কর্ণিয়া, সংগীতশিল্পী। তাঁর মা সেলিনা আক্তার, গৃহিণী। আজ থাকছে এই দুই প্রজন্মের পছন্দ-অপছন্দের কথা।

১. কী ধরনের পোশাক পরতে ভালো লাগে?
কর্ণিয়া: আরামদায়ক সব পোশাকই পরা হয়। বিশেষ করে জিনসের সঙ্গে টপ, গাউন। মাঝেমধ্যে এক রঙের শাড়ি পরি। তবে শাড়ি অবশ্যই জর্জেট অথবা শিল্ক হতে হবে।
মা: হালকা রঙের যেকোনো দেশের জর্জেট ও শিল্ক শাড়ি পরতে ভালোবাসি।
২. পছন্দের খাবার?
কর্ণিয়া: সাধারণত বাঙালি খাবারই আমার পছন্দ। বিশেষ করে ভাত, মাছ, ভর্তা ও শাকসবজি। মায়ের রান্না করা গরুর মাংসের ভুনাখিচুড়ি ভালোবাসি।
মা: দেশি খাবার। ভাত, যেকোনো ধরনের মাছ, ভর্তা, শাকসবজি।
৩. যে সংগীতশিল্পীর গান শুনতে ভালো লাগে...
কর্ণিয়া: রুনা লায়লা, জেমস, বাপ্পা মজুমদার, হাবিব ও মিলার গান বেশি ভালো লাগে। এ ছাড়া ভারতের সুনিধি চৌহানের গান ৷
মা: শাহনাজ রহমতুল