এই ৮ সত্য আপনি জানেন কি

কিছু সত্য জীবনে অনুধাবন করা জরুরি। তাতে জীবনের ইতিবাচক পরিবর্তনগুলো ত্বরান্বিত হয়। জীবনে লক্ষ্যের পথে এগিয়ে যাওয়া সহজ হয়। মার্কিন অনলাইন পোর্টাল গ্রো বিজ মাইন্ডসেট জানিয়েছে এমনই আট সত্যের কথা। জেনে নিতে পারেন আপনিও।

১. সফলতা কোনো লটারির টিকিট নয়। গবেষণায় দেখা গেছে, সফলতার মাত্র পাঁচ ভাগ নির্ভর করে মস্তিষ্কের ওপর। আর বাকি ৯৫ ভাগ নির্ভর করে লেগে থাকা বা হাল না ছাড়ার ওপর। তাই সফল হতে চাইলে কোনো মিরাকলের ওপর নির্ভর না করে লেগে থাকুন। হাল ছাড়বেন না।

২. আপনার সময় আর শ্রম তিনটি কাজে অপচয় হয়। কোন দিক দিয়ে কীভাবে খরচ হয়ে যায় টেরও পান না। এই তিন কাজ হলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম স্ক্রলিং, ওভারথিঙ্কিং বা দুশ্চিন্তা করা এবং অর্থহীন সম্পর্কে সময় আর শ্রম বিনিয়োগ করা। ধরুন, আপনি ঘুমানোর আগে ১০ মিনিটের জন্য ফেসবুকে ঢুকলেন। হঠাৎ খেয়াল হলো, মধ্যখান থেকে দুই ঘণ্টা হাওয়া। এই দুই ঘণ্টা আপনি কী করেছেন, ভেবে কূলকিনারা পাবেন না। ইতিবাচক ও সৃজনশীল চিন্তা করুন। যে চিন্তা কেবল সময় নষ্ট আর ভ্রুকুঞ্চন ছাড়া আর কিছুই দেয় না, তা বাদ দিন। যে সম্পর্ক আপনার জীবনে কোনো অর্থ রাখে না, ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে না, শুধু শুধু হোয়াটসঅ্যাপে আড্ডা দিয়ে, চায়ের দোকানে বেহুদা তর্ক করার চেয়ে বরং ঘুমান। আট ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করুন।

৩. কেউ যদি নিজের ত্রুটি দেখতে না পায়, এর চেয়ে বড় ত্রুটি আর নেই। এর মানে হলো, সে নিজের সম্পর্কে সচেতন নয়। আর কোথাও পৌঁছাতে গেলে নিজের কমতি, দুর্বলতা জানা খুই জরুরি। নয়তো সংশোধনের আর সুযোগ থাকে না। ভুলত্রুটি নিয়েই তো মানুষ। ক্রমাগত সেই ত্রুটি কাটিয়ে উঠে মানুষকে শুদ্ধতার গন্তব্যে পথ চলতে হয়।

৪. বিকল্প আয়ের পন্থা রাখতেই হবে। মনে করুন, আপনি মনোপলি খেলছেন। অথচ এমন কিছুই কিনছেন না, যা দিয়ে আপনার আয় বাড়ে। তাহলে হবে? কেবল কোনোরকমে বাঁচার জন্য বাঁচবেন না। ঝুঁকি নেবেন। তবে হিসাব কষে। সব সময় ‘প্ল্যান বি’কে সঙ্গী হিসেবে রাখবেন। চলার পথ সহজ হয়ে যাবে।

৫. মনের প্রশান্তি সব সময়ই সম্পদ আর লোকদেখানো খ্যাতি থেকে বড়। তবে হ্যাঁ, খেয়েপরে বেঁচে থাকার জন্য যতটুকু দরকার, ন্যূনতম সেই সম্পদ আর সামাজিক জীবনও প্রয়োজন। তবে মানসিক প্রশান্তির চেয়ে বড় কিছু নেই। এমন যদি হয় যে কোনো একটা সম্পদ নিতে গেলে আপনার দুশ্চিন্তা বেড়ে যাচ্ছে, তবে বাদ দিন। মনের প্রশান্তির জন্য সম্পদের লোভকে ‘না’ বলা একটা বড় গুণ।

৬. একটা সম্পর্ক লম্বা সময় ধরে আছে বলেই যে সম্পর্কটা ‘ওয়ার্কিং’, এটা ভুল ধারণা। আপনি নিজেকে যতটা ভালো রাখতে পারেন, একটা সম্পর্ক যদি সেখানে ‘ভ্যালু অ্যাড’ না করে, তাহলে বেরিয়ে পরুন। নিজেই নিজের জন্য যথেষ্ট হোন।

৭. নিজেকে সম্মান করুন। নিজেকে আপনি কতটা সম্মান করতে পারেন, সেটা নির্ভর করে নিজের রিপু, আবেগ কতটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন, তার ওপর।

৮. সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কারণে বিশ্বব্যাপী হতাশা বেড়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম আপনাকে সব সময় সেখাবে, ‘বোধ হয় আমি ওখানে থাকলে, ওই মানুষের সঙ্গে থাকলে, সুখী হতাম।’ কিন্তু আপনি যদি ভাবেন, আপনি যেখানে আছেন, সুখ সেখানে নেই। সুখ অন্য কোথাও, তাহলে আপনি কোনো দিন সুখী হতে পারবেন না; বরং যেখানে আছেন, সেখানেই সুখী হতে চেষ্টা করুন। সন্তুষ্ট, পরিতৃপ্ত মনের চেয়ে বড় কিছু নেই।