আমার এ দুচোখ

হঠাৎ দেখা
রাকিবুল হাসান
কী আশ্চর্যজনকভাবে আমাদের দেখা হয়ে গেল দীর্ঘ আট বছর পর! কত সহজেই চিনে ফেলল এই এলোমেলো আমাকে! অথচ ভিড়ের মধ্যে পরিচিত কণ্ঠে আমার নাম শুনে প্রথমে চমকেই গিয়েছিলাম, ব্যস্ততম এই শহরে আমি যে এক আগন্তুক! পেছনে ফিরে তাকাতেই কালো রঙের দূরত্বের মাঝে খুঁজে পেলাম সেই পাখির নীড়ের মতো তোমার চোখ!
ভাবতেই অবাক লাগে, সময় কী করে বদলে দেয় পরিচিত পৃথিবী! অথচ অনুভূতিগুলো রয়ে যায় প্রাণবন্ত ও চিরসবুজ! কেবল স্মৃতির চাদরে ঢেকে যায় এই তো ব্যবধান! মনে পড়ে স্কুলের দিনগুলো? আচ্ছা, কতক্ষণ দুই জোড়া চোখ একই সমান্তরালে দৃষ্টি রাখতে পারে? টিচার আর সহপাঠীদের ফাঁকি দিয়ে কেমন চলে যেত সময় দৃষ্টির লেনদেনে, তার হিসাব নেই। একদিন স্কুল মিস হলে ভীষণ মায়ায় পড়ে যেত এসব মায়াকাতর চোখ!
ঊর্ধ্বমুখী স্বপ্নযাত্রা যেদিন তোমাকে শহর চেনাল, কতটা অসহায় হয়ে পড়েছিলাম কেউ জানবে না কোনো দিন!
মফস্বলি ঘ্রাণ নিয়ে এ শহরে কেমন আছে, কীভাবে বেঁচে আছে এসব চোখ, বলা হবে না কোনো দিন কাছে ডেকে। দীর্ঘ পথ চললাম একই অটোরিকশায়, দু-একটি কথায় কেটে গেল আট বছর পর আরও কিছু সময়! আগের মতো এবার আর দৃষ্টিতে সমান্তরাল রেখা নেই!
বারবার লুকিং গ্লাসে ভুলক্রমে চোখাচোখি হয়ে যাচ্ছিল আমাদের, যেন চোখেরা বলছে, ‘এত দিন কোথায় ছিলেন?’
মহাখালী, ঢাকা
কার ছবি আঁকে
কবীর হোসেন
কখনো কখনো আমার এ দুই চোখ অশ্রুসিক্ত হয়, কখনো-বা শয়নে কিংবা গভীর ঘুমের ঘোরে রঙিন স্বপ্ন এসে খেলা করে এই দুই চোখের আঙিনায়। আর সেই স্বপ্নগুলো হয়তো একদিন সত্যি হবে জেনেই এ সুন্দর পৃথিবীতে যুগ যুগ ধরে বাঁচাতে ইচ্ছে করে। সেই শৈশব থেকে হাঁটি হাঁটি পা পা করে জীবনের ৩৩টি বসন্ত অতিক্রম করতে যাচ্ছি। এই ৩৩ বসন্তে আমার দুই চোখের সাজানো কিছু স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। আবার কোনো কোনো স্বপ্নের অপমৃত্যুও হয়েছে। ভালোবাসার জন্য জীবন অথবা জীবনের জন্য ভালোবাসা। আর সেই ভালোবাসার জন্যই মানুষ স্বপ্ন দেখে। ভালোবাসার সঠিক গন্তব্যে পৌঁছার স্বপ্ন বুনে চোখের তারায় কিংবা মনের ক্যানভাসে প্রিয়তমার ছবি আঁকে অবিরত। কিন্তু আমি আমার দুই চোখে কার ছবি এঁকে যাই? কে আমায় দূর থেকে কাছে ডাকে ইশারায়? আমার তো মনের দরজায় শিকল দিয়েছে কঠিন বাস্তবতা। কার উষ্ণতা পেতে চায় এ আহত হৃদয়। কাকে নিয়ে ক্ষণে ক্ষণে রঙিন স্বপ্ন বুনে অশ্রুজলে ক্ষয়ে যাওয়া দুই চোখ আমার। নিশিতে কে এসে ভালোবাসার নিমন্ত্রণ জানিয়ে কড়া নাড়ে ভাঙা মনের দরজায়।
রঙিন আলোয়
আতিক রহমান
তোমার শেষ চিঠিটা আমার বুকপকেটে, আমি বাসার ছাদে। রাতের কৃষ্ণ বর্ণ চাদরে ঢেকে গেছে চারপাশ। চলে যাওয়ার নয় মাস পরে চিঠিতে তুমি তাচ্ছিল্যের সঙ্গেই আমাকে আশীর্বাদ করেছ, ভাবতেই চোখ গলে দুই ফোঁটা জল পড়ল শক্ত কংক্রিটে।
মোজাইক পাথরের কংক্রিট অশ্রুকণার অনুভূতি টের পাবে না, আমার বেদনার অনুভূতি টের পাবে তোমার নিছক নীরবতা।
