আমার আঁকা প্রথম আলো
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ। ক্যাম্পাসে ফেরা হয় না অনেকদিন হলো। কীভাবে কাটছে শিক্ষার্থীদের সময়? সেটাই ছাত্রছাত্রীরা লিখে জানাচ্ছেন ‘এ সময়ের দিনলিপি বিভাগে’। আপনিও লেখা পাঠাতে পারেন এই ইমেইলে: swapno@prothomalo.com। অথবা যোগাযোগ করুন স্বপ্ন নিয়ের ফেসবুক পেজে।
করোনাভাইরাসের প্রকোপ যখন শুরু হলো, স্কুল-কলেজ-কোচিং সবকিছু বন্ধ হয়ে গেল ১৫ দিনের জন্য, তখনো ভাবিনি এই পরিস্থিতি মহামারির রূপ নেবে। ভেবেছিলাম ১৪ দিন পর সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে। ১৫ দিন পেরিয়ে ১৫ মাস চলে গেল। কবে যে সব ঠিক হবে সৃষ্টিকর্তাই জানেন।
সেই ক্লাসরুম, কলেজের মাঠ, বারান্দা খুব মিস করছি। এখন মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, ট্যাব এগুলোই ক্লাসরুম হয়ে উঠেছে। ঘরে বসে জীবনটা একঘেয়ে হয়ে গেছে। তাই মাঝে মধ্যে ছবি এঁকে করে নিজের সৃষ্টিশীল মনটাকে বাঁচিয়ে রাখতে চেষ্টা করি।
আঁকতে ভালোবাসি ছোটবেলা থেকেই। কিন্তু পড়াশোনার পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে আঁকাআঁকি শেখা হয়ে ওঠেনি। কারণ মা চান আমি গানে মন দিই। এদিকে আমার ভালো লাগে ছবি আঁকতে। দুটোর মধ্যে সামঞ্জস্য করতে গিয়ে কোনোটাই শেখা হয়নি।
তাই মন যা চায় তাই আঁকার চেষ্টা করি। একদিন হঠাৎ ইচ্ছে হলো, প্রথম আলো পত্রিকাটি আঁকব। যেই ভাবা সেই কাজ। ছবিটা এঁকে ফেসবুকের কয়েকটা গ্রুপে দেওয়ার পর ভীষণ সাড়া পেয়েছি। তাই ভাবলাম প্রথম আলোর সঙ্গেও আমার এই অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে নিই।
কোনো কিছু আঁকার পর সবাই যখন দেখে তখন জিজ্ঞেস করে, ছবি আঁকা কোথাও শিখেছি কি না। আমি ‘না’ বললে খুব অবাক হয়ে যায়। সবাই আমাকে ছবি আঁকতে অনুপ্রেরণা দেয়।
আমি লুকিয়ে লুকিয়ে আঁকি, কারণ মা দেখলেই বকা দেবে। ছবি আঁকা শেষ হলে অবশ্য ঠিকই মাকে দেখাই। মা অবাক হয়ে বলেন, ‘কখন আঁকিস এগুলো!’
লেখক: শিক্ষার্থী, দ্বাদশ শ্রেণি, সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, সিলেট