কফিপানেও অনেক উপকার

কফি
কফি

কফিতে ক্যাফেইন আছে। অনেকের ধারণা এতে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়। একসময় বলা হতো কফি পান করলে বাচ্চারা বেশি লম্বা হয় না। কিন্তু চিকিত্সাবিজ্ঞানীরা অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছেন কথাটা ঠিক নয়। কফির সঙ্গে হাড়ের বৃদ্ধি রোধের সম্পর্ক নেই। আজকাল কফি নিয়ে গবেষণায় অনেক নতুন তথ্য জানা গেছে।
১. বছর খানেক আগে সিস্টেমেটিক রিভিউ ও মেটা-অ্যানালাইসিস কফি ও হৃদ্রোগের মধ্যে সম্পর্কের বিষয়ে অনুসন্ধান করে চমকপ্রদ তথ্য পেয়েছে। মেটা-অ্যানালাইসিস বিভিন্ন গবেষণালব্ধ ফল পাশাপাশি রেখে বিশ্লেষণ করে। ওরা ৩৬টি গবেষণার ফল বিশ্লেষণ করে। এতে ১২ লাখ ৭০ হাজার ব্যক্তির তথ্য নেওয়া হয়। সম্মিলিত তথ্যে দেখা যায় যাঁরা পরিমিত মাত্রায় দিনে তিন থেকে পাঁচ কাপ কফি পান করেন, তাঁদের হৃদ্রোগের ঝুঁকি সবচেয়ে কম। পাঁচ কাপের বেশি কফি যে ঝুঁকি বাড়ায় তা-ও নয়। অবশ্য এখানে দুধ, চিনি ছাড়া কালো কফির কথাই বলা হচ্ছে। দুধ-চিনি মেশানো কফিতে ক্যালরি বেশি থাকে।
২. পরিমিত কফিতে স্বাস্থ্যঝুঁকি কম। ধরা যাক, আপনি দিনে চার কাপ কফি পান করেন। তাহলে যাঁরা মোটেও কফি পান করেন না, তাঁদের তুলনায় আপনার হার্ট ফেইলিউরের ঝুঁকি একদম কম। দিনে ১০ কাপ কফি পান করলে তো ঝুঁকি থাকবেই। বাড়াবাড়ি রকমের কফির কথা হচ্ছে না। সাধারণ মাত্রায় কফির জন্য হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার বাড়তি ঝুঁকি নেই, এটা গবেষকেরা বলছেন।
৩. ২০০৭ সালে প্রকাশিত এক মেটা অ্যানালাইসিসে দেখা গেছে দিনে দুই কাপ কফি বেশি পান করলে লিভার ক্যানসারের ঝুঁকি কমে ৪০ শতাংশেরও বেশি। সাম্প্রতিক কয়েকটি গবেষণায়ও এর সত্যতা পাওয়া গেছে। কফি পানে ক্যানসারের ঝুঁকি কমে। অবশ্য দেখা গেছে যাঁরা বেশি কফি পান করেন, তাঁদের ফুসফুসের ক্যানসার বেশি হয়, কিন্তু সেটা শুধু তাঁদের ক্ষেত্রেই সত্য, যাঁরা ধূমপান করেন।
৪. স্নায়ুবৈকল্য (নিউরোলজিক্যাল ডিজঅর্ডার) নিয়ে বিভিন্ন গবেষণার ফল বিশ্লেষণ করে সম্প্রতি প্রকাশিত মেটা-অ্যানালাইসিস থেকে জানা গেছে, কফি পানে পারকিনসন্স ডিজিজ, স্মৃতিভ্রম রোগের ঝুঁকি কমে এবং আলঝেইমারস ডিজিজ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
৫. দিনে অন্তত দুই কাপ কফি অনেক স্বাস্থ্যঝুঁকি কমায়।
সূত্র: দ্য নিউইয়র্ক টাইমস, ১১ মে ২০১৫