এতজন সন্তান আজ আমার পাশে...

>পেশাগত, শিক্ষাগত বা অন্য কোনো কারণে যাঁরা মায়ের কাছ থেকে দূরে থাকেন তাঁদের জন্যই ছিল মা দিবসের এ আয়োজন। অধুনায় ছাপা কুপনে মাকে নিয়ে পাঁচটি পঙ্ক্তি লিখতে বলা হয়েছিল সন্তানকে। সারা দেশ থেকে অসংখ্য সন্তান অংশ নিয়েছেন এই আয়োজনে। তাঁদের মধ্য থেকে লটারি করে বিজয়ী হয়েছেন ১২ জন। মা দিবসে সেই সন্তানদের পক্ষ থেকে প্রথম আলোর প্রতিনিধি ও বন্ধুসভার বন্ধুরা গিয়েছেন তাঁদের মায়ের কাছে। ফুল, মিষ্টি, শাড়ি আর নানা ধরনের উপহারের সঙ্গে নিয়ে গেছেন মাকে উদ্দেশ করে লেখা সন্তানের সেই ভালোবাসার পঙ্ক্তিমালা। মায়েদের জন্য এটা ছিল বিস্ময়। সেই ১২ মায়ের এবং সন্তানদের অনুভূতি নিয়েই এ আয়োজন।
মা আফরোজা খানের সঙ্গে খুলনা বন্ধুসভার বন্ধুরা
মা আফরোজা খানের সঙ্গে খুলনা বন্ধুসভার বন্ধুরা

‘মা, প্রতিদিন তোমাকে দেখতে ইচ্ছে করে। মা, তোমাকে অনেক ভালোবাসি। মা, তুমি আমার প্রেরণা। মা, তোমার আদরের নাতি দিব্যর গ্রীষ্মের ছুটি হলে তোমার কাছে যাব।’ মা দিবস উপলক্ষে নিজের মাকে উদ্দেশ করে অধুনার কুপনে কথাগুলো লিখেছিলেন খুলনার মেয়ে আরিফা রহমান। স্বামীর সঙ্গে থাকেন ঢাকায়। মা দিবসে মাকে সামনে থেকে শুভেচ্ছাও জানাতে পারেননি তিনি। কিন্তু তাঁর এ কথাগুলো মা আফরোজা খানের কাছে পৌঁছে দিয়েছে প্রথম আলো। খুলনা বন্ধুসভার বন্ধুরা রোববার হাজির হন মায়ের কাছে।
২০১৩ সালে খুলনার সিটি গার্লস কলেজ থেকে অবসর নেওয়া আফরোজা খান এখন খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের অধ্যক্ষ। মেয়ের লেখা পড়ে বললেন, ‘আজ আমার মেয়ে কাছে না থাকলেও প্রথম আলোর এতজন সন্তান আমার পাশে আছে। মা হিসেবে আমাকে সম্মান জানানোতে খুব ভালো লাগছে। শুধু তন্ময়ের মা হিসেবে নয়, তোমরা প্রত্যেকে প্রত্যেকের মাকে সম্মান জানাবে। মায়ের অবদান যেন সব সন্তান সব সময় মনে রাখে।’