যেখানে তুমি লিখেছ, ‘আমার চোখ পাথর। আমি কাজ নিয়ে ব্যস্ত, তোমার প্রতি, ছোট্ট মেয়েটার প্রতি মায়ার দৃষ্টি নেই। সংসার, পরিজন নিয়ে আমি ভাবতে পারি না।’
সেই লাইন দুটি আমি হাজারবার পড়েছি। আমার চোখেও মায়া আছে, পাথরের চোখ নিয়ে জন্ম হয়নি আমার। জীবন ও জগতের কঠিন দশা আমাকে ভাবতে শিখিয়েছে নির্দয়ভাবে। আমি তোমার জন্য কাঁদতে চেয়েছি, আমাদের সংসারজীবনের জন্যই কাঁদতে চেয়েছি। ছোট্ট মেয়েটার জন্য কাঁদতে চেয়েছি।
আমাকে কাঁদিয়েছে বিডিআর বিদ্রোহের লেলিহান শিখা, রানা প্লাজার ট্র্যাজেডি, আমাকে কাঁদিয়েছে পিনাক ছয়ের বাঁচার চিৎকার, আমাকে কাঁদায় রাজপথে যখন স্বপ্ন পিষে যায় গাড়ির চাকা। সোনালি ও মিতুর মতো নিষ্পাপ মুখগুলোর জন্য আমি নিউজ রুমকেই সংসার ভাবতে শিখেছি। আমার চোখ দুটির প্রশংসা দেশজুড়ে, শুধু তোমার কাছেই পেলাম অভিশাপ।
বরগুনা
সে আসবে একদিন
আকেল হায়দার
ভোরের নবীন হাওয়া। আর কোমল রোদে যখন তাকাই, পৃথিবীর চোখে দেখি রাশি রাশি কালো মেঘ। আর বিষাক্ত কার্বন যেন নিচ্ছে শুষে শরীরের নির্যাস। শীর্ণকায় অযুত অসহায় মানুষ দিগ্বিদিক কাটছে সাঁতার তীরহীন সমুদ্রে। অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, ঠিকানা নেই তাদের। চারদিকে অশ্লীল চিৎকার আর আর্তনাদের মহা উৎসব। মানবতার শিকড় নিংড়ে প্রতিদিন চলছে নৃশংসতা। এর মাঝে তবুও নিহিত থাকে কিছু ভালো কাজ, কিছু ভালো উদ্যোগ, কিছু ভালো প্রচেষ্টা। তাই তো আজও হাসে বসুন্ধরা, ফোটে ফুল, বিহঙ্গ আকাশে ওড়ে, কিছু মানুষ সুদিনের প্রতীক্ষায় থাকে...
সারা দিনের জাগতিক ক্লান্তি মেখে যখন নিজেকে ছুড়ে দিই নিদ্রাদেবীর কাছে—সব সুন্দর দল বেঁধে এসে যেন ভিড় করে মনের সবটুকু জুড়ে। নক্ষত্রেরা এসে মিছিল করে যায় কর্নিয়ার নিকানো উঠোনে। ভালোবাসার নীলকণ্ঠ এসে উঁকি দেয় কাচের জানালায়। অযুত-সহস্র নির্মল উপাখ্যান লিখে যাই নিভৃতে রাত্রির পাতায় পাতায়; একটা অনাগত সুদিনের প্রত্যাশায়।
একটা খুব কঠিন অথচ কাঙ্ক্ষিত সুন্দর স্বপ্ন বুনে যখন ভেসে যাই ঘুমের গ্রহে, তখন ডানা ফিরে পাওয়া পাখির মতো বিজয় পুনরুদ্ধারে মত্ত দুটি চোখ খুঁজে ফেরে হারিয়ে যাওয়া কাকে? অনাবিল মেঠোপথ, নিরিবিলি ছায়াঘেরা অরণ্য, সুন্দর বসন্ত দিন, পাশাপাশি পথচলা আর সীমাহীন ভালোবাসা দিয়ে মোড়ানো একটা পৃথিবীর স্বপ্ন হাতছানি দেয় চোখে। যেখানে নেই কোনো কষ্ট। কিংবা বঞ্চনা, কান্না কিংবা আহাজারি। মৃত্যু অথবা যন্ত্রণা! নির্মল ভালোবাসা আর সহমর্মিতার ছায়ায় ঘেরা সে পৃথিবী উঁকি দেয় শুধু চোখের গহিনে। সে আসবে, সে আসবে একদিন—সব ভুল ভেঙে গেলে শেষে। অসহ্য সুন্দর কোনো পৃথিবীর ক্যানভাস সঙ্গে নিয়ে এই দুই চোখের পাদদেশে।
লজ্জা
শাহরিনা রহমান
‘আম্মা, গ্রিলড চিকেন খাইতে ইচ্ছা করতেছে।’ আম্মা পত্রিকার পাতাটা উল্টে বললেন, ‘ওই সব ভালো না। ভালো করে ধোয় না। নোংরা। আমি বানায় দিবনে। তখন খাইস। এখন ভাত খা।’
গজগজ করতে করতে বললাম, ‘রোজ এই এক ভাত-তরকারি, মাছ-মাংস ভাল্লাগে কারও?’
