এই গরমে অসুখ-বিসুখ

সকালে ঘুম থেকে উঠেই পর পর দুই গ্লাস পানি খান। সারা দিনে অন্তত আরও দেড়-দুই লিটার। গলা, জিব শুকিয়ে আসা, মাথাব্যথা, মাথা ঝিমঝিম করা বা প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া বা প্রস্রাবের রং গাঢ় হওয়া ইত্যাদি পানিশূন্যতার লক্ষণ।
সকালে ঘুম থেকে উঠেই পর পর দুই গ্লাস পানি খান। সারা দিনে অন্তত আরও দেড়-দুই লিটার। গলা, জিব শুকিয়ে আসা, মাথাব্যথা, মাথা ঝিমঝিম করা বা প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া বা প্রস্রাবের রং গাঢ় হওয়া ইত্যাদি পানিশূন্যতার লক্ষণ।

বাইরে কাঠফাটা রোদ আর গনগনে গরম। চৈত্র পেরিয়ে এসে গেছে গ্রীষ্মকাল। এই সময় বেড়ে যাবে গরমের নানা অসুখ-বিসুখ। যাঁরা প্রচণ্ড রোদ আর গরমে বাইরে কাজ করেন, প্রচুর ঘামেন, পরিশ্রম করেন—তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন এই সময়। তাই আগে থেকেই হওয়া চাই সাবধান।
পানিশূন্যতা: গরমকালে ঘামের মাধ্যমে শরীর প্রচুর পানি হারায়। এই হারানো পানি ও লবণ আবার যথাযথভাবে পূরণ না করা হলে দেহে দেখা দিতে পারে পানিশূন্যতা এমনকি লবণের তারতম্য। যাঁরা দীর্ঘ সময় বাইরে গরমে ও রোদে কাজ করেন, তাঁদের এই আশঙ্কা বেশি। তাই গ্রীষ্মকালে প্রচুর পানি পান করা উচিত। সকালে ঘুম থেকে উঠেই পর পর দুই গ্লাস পানি পান করে নিন, তারপর সারা দিনে অন্তত আরও দেড়-দুই লিটার। গলা, জিব শুকিয়ে আসা, মাথাব্যথা, মাথা ঝিমঝিম করা বা প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া বা প্রস্রাবের রং গাঢ় হওয়ার লক্ষণ পানিশূন্যতা। এমনটা বোধ করলে সতর্ক হন, ঠান্ডা স্থানে বিশ্রাম নিন ও প্রচুর পানি পান করুন।
রোদে পড়া: রোদে বেরোলে ত্বক পুড়বেই। কিন্তু এই সময়ের কড়া রোদে অতিবেগুনি রশ্মি বেশি থাকে, আর তা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। রোদে বেরোলে ছাতা বা হ্যাট নিন, কমপক্ষে ১৫ এসপিএফ সমৃদ্ধ সানস্ক্রিন লাগান খোলা ত্বকে। বাইরে বেরোনোর অন্তত ৩০ মিনিট আগে সানস্ক্রিন লাগাতে হবে। আর অতিবেগুনি রশ্মি ক্ষতি করে চোখেরও, তাই রোদচশমা পরে নিন। পোলারাইজড কাচের তৈরি চশমা এ সময় বেশ কাজের।
হিট স্ট্রোক: অতিরিক্ত গরমে হঠাৎ কেউ হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হতে পারেন। এতে দেহের তাপমাত্রা হঠাৎ বেড়ে গিয়ে ১০৪ ডিগ্রি ফারেহাইটে পৌঁছাতে পারে। মাথাব্যথা, ঝিমঝিম, বমি বমি ভাব, অবসন্নতা এমনকি খিঁচুনি বা জ্ঞান হারাতে পারেন কেউ। এমন হলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে যথাসম্ভব শীতল জায়গায় নিয়ে যেতে হবে, পোশাক ঢিলে করে দিন বা খুলে দিন। বাতাস করুন বা ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিন। বগলে বা কুঁচকিতে বরফ ধরে রেখে দেহের তাপমাত্রা কমানো যায়। হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীকে হাসপাতালে নেওয়া উচিত।
জীবাণুর আক্রমণ: গরমেই বেড়ে যাবে নানা রোগ-জীবাণুর আক্রমণ। বিশেষ করে, পানি ও খাদ্যবাহিত রোগগুলো। কেননা প্রচণ্ড গরমে খাদ্যদ্রব্য সহজে নষ্ট হয়, পচন ধরে ও এতে জীবাণু বাসা বাঁধে। তাই পুরোনো বাসি খাবার এ সময় কিছুতেই খাবেন না। বেশি দিন খাবার সংরক্ষণ করবেন না। রাস্তার ধারের ফলের রস, আখের রস, কেটে খুলে রাখা আনারস বা তরমুজ, শসা ইত্যাদি খাবেন না।

মেডিসিন বিভাগ, ইউনাইটেড হাসপাতাল।