ইন্টারনেটের সুফল জানল মহেশখালীর শিক্ষার্থীরা

মহেশখালী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে আই–জেন উৎ​সবে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষকেরা l প্রথম আলো
মহেশখালী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে আই–জেন উৎ​সবে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষকেরা l প্রথম আলো

ইন্টারনেট–সুবিধা পাওয়া, হাতের মুঠোয় গোটা বিশ্বকে পাওয়ার মতোই। এর যেমন সুফল আছে, তেমনি আছে কুফলও। তবে যারা এই সুবিধা নিজেদের ও সমাজের উন্নয়নের জন্য কাজে লাগাবে, তারা এগিয়ে যাবেই। কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায় অনুষ্ঠিত গ্রামীণফোন–প্রথম আলো আই–জেন উৎসবে উচ্ছ্বাস-উদ্দীপনার মাঝেও এ কথাগুলো উচ্চারিত হয়েছে বহুবার। আর ইন্টারনেটের গঠনমূলক ব্যবহার করে বহুদূর যাওয়ার স্বপ্নও তরুণদের।
অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী আনিকা সুলতানাও তেমন কথাই বলল। তার মতে, কলম দিয়ে ভালো-খারাপ দুই ধরনের কথাই লেখা যায়। ইন্টারনেটের ভালো ব্যবহার করেই এগোবে তরুণেরা।
১২ মে সকাল ১০টায় মহেশখালী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় ইন্টারনেট–বিষয়ক আই–জেন উৎসব। বিদ্যালয়ের প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থী অংশ নেয় উৎসবে।
উৎসবের শুরুতেই ইন্টারনেট–বিষয়ক ২০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির ৬০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এরপর প্রজেক্টরের মাধ্যমে দেখানো হয় ইন্টারনেট ব্যবহারের নানা কলাকৌশল। বিদ্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আই–জেন উৎসবে সভাপতিত্ব করেন মহেশখালী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) নেজাম উদ্দিন।
প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ এ কে এম ফজলুল করিম চৌধুরী। অতিথি ছিলেন কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) নাছির উদ্দিন ও কক্সবাজারে প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক আব্দুল কুদ্দুস। আই–জেন উৎসবের জেলা সমন্বয়কারী ইব্রাহিম খলিলের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত উৎসবে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রথম আলোর মহেশখালী প্রতিনিধি রুহুল বয়ান।
প্রধান অতিথি এ কে এম ফজলুল করিম চৌধুরী বলেন, ইন্টারনেটের কারণে সারা বিশ্ব এখন হাতে মুঠোয়। ইন্টারনেট থেকে মুহূর্তের মধ্যেই অনেক কিছুই জানা সম্ভব। তিনি আরও বলেন, আগে কারও এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র হারিয়ে গেলে থানায় সাধারণ ডায়েরি করার পর বোর্ডে আবেদন করতে হেতা। এতে বোর্ড থেকে প্রবেশপত্রটি পেতে কয়েক দিন সময় লেগে যেত। কিন্তু এখন ইন্টারনেটের মাধ্যমে স্কুলে বসে সেই হারিয়ে যাওয়া প্রবেশপত্রটি শিক্ষার্থীরা সহজেই পাচ্ছে। তাই ইন্টারনেট এনে দিয়েছে মানুষ জীবনযাত্রারা আমূল পরিবর্তন।
উৎসব শেষে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া ১০ জন নিয়ে মহেশখালী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় আই–জেন দল ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীরা হলো অষ্টম শ্রেণির আনিকা সুলতানা, মাফরুহা সেলমি, এস্তেফা খানম, নবম শ্রেণির খিংলা ওয়ান, জান্নাতুল নাইম, আফিয়া তুস আনিচা ও দশম শ্রেণির ছাত্রী নুজহাত তাহসিন, জেবা সাজিদা, শাহরিনা ফারজানা পপি ও মর্তুজা আফরিন নীহা। বিজয়ী দল ২৫ মে কক্সবাজারের অনুষ্ঠেয় মূল উৎসবে অংশ নেবে।