্যাকশন দেয় না। বিপরীতে কে কে লাভ রিঅ্যাকশন দিল, সে সম্পর্কে জানতে পছন্দ করে।
* প্রেমিকের কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই জেনেও আদর্শ প্রেমিকারা মাঝেমধ্যেই প্রেমিককে ‘তুমি তোমার ওর কাছেই যাও’ বলে পৈশাচিক শান্তি পাওয়ার চেষ্টা করে।
* ফোনে কথা বলার সময় টেলিভিশন, রেডিও, ইউটিউব—কোথাও কোনো নারী কণ্ঠের অস্তিত্ব পেলেই আদর্শ প্রেমিকারা এই প্রশ্ন করে, ‘তোমার পাশে কে?’
* আদর্শ প্রেমিকাদের অভিধানে ‘ওয়েটিং’ নামক কোনো শব্দ থাকে না। ফোন করে এমন কোনো শব্দ দেখলে হয় নিজের ফোন, নয়তো প্রেমিক—যেকোনো একটার ওপর ঝড় বয়ে যেতে পারে।
* আদর্শ প্রেমিকারা নিজেকে ভালো রাঁধুনি বলে স্বীকৃতি দিতে না চাইলেও প্রেমিকের কাছ থেকে সৃজনশীল রান্নার নেগেটিভ রিভিউ মেনে নিতে পারে না। এবং প্রতে্যক আদর্শ প্রেমিকা নিয়ম করে সেন্টি (প্রেমের ভাষায় সেন্টি একটি জনপ্রিয় খাদ্য) খেতে পছন্দ করে। তারা সাধারণত সকালে ঘুম ভাঙলেই সেন্টি খেয়ে দিন শুরু করে রাতে একই খাবার খেয়ে ঘুমাতে যায়।
* আদর্শ প্রেমিকাদের স্মৃতিশক্তি ঈর্ষণীয়। দুই বছর আগে প্রেমিক বিকেল কয়টায় কোন মেয়েটিকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছিল, তা তারা ভুলতে পারে না।
* একজন আদর্শ প্রেমিকা ফুড ব্যাংক ও ট্রাভেল গ্রুপে হাজার হাজার কমেন্ট চেক করে দেখে, কোনো মেয়ে তার প্রেমিককে মেনশন করেছে কি না।
* প্রতে্যক আদর্শ প্রেমিকাই প্রেমের জন্মলগ্ন থেকে তুখোড় বিতার্কিক হয়ে থাকে। বিশ্বের কোনো প্রেমের ইতিহাসে যুক্তিতর্কে প্রেমিকের জয় সংবাদটি পাওয়া যায়নি।
* একজন আদর্শ প্রেমিকা প্রতি মাসে একাধিকবার ব্লক করার ক্ষমতা রাখলেও একবারও ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানোর মতো মহান কাজটি করে না। ছলেবলে আনব্লক করার খবরটি জানানোর পর তারা নিশ্চিন্তে বসে থাকতে ভালোবাসে।
* একজন আদর্শ প্রেমিকার মনের ঘূর্ণি মোস্তাফিজের বলকেও হার মানায়! হাসিমুখে কথা বলার সময় অকস্মাৎ গাল ফুলিয়ে ফ্ল্যাট পিচেও টার্ন করা আদর্শ প্রেমিকাদের রোজকার রুটিন।
* প্রতে্যক আদর্শ প্রেমিকাই ঝগড়ার একপর্যায়ে ‘তুমি আমাকে বোঝোই না’ বাক্য প্রয়োগ করে প্রেমিককে বোবা বানিয়ে দিতে পছন্দ করে।
* আদর্শ প্রেমিকারা প্রতিভাবান সংরক্ষক। ফোনের গ্যালারির বেশির ভাগ জায়গা দখল করে রাখে তাদের অসাধারণ সব স্ক্রিনশট! স্ক্রিনশটের মধ্যে থাকে নতুন রেস্তোরাঁর ঠিকানা, হলে আসা নতুন সিনেমা অথবা কোনো মেয়ের ছবিতে প্রেমিকের করা কোনো কমেন্ট!
