মা, তুমি কেন নেই

মনের বাক্স

আমি কথা রেখেছি

২৮ অক্টোবর ২০২০। মনের বাক্সে আমার লেখা প্রকাশের পর তোমার কাছে অধুনা পৌঁছানো ছিল মূল দায়িত্ব। কারণ, অধুনায় কথা দিয়েছিলাম লেখা প্রকাশিত হলে পত্রিকা তোমার বাসায় গিয়ে দিয়ে আসব। আমি রাতের আঁধারে তোমার কাছে জানালা দিয়ে পৌঁছে দিয়েছি সেই কাগজ। জানি না তুমি আমার মনের কথাগুলো পড়েছ কি না।

যা–ই হোক, শুক্রবার (৫ মার্চ) বিকেলবেলা তোমাকে দেখলাম, তুমি চলে যাচ্ছ তোমার মাতৃভূমিতে। আর আমি তখন শহরে আসব বলে প্রস্তুতি নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছি। গাড়িওয়ালা জানতে চাইল আমি যাব কি না, আমি শুধু বললাম না দেরি হবে। তুমি আমাকে দেখলে, আর আমি দেখলাম শুধু তোমার চোখ।

জানি না আমি এখনো কতটা আপন তোমার। তোমার ফোন নম্বর আছে, কিন্তু কল দেওয়া নিষিদ্ধ! তোমার ঠিকানা আছে, তবু চিঠি দিতে পারি না। তোমার প্রতিটা খবর আমার জানা আছে, তবু সামনে গিয়ে বলতে পারি না। আসলে আমি এখনো চাই তোমাকেই ভালোবাসতে। ভালো থেকো রাজকুমারী।

রাজকুমার, সরকারি শাহ্‌ সুলতান কলেজ, বগুড়া

করোনাকালে প্রাপ্তি

করোনাভাইরাস আসার দুই মাস আগে নতুন চাকরিতে যোগদান করি। দুই মাসেই চারজন সহকর্মীর সঙ্গে একটা বন্ধুত্বসুলভ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রথম পরিচয়ে বন্ধুত্ব হয় নাজিয়া মিসের সঙ্গে। তাঁর সূত্রে পরিচয় হয় আঁখি মিস, কথা মিসের সঙ্গে। অন্তরা আমার পূর্বপরিচিত, ওর সঙ্গে বন্ধুত্ব আগে থেকেই গভীর। সবশেষে রোজী মিসের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় পরীক্ষার প্রশ্ন তৈরি করতে গিয়ে।

হঠাৎ করোনা এসে জীবনের ছন্দপতন তো ঘটলই, চারপাশের রং কেমন ফিকে হয়ে আসতে শুরু করল। ঠিক এই সময়েই আমরা আবার আমাদের সম্পর্কটা আরও দৃঢ় করে তুললাম। একে অন্যের প্রয়োজনে এতটাই মিশে গেলাম যে ফোনেই আমাদের আরেকটা জগতের শুরু হলো। আমরা ছয়জন যেন আরও নিবিড় করে নিজেদের সুখ–দুঃখের সঙ্গী হলাম।

প্রিয়জন হারানোর দুঃখটাও বড় ধাক্কা দিয়ে গেল। জীবন নতুন অভিজ্ঞতায় আমি খেই হারিয়ে ফেলতে থাকলাম। এই সময়টা ইয়োগা আর আমার সঙ্গীরা আমাকে হারিয়ে যেতে দিল না। আমরা আবার আগের মতো স্বাভাবিক হলাম। দুজন নতুন চাকরিতে জয়েন করেছে। আমাদের পেশাগত পথ আলাদা হয়ে গেছে তাদের থেকে। তবে ভালোবাসা আর যোগাযোগ অটুট আছে। করোনা শেখাল জীবন কত সুন্দর! সময় কত মূল্যবান। অনেক কিছু হারানোর পরও এই যে বন্ধুদের পেয়েছি, করোনাকালে এটা বড় প্রাপ্তি।