আম্মা গম্ভীর কণ্ঠে আবার পাতা উল্টে বললেন, ‘বেশি বকবক করিস না। ভাত মাখায় আনতেছি, রুই মাছের দোপিয়াজা, লেবু আর ডাল দিয়ে। ঘরে যা।’
মেজাজটা খারাপই হচ্ছিল। রুমে এসে দরজা বন্ধ করে দিতে গিয়ে দেখি, বুয়ার বাচ্চা মেয়েটা দরজার পাশে দাঁড়ানো। তিন-চার বছর বয়স হবে। বাবা নেই। রোজ বুয়ার সঙ্গেই আসে। মায়াকাড়া মুখ।
জিজ্ঞেস করলাম, ‘কিছু বলবা?’
বাচ্চাটা একটু হেসে বলল, ‘আপনের ভাত খাইতে ভাল্লাগে না আফা?’
আমি বিব্রত ভঙ্গিতে মাথা নাড়লাম। জিজ্ঞেস করলাম, ‘ক্যান? কী হইছে?’
বাচ্চাটা লজ্জাবনতমুখে উত্তর দিল, ‘আপনের যদি ভাত খাইতে ইচ্ছা না করে, আমারে দিয়া দিবেন? দুই দিন থেইক্যা খাইতে পাই না। মায়ের শরীলডা ভালা না। কামে যাইতারে না। ভাতও অয় না। এই যে এই পলিথিনডায় কইরা দিলেই অইব। আপনের যদি খাইতে ভালা না লাগে..’
বাচ্চাটার হাতে নীল ছোট একটা আধময়লা পলিথিন।
রান্নাঘরে তখন কাচের প্লেটে ভাতের চামচের টুংটাং শব্দ শোনা যাচ্ছে। সঙ্গে ভাত, টমেটো দেওয়া রুই মাছের দোপিয়াজা আর কাগজিলেবুর ঘ্রাণ।
লজ্জায় আমার দুচোখ বন্ধ হয়ে আসে।
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ, বরিশাল
আলো আসুক সবার চোখে
জমাতুল ইসলাম
আবেগ-অনুভূতি, অভিব্যক্তি প্রকাশে চোখ খুব গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। চোখের চাহনিতেই ফুটে ওঠে প্রেম, ভালোবাসা, ঘৃণা বা করুণার অভিব্যক্তি। সুতরাং মানবমনের স্বরূপ চিত্রণে চোখের মতো কার্যকর দ্বিতীয় কোনো ইন্দ্রিয় নেই।
সাহিত্য, সংগীত বা চিত্র—প্রায় সব শিল্পমাধ্যমজুড়েই রয়েছে চোখের এক তাৎপর্যময় উপস্থিতি। জীবনানন্দের বিখ্যাত কবিতার সেই লাইন, ‘... পাখির নীড়ের মতো চোখ তুলে নাটোরের বনলতা সেন।’ কিংবা প্রবীণ কণ্ঠশিল্পী সৈয়দ আবদুল হাদীর গাওয়া গান, ‘চোখের নজর এমনি কইরা...’ আমাদের বুঝিয়ে দেয় সাহিত্য, সংগীতে চোখের প্রভাব কতখানি!