আদর্শ প্রেমিকের বৈশিষ্ট্য
* একজন আদর্শ প্রেমিক অবশ্যই সারাক্ষণ অনলাইনে থাকে। বিশ্বের যেকোনো পরিস্থিতিতে, ওয়াই-ফাই থাকুক বা না-থাকুক, মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার করে হলেও প্রেমিকার সঙ্গে যোগাযোগ রাখে তারা। এ ছাড়া একজন আদর্শ প্রেমিকের ফোনের ব্যাটারি কখনো ডাউন হয় না।
* আদর্শ প্রেমিকেরা প্রেমিকার বহুল ব্যবহৃত শব্দসমূহের অর্থ বুঝতে সক্ষম। প্রেমিকা কখন, কেন ‘হুম, আচ্ছা!’, ‘হুঁ, কিছু না!’ ইত্যাদি রহস্যজনক শব্দ ব্যবহার করে, এ সম্পর্কে একজন আদর্শ প্রেমিক অবগত থাকে।
* আদর্শ প্রেমিকেরা প্রতি মাসে অন্ততপক্ষে একবার করে প্রেমিকার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ব্লক খাওয়ার স্বাদ গ্রহণ করে। এ স্বাদের কোনো রিভিউ তারা দেয় না।
* আদর্শ প্রেমিকেরা হয় পাহাড়ের মতো। যেকোনো অবস্থায় তারা ‘সব দোষ আমার’ বাক্যটি উচ্চারণ করে নিজের কাঁধে দোষ নিতে কুণ্ঠাবোধ করে না।
* একজন আদর্শ প্রেমিক কখনোই প্রেমিকা ছাড়া অন্য মেয়ের ছবিতে লাভ রিঅ্যাকশন দেয় না। লাভ দিয়ে পাশে থাকার আহ্বানে আদর্শ প্রেমিকেরা সব সময়ই ফেক আইডি ব্যবহার করে।
* যেখানে–সেখানে, যখন–তখন ভিডিও কল আসার পূর্বপ্রস্তুতি নিয়ে রাখা একজন আদর্শ প্রেমিকের সুপ্ত প্রতিভা।
* একজন আদর্শ প্রেমিক অগণিত সুন্দরীর ‘ভাইয়া’ হয়ে থাকে। প্রেমিকার বান্ধবীরা অনেক মিষ্টি করে ‘ভাইয়া’ ডাকলে হজম করার অপরিসীম ক্ষমতাও তাদের থাকে।
* আদর্শ প্রেমিকেরা কদাচিৎ মাঝরাতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়, ‘কারও কাছে অমুক ফোনের ২০ টাকা রিচার্জ কার্ড হবে?’
* আদর্শ প্রেমিকেরা দ্রুত সময়ে ইয়ারফোনের প্যাঁচ খোলার অপরিসীম ক্ষমতা রাখে।
* আদর্শ প্রেমিকের বাড়িওয়ালার কোনো মেয়ে থাকে না। যে বাড়িওয়ালার মেয়ে থাকবে, সে বাসায় সে উঠবেই না!
* একজন আদর্শ প্রেমিকের ফোনে প্রেমিকা ছাড়াও অনেকেই মেসেজ দেয়। প্রেমিকা বাদে আর যেসব মেসেজ আসে, সেগুলো হয় এ রকম, ‘ডিয়ার স্যার, আমাদের রেস্টুরেন্টে চলছে বাই ওয়ান গেট ওয়ান অফার!’/‘গুড ইভনিং, অমুক শপের পক্ষ থেকে ভ্যালেন্টাইন উপলক্ষে পাচ্ছেন আকর্ষণীয় ছাড়! প্রি-অর্ডার করতে ক্লিক করুন...’।
* আদর্শ প্রেমিকেরা ফুড ব্যাংক, ট্রাভেল গ্রুপগুলোর পোস্টে নিয়মিত প্রেমিকাকে মেনশন করে অ্যাকটিভ থাকে।