নিপা, নারায়ণগঞ্জ

আটকে গেছি মায়াজালে

ফাগুন হাওয়ায় বসন্ত যখন এসেছিল আমার দুয়ারে, ঠিক গোধূলিলগ্নে তোমার পরশ অনুভব করেছিলাম আমার ভুবনে। তোমার দুটি চোখের মায়ায় পড়ে আর বের হতে পারলাম না। কারণ, তুমি আমার সত্তার সঙ্গে মিশে বসন্ত হয়ে দখিনা হাওয়ায় আজও দুলে বেড়াচ্ছ। মধ্যরাতে বারান্দায় দাঁড়িয়ে একা একা কাঁদি, আর ভাবি কখনো কি পাব তোমার ছোঁয়া? তুমি কখনো কি বুঝতে পারবে আমার না বলা ভালোবাসা? এই মায়াজালের শেষ লাইনটা কোথায় আমার জানা নেই।

ফারিয়া জান্নাত, ট্টগ্রাম

মা, তুমি কেন নেই

মা, তুমি ছাড়া আমাদের এই সংসার ‘সংসার অরণ্য’। ছোটবেলা থেকে শুনছি, ভালো মানুষেরা নাকি বেশি দিন এই দুনিয়ায় থাকে না। তাই বলে তোমাকেই সবার আগে যেতে হলো?

জানো মা, তুমি চলে যাওয়ার পর কোনো দিন শান্তিতে ঘুমাতে পারিনি। আমার প্রয়োজনগুলো আর কাউকে বলিনি। আমার সবকিছু তোমার সঙ্গেই শেয়ার করতাম। খুব দুশ্চিন্তা হয়, তুমি চলে যাওয়ার পর থেকে বাবাও ভীষণ অসুস্থ। প্রতিটা মুহূর্তে শুধু তোমার কথা মনে পড়ে।

তুমি বলেছিলে, একদিন আমাদের নিয়ে ঢাকা শহর ঘুরে আসবে। মা, তোমার ছেলে এখন ঢাকাতেই থাকে। একদিন এসে ঘুরে যাও না। দেখে যাও এই অদেখা শহরটা আর তোমার ছেলেকে।

মা, তুমি যাওয়ার পর আমি একটা কবিতা লিখেছি, নাম দিয়েছি ‘রজনীগন্ধা’। তুমি একটু সবাইকে বলে দিয়ো ‘কবিতাটি ভালো হয়েছে’।

খোরশেদ আলম, গাজীপুর

কাল্পনিক ভালোবাসা

আমার বাস্তব কোনো প্রিয়তমা নেই। তবে আমার কল্পনায় একজন প্রিয়তমা আছে। যার নাম দিয়েছি রোদেলা। যাকে নিয়ে ভাবতে ভালো লাগে, প্রচণ্ড ভালোবাসতে ইচ্ছা হয়। কিন্তু তার বিচরণ তো শুধু আমার কল্পনাতেই। যার বাস্তবিক কোনো অস্তিত্ব নেই। যখন একা একা আনমনে বসে থাকি, তখন কাল্পনিক রোদেলা আমাকে সঙ্গ দেয়। পাগলের সুখ তো মনে মনে। তাই কল্পনার জগতেই আমাদের গল্প হয়, হয় খুনসুটি আর মান-অভিমান। তাই ভাবি বাস্তবে কাউকে পেলেও প্রচুর ভালোবাসতাম তাকে।

ইমরান হোসেন, সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ, পাবনা

লেখা পাঠানোর ঠিকানা

অধুনা, প্রথম আলো, প্রগতি ইনস্যুরেন্স ভবন, ২০–২১ কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

ই-মেইল: [email protected], ফেসবুক: facebook.com/adhuna.PA খামের ওপর ও ই-মেইলের subject–এ লিখুন ‘মনের বাক্স’