উৎসবে বাহারি পাদুকা

ঈদকে সামনে রেখে বাচ্চাদের জুতা কেনাকাটা। পলওয়েল সুপার মার্কেট থেকে গতকাল তোলা ছবি l প্রথম আলো
ঈদকে সামনে রেখে বাচ্চাদের জুতা কেনাকাটা। পলওয়েল সুপার মার্কেট থেকে গতকাল তোলা ছবি l প্রথম আলো

পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে ঈদে সবার চাই নতুন জুতা। বর্ষাকাল মাথায় রেখে এবার ঈদে জুতার দোকানে উঠেছে বড়দের জন্য আরামদায়ক এবং শিশুদের জন্য রঙিন জুতা।
এই ঈদে মেয়েরা মাঝারি হিলের স্যান্ডেল বেশি পছন্দ করছে।
সম্পূর্ণ নতুন জুতায় ইনফিনিটি তাদের শোরুম সাজিয়েছে। বড়দের জুতার পাশাপাশি বাচ্চাদের জন্য বিভিন্ন রঙের জুতা পাওয়া যাচ্ছে এখানে। বসুন্ধরা শপিং সেন্টারের ইনফিনিটির ব্যবস্থাপক ওবায়দুল আনোয়ার বলেন, ‘আমাদের ঈদ আয়োজনের সব জুতা থাইল্যান্ড থেকে আমদানি করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, তাঁর শোরুমে মেয়েদের জুতা ৭৫০ থেকে ২২৫০ টাকা। এলিফ্যান্ট রোডের তৃষ্ণা শুর কাজী মনিরুল হক জানালেন, মেয়েদের কারচুপির কাজ করা স্যান্ডেলের দাম ১২০০ থেকে ২০০০ টাকা। গ্লাস হিল ১২০ থেকে ১৮০০ টাকা। হাইহিল ১৪০০ থেকে ২৭০০ টাকা, ব্যালান্স হিল ৭০০ থেকে ১২০০ টাকা। । অ্যাপেক্সের শোরুমে মেয়েদের জুতার দাম ২২০০ থেকে ৪০০০ টাকা।
বাটা, বে এম্পোরিয়াম, জেনিস, লোটোর চাহিদা রয়েছে। নতুন নকশা পাওয়া যাচ্ছে প্রতিটি ব্র্যান্ডের শোরুমগুলোতে। আড়ং এবার ঈদে তাদের জুতার নকশায় নিয়ে এসেছে বৈচিত্র্য। এখানে চামড়ার তৈরি জুতার পাশাপাশি দেশীয় নকশায় তৈরি স্যান্ডেলও মিলছে। স্যান্ডেলগুলোতে করা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের পুঁতির কাজ। উঁচু হিলের জুতা ও স্যান্ডেলগুলোতেও আনা হয়েছে পুঁতির নকশার বৈচিত্র্য। ৬০০ থেকে ২০০০ টাকার ভেতরে বিক্রি হচ্ছে এসব জুতা। গৃহিণী ক্রেতা রুমানা জাহান বলেন, ‘আমি সব সময় অল্প হিল এবং পেছনে ফিতা প্যাঁচানো জুতা পছন্দ করি, এবার এ ধরনের জুতার সংগ্রহ বেশ ভালো।’
পুরুষদের জুতার মধ্যে সোটের করা ফ্ল্যাট ক্রেপসোলের জুতা ভালো চলছে। চীনের তৈরি এসব জুতার দাম দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা। এলিফ্যান্ট রোডের সুজন সুজের স্বত্বাধিকারী মো. হান্নান জানালেন, পুরুষদের চামড়ার তৈরি জুতার দাম ১৮০০ থেকে ২২০০ টাকা, পাম্পসু ১২০০ থেকে ২০০০ টাকা, বিভিন্ন রঙের স্নিকার ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা। এ ছাড়া দেশের তৈরি মোকাসিন পাওয়া যাবে ১৮০০ থেকে ৩০০০ টাকায়। এ ছাড়া বাচ্চাদের জুতা মিলবে ৬০০ থেকে ১২০০ টাকার মধ্যে।
জুতার দোকানে ক্রেতার ভিড় এখনো তেমন বাড়েনি। সাধারণত পোশাক-পরিচ্ছদ কেনার পরে ক্রেতারা জুতা কেনা শুরু করেন। সে কারণে রোজার ১৫ দিনের পর থেকে জুতার দোকানে পুরোদমে বেচাকেনা শুরু হবে বলে আশাবাদী বিক্রেতারা।