আমাকে ডেকে জড়িয়ে ধরো বাবা

পাঠকের সুখ–দুঃখ, হাসি–আনন্দ, পছন্দ, ভালোলাগা, ভালোবাসাসহ যে কোনো না বলা কথা শুনতে চায় মনের বাক্স। প্রতি সপ্তাহে পাঠকের পাঠানো সেসব লেখা থেকে নির্বাচিত কিছু লেখা আজ প্রকাশিত হলো এখানে

মনের বাক্স

কত দিন দেখি না তোমায়

অনেক দিন হলো তোমাকে দেখি না। তুমি আমাকে ভুলে থাকতে পারো, কিন্তু আমি তা পারি না। নিজেকে বারবার বোঝাই, কী লাভ তোমার কথা ভেবে। তুমি কি জানো, অপরাজিতা, রাত হলে তোমার কথা বেশি মনে পড়ে। রাত আঁধার ধারণ করে। আর তাই হয়তো আমার মনের যন্ত্রণা তাতে মিশে গাঢ় আঁধারে পরিণত হয়। তোমার জন্য একবুক কষ্ট জমা আছে। সেই কষ্টের রং নীল। আর তাই হয়তো তোমাকে নীল কষ্টের অপরাজিতা বলে ডেকেছি। হয়তো সারা জীবনই এই নামেই তোমাকে ডাকব।

রবিউল ইসলাম, ফরিদপুর

আমাকে ডেকে জড়িয়ে ধরো বাবা

আমি নাহয় ভালোবেসে বিয়ে করেছিলাম, তুমি কী পারতে না মেনে নিতে? ছেলেটাকে তো তুমি একসময় পছন্দ করতে। তোমার সঙ্গে যেবার মিষ্টির দোকানে হঠাৎ দেখা হলো, আমি ভেবেছিলাম, তুমি আমাকে জড়িয়ে ধরবে। ঠিক যেভাবে মামাবাড়ি থেকে ফিরলে শক্ত করে জড়িয়ে ধরতে। তোমাকে দেখে সেদিন আমার ভেতরে যে কী তোলপাড় হয়েছিল, সেকি তুমি বোঝোনি? সত্যি করে বলো তো বাবা, তুমি কী এখনো আমাকে ভালোবাসো না? আমার স্বামী তো কোনো খারাপ ছেলে নয়, ভালো চাকরি করে, আমাকে এখনো ভাত মুখে তুলে খাইয়ে দেয়। আমি দুঃখ পেলে সারা রাত বসে থাকে মাথার কাছে। তুমি আর কেমন ভালো ছেলে দেখে আমাকে বিয়ে দিতে চেয়েছিলে বলো তো? নাকি নিজের ইচ্ছায় ভালোবাসার মানুষের গলায় মালা পরানোতেই তোমার যত ক্ষোভ? আট বছর তো চলেই গেল, তোমার মন কি গলবে না? স্বামীর ঘরে ভালোবাসার অভাব না থাকলেও তোমার অভাব তো পূরণ হওয়ার নয়। আমাকে একবার দুটি চড় দিয়েই নাহয় জড়িয়ে ধরো। প্লিজ বাবা, আমি আর পারছি না।

মনিকা বিশ্বাস, ফরিদপুর

এক অন্য রকম বাবা আমার

চাকরি কিংবা একাডেমিক জীবনে কোনো পরীক্ষায় খারাপ ফলাফল করলে তোমাকে বলতে শুনিনি, কেন খারাপ হলো। সব সময় তুমি বলেছ, এবার ভালো হয়নি, পরের বার হবে। আমার যেদিন কোনো পরীক্ষার ফলাফল বের হয়, আমার চেয়ে বাবা উদগ্রীব হয়ে থাকে। ফলাফল যা–ই হোক, সহজভাবে মেনে নেয়। বরং সে এটা ভেবে উদ্বিগ্ন হয়, আমি কতটা সহজভাবে মেনে নেব। কোথাও কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে গেলেই অতিরিক্ত দুশ্চিন্তায় ভুল করা আমার স্বভাব। তাই যাওয়ার আগেই বাবা বলে, ঠাণ্ডা মাথায় কাজ করতে হয়। এ রকম ভুল প্রতিনিয়তই করি আর বাবার কষ্টটা বাড়িয়ে তুলি। সে কখনোই তার কষ্টটা বুঝতে দেয় না। মাঝেমধ্যে নিজের ভেতরের কষ্টগুলো তীব্র হয়ে ওঠে। মনে হয়, এখনো তোম‌ার গর্বের কারণ হতে পারলাম না, বাবা। তবে তোমায় অনেক ভালোবাসি বাবা।

জেলি খাতুন, কুড়িগ্রাম

ইশারার অপেক্ষায়

মনের চিলেকোঠায় তোমার জন্য কত যে হাহাকার। তোমাকে ছাড়া রোজ কত পথ একা হাঁটতে হয়। মনের মধ্যে জমিয়ে রাখা চিঠিগুলো, রোজ কতবার যে ফিরে আসে ডাকবাক্সে পৌঁছনোর আগে।

তোমাকে কাছে পাওয়ার তীব্র দহনেও ডাকা হয়ে ওঠে না তোমাকে। কাকডাকা ভোরের মিষ্টি আলো থেকে, আকাশে চাঁদের উঁকি দেওয়ার প্রতিটা মুহূর্তেই তোমার জন্য অপেক্ষা।

নবনীতা, তোমাকে ভালোবেসে পুরো জীবন কাটাতে চাই। প্রতিদিন তোমাকে কাছে না পেলেও কল্পনায় তোমাকে নিয়ে লেখা হাজারো গল্প আজ বাস্তবায়নের অপেক্ষায়। তোমার প্রিন্স চার্মিং আজ তোমার অপেক্ষায়। ভালো থেকো তুমি।

তোমার অ্যাংরি বার্ড, ধানমন্ডি, ঢাকা

লেখা পাঠানোর ঠিকানা

অধুনা, প্রথম আলো, প্রগতি ইনস্যুরেন্স ভবন, ২০–২১ কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

ই-মেইল: [email protected], ফেসবুক: facebook.com/adhuna.PA খামের ওপর ও ই-মেইলের subject–এ লিখুন ‘মনের বাক্স’