যাঁরা শিল্পকে লালন করেন, ভেতরে শুদ্ধতা ও মানবতা পোষণ করেন, তাঁদের শুধু এক জোড়া চর্মচক্ষুই কর্মক্ষম নয়। তাঁদের ভেতরকার যে চোখ, সে চোখ খুবই প্রবল দৃষ্টিশক্তিসম্পন্ন ও সংবেদী। আর এই চোখই আমাদের কাছে তৃতীয় নয়ন হিসেবে পরিচিত। যে ব্যক্তি চিন্তাভাবনায় যত বেশি উন্নত, সে ব্যক্তির সেই অন্তর্দৃষ্টিও তত প্রসারিত।
প্রসারিত দৃষ্টির মানুষ দ্বারাই সৃষ্টি হোক আগামীর পথ, আলো আসুক সবার চোখে।
দুরন্ত শৈশব
অনিক সাহা
কোনো এক সকালে বাসার জানালার ফাঁক দিয়ে আকাশের দিকে তাকালাম। হঠাৎ পাশের বাসার বারান্দায় আমার এ দুই চোখ আটকে গেল। একটি আট বছরের কন্যাশিশু বারান্দার রেলিং ধরে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। আমি লক্ষ করলাম শিশুটি পাশের বাসার ছাদের দিকে খেয়াল করছে। আমি বিছানা থেকে উঠে দেখলাম শিশুটি পাশের বাসার ছাদের ওপর স্কুলের ছেলেমেয়েদের খেলা দেখছে। স্কুলের ছেলেমেয়েরা আনন্দে খেলা করছে। মেয়েটির হয়তো এই খেলা দেখে মনে পড়ে গেছে তার দুরন্ত ছোটবেলার কথা। মনে করছে, আমি এদের মতো করে আমার গ্রামের সরিষাখেতের পাশের মাঠে বন্ধুদের সঙ্গে খেলা করতাম। স্কুলে গিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে বিভিন্ন খেলায় মেতে উঠতাম। আর আজ আমি ইট, কাঠ, দালানে বন্দী। মেয়েটি কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর এক দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বাসার ভেতরে ঢুকে গেল। এখন তাকে ওই পরিবারের কোনো সন্তানকে স্কুলের জন্য প্রস্তুত করে দিতে হবে। প্রতিদিন সে বারান্দায় এসে ওই পাশের বাসার ছেলেমেয়েদের খেলা দেখবে আর কল্পনা করবে, যদি আবার ফিরে যেতে পারতাম শৈশবে।
তিনি আমার বড় ভাই
সাইফুল ইসলাম
আমার বড় ভাই হঠাৎ ঘাড়ের ব্যথা নিয়ে ঢাকায় চলে এলেন চিকিৎসা করাতে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর শুধু মেরুদণ্ডে সমস্যা ধরা পড়ল। কিন্তু চিকিৎসকেরা অন্য কিছু ভাবলেন। করা হলো বায়োপসি। তাতে কোনো সমস্যা ধরা পড়ল না। ধীরে ধীরে তিনি হাঁটা-চলার শক্তি হারিয়ে ফেললেন। শরীরের পুরোটাই বিকল হয়ে গেল।
কী করব বুঝতে পারছিলাম না। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তাঁকে ভারতে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। ২৪ ঘণ্টায় জরুরি পাসপোর্ট করা হলো। আমাকেই যেতে হবে তাঁকে নিয়ে। প্রথমবার বিদেশ। ভাই শয্যাগত রোগী। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হলো ভারতের ভেলোর। ৩৬ ঘণ্টার ট্রেন জার্নি করে পৌঁছালাম সেখানে। বড় ভাই সারাক্ষণ যন্ত্রণায় ছটফট করেন। একটু পরপর তাঁর শরীর ম্যাসাজ করে দিতে হয়। একবার ভাইয়ের পাশে দাঁড়াই। একবার চিকিৎসকের কাছে যাই। আরেকবার ছুটি নানান পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে। রোগীর সঙ্গে পুরুষ সঙ্গী থাকার কোনো নিয়ম নেই। আমি ওয়ার্ডের বাইরে খবরের কাগজ বিছিয়ে পড়ে থাকি। বারবার ভাইয়ের কাছে যাই। আবার বাইরে এসে জায়গামতো বসি। প্রস্রাব-পায়খানা আমি নিজ হাতে পরিষ্কার করতাম।
ধরা পড়ল ক্যানসার। চিকিৎসকেরা আমাকে ডেকে নিয়ে সান্ত্বনা দিলেন। বললেন, ‘আমাদের তেমন কিছু করার নেই। দেশে নিয়ে যান।’ কয়েক দিনের মধ্যেই বড় ভাইকে নিয়ে দেশে ফিরে আসি। আমার ভাইয়ের পাশে থাকা ২৬ দিন। ভারতে যাওয়া-আসা নিয়ে।
ভাই এখন রাজশাহীতে। বিছানায় শুয়ে কাতরাচ্ছেন। চাকরিসূত্রে ঢাকায় থাকি। প্রতি সপ্তাহেই ছুটে যাই রাজশাহীতে। ছয় মাস ধরে এভাবেই চলছে।
এমন অবস্থায় কেউ যাতে না পড়েন। এমন অসুখ যেন কারও না হয়। ভাই আবদুল কাদের অসুস্থ, আমার কিছুই করার নেই। তবু বারবার মনে হয়, ভাইয়ের সেবায়, ভাইয়ের পাশে, ভাইয়ের শুশ্রূষায় আমি আছি। থাকব। তিনি যে আমার ভাই।
মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক
প্রথম আলো বন্ধুসভা জাতীয় পরিচালনা পর্ষদ