ঈদ শপিং

ঈদের শপিং? বাপ রে বাপ! ভিড় বাঁচিয়ে কেনাকাটা করার মোক্ষম কিছু উপায় জেনে নিন।

আঁকা : শিখা
আঁকা : শিখা

পালকি পদ্ধতি
শপিং করতে পারেন পালকিতে চড়ে। পালকি থেকে নেমে শপিং শেষ করে আবার রাজার হালে বেরিয়ে আসতে পারবেন নির্বিঘ্নে।
কী মিয়ারা, আগে বাড়ো না ক্যান, রাস্তা শেষ নাকি? দোকান তো এখনো বহুত দূর।
স্যার, আর সামনে বাড়ন যাইব না, দেখেন না সাইনবোর্ডে লেখা—মার্কেটের ভেতরে যানবাহন প্রবেশ নিষেধ।
মার্কেটের ভেতরে যানবাহন প্রবেশ নিষেধ

আঁকা : শিখা
আঁকা : শিখা

রণপা পদ্ধতি
রণপা হলো পায়ের মধ্যে দুটি লম্বা বাঁশ লাগিয়ে হাঁটাহাঁটি করার বিশেষ উপায়। শপিংয়ে ভিড় এড়াতে ব্যবহার করুন রণপা।
ভাই, আমার সাইজের একটা লাল পাঞ্জাবি দেন তো।
আপনার সাইজের কোনো লাল পাঞ্জাবি নাই, ১২ হাত লম্বা শাড়ি আছে, দিমু?

আঁকা : শিখা
আঁকা : শিখা

নৌকা পদ্ধতি
এখন বর্ষাকাল। যেকোনো সময় বৃষ্টি এসে ভাসিয়ে দিতে পারে যেকোনো মার্কেট। তাই শপিংয়ের জন্য ব্যবহার করুন নৌকা।
ওই মিয়া, ধাক্কা দিলেন ক্যান! নৌকার ব্রেক নাই!
ব্রেক ছিল ভাই, পানিতে ভাসার পর থেইকা আর কাজ করতেছে না।

আঁকা : শিখা
আঁকা : শিখা

টারজান পদ্ধতি
টারজান যেমন গাছের লতা ধরে ঝুলে বনের এ–মাথা থেকে ও–মাথায় উড়ে চলে যায়, আপনিও তেমনি বিভিন্ন দোকানের ব্যানার, রশি ধরে ঝুলে মার্কেটের এ–মাথা থেকে ও–মাথায় চলে যেতে পারেন।
আপনাদের এই শাড়ি কেমন? দুই দিন পরেই ছিঁড়ে যাবে না তো আবার?
আরে নাহ আফা, কী কন না কন! ওই যে দেখেন আমাগো দোকানের শাড়ি ঝুলাইয়া রাখছি, লোকজন কী সুন্দর আরাম কইরা ঝুলাঝুলি করতেছে, একটুও ছিঁড়ে নাই।

আঁকা : শিখা
আঁকা : শিখা

মাথা ঘোরা পদ্ধতি
মার্কেটের সামনে গিয়েই মাথা ঘুরে পড়ে যেতে পারেন। এতে করে লোকজন আপনাকে ধরাধরি করে যেকোনো একটা দোকানের ফ্যানের নিচে ঠান্ডা বাতাসে নিয়ে যাবে, তখনই সুস্থ হয়ে উঠে কেনাকাটা শুরু করতে পারবেন।