আমার আইডল দেশের মানুষ

বান্দরবানের ছেলে মং উ চিং মারমা। হয়েছেন বাংলাদেিশ আইডল। জাদুমাখা কণ্ঠে জয় করেছেন শ্রোতাদের মন। কিছুদিন আগে গান করে এসেছেন দক্ষিণ কোরিয়া এবং অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন, ক্যানবেরা ও সিডনিতে। গত ২০ জুলাই প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপে জানান সাম্প্রতিক কাজ ও ভবিষ্যতের
স্বপ্নের কথা...
এখন ব্যস্ততা
নিজের একক অ্যালবাম নিয়ে কাজ করছি। কিছু দূর এগিয়েছে অ্যালবামের কাজ। ঈদের চতুর্থ দিনে বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) ‘পাহাড়ে সমতলে’ অনুষ্ঠানে গান করেছি। এ ছাড়া মারমা শিল্পী গোষ্ঠী ও চিম্বুক ব্যান্ডের সঙ্গে মিক্সড অ্যালবামের কাজ চলছে।
শুরুর কথা
ছোটবেলায় বাবা ক্যাসেট প্লেয়ারে গান শুনতেন। প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙত গান শুনে। তখন থেকেই ভালোলাগা তৈরি হয়। পরে বড় ভাই একটা গিটার উপহার দিয়েছিল আমাকে। সেই গিটারটি আমাকে বদলে দেয়। পাকাপাকিভাবে মন মজে যায় গানে। এরপর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা চথুই মারমার কাছে গান শিখি। বাংলাদেশি আইডল হওয়ার পর ওস্তাদ ঋতুরাজ সেনের কাছ থেকে গানের তালিম নিই।
আমার কাজ
গান করেছি মারমা শিল্পীদের গান নিয়ে ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে বের হওয়া অ্যালবাম খ্য-মে (ভালোবাসব) তে। বাংলাদেশ আইডল হওয়ার পর ওই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া শিল্পীদের নিয়ে বের হয় প্রথম প্রেম নামে মিক্সড অ্যালবাম।
বাংলাদেশ আইডলে যাত্রা
সময়টা ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাস। বান্দরবানে বাংলাদেশ আইডল প্রতিযোগিতার মাইকিং ও প্রচারপত্র বিলি হচ্ছিল। তার একটি কপি নিয়ে আমার বাবা আমার হাতে দিলেন। কিন্তু এর প্রাথমিক বাছাই ছিল রাঙামাটিতে। আমার কাছে টাকা নেই। চেষ্টা করেও টাকা জোগাড় করতে না পেরে একটু হতাশ হয়ে পড়ি। এমন সময় পাড়ার বড় ভাই উহ্লাশৈ মারমার সহযোগিতায় রাঙামাটিতে যাই। রাঙামাটিতে অডিশনে ইয়েস কার্ড পাওয়ার পর বান্দরবানের জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা মারমার সহযোগিতায় পরবর্তী ধাপগুলোতে অংশগ্রহণ করি। পরিশেষে বান্দরবানসহ সারা দেশের মানুষের ভোট ও ভালোবাসায় আজ আমি বাংলাদেশ আইডল।
ভবিষ্যতের পথে
গানটাকে ভালোভাবে শিখতে চাই। ভবিষ্যতে সংগীতের ওপর উচ্চশিক্ষার জন্য বাইরে পড়তে যাওয়ার ইচ্ছা আছে। দেশের মানুষ আমাকে বাংলাদেশ আইডল বানিয়েছে। আমার আইডল দেশের মানুষ। তাদের জন্য চেষ্টা থাকবে নতুন কিছু উপহার দেওয়ার। আর গান নিয়ে থাকতে চাই সারা জীবন।
সাক্ষাৎকার: মুজিবুল হক