সদারঙ্গ উচ্চাঙ্গ সংগীত পরিষদের দুদিন ব্যাপি সপ্তদশ জাতীয় উচ্চাঙ্গ সংগীত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়ে গেল চট্টগ্রাম থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে।
গত ২৭ ফ্রেব্রুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় সম্মেলন উদ্বোধন করেন বরেণ্য নাট্যজন আলী যাকের। সংগঠনের সহসভাপতি তপন জ্যোতি বড়ুয়ার সভাপতিত্বে এতে স্বাগত বক্তব্য দেন সদারঙ্গের সম্পাদক স্বর্ণময় চক্রবর্তী। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন অধ্যাপক হাসিনা জাকারিয়া।
উদ্বোধনী বক্তব্যে আলী যাকের সদারঙ্গের আয়োজনের প্রশংসা করে বলেন, ‘সংগীত বিশেষ করে উচ্চাঙ্গ সংগীত আমাকে টানে। তবে আগে যেভাবে হারমোনিয়ামের আওয়াজ, সেতারের টুংটাং, তবলার বোলের আওয়াজ পাওয়া যেত গত এক দশক থেকে তা অনেকাংশে কমে গেছে। সদারঙ্গের কর্মকান্ড দেখে নতুন করে আশান্বিত হয়েছি।’
স্বর্ণময় চক্রবর্তী বলেন, ‘সংগীতকে প্রাথমিক স্কুল পর্যায়ে বাধ্যতামূলক করার জন্য আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি।’
এর পর ৫০ জন শিক্ষার্থীর সমবেত ধ্রুপদ সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হয় উচ্চাঙ্গ সংগীতানুষ্ঠান। এতে বেহাগ রাগে খেয়াল পরিবেশন করেন শিল্পী বিজন চন্দ্র মিস্ত্রী। গিটারে যুগলবন্ধী ছিলেন পন্ডিত বিজন চৌধুরী ও দোলন কানুনগো। রাগ ভিন্ন ষড়জ পরিবেশন করেন শায়লা তাসমীন। উস্তাদ শাহাদাৎ হোসেন খান পরিবেশন করেন দেশ রাগ।
২৮ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টায় লঘু সংগীতে শাস্ত্রীয় সংগীতের প্রভাব বিষয়ে মুক্ত আলোচনার মাধ্যমে শুরু হয় দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠান।
ওইদিন সন্ধ্যায় রাঙ্গামাটির শিল্পীদের সংগীত পরিবেশনের পর ফাল্গুনী বড়ুয়া পরিবেশন করেন রাগ মালকোষ। এর পর অশোক চৌধুরী ভুপেশ্বরী রাগ, ওপার বাংলার সারেঙ্গী শিল্পী বিজয় কুমার মিশ্র রাগ চারুকেশী এবং স্নেহাশীষ দাশ আভোগী কানাড়া পরিবেশন করেন। প্রতিটি পরিবেশনায় সুরের আবেশ দর্শকদের মুগ্ধ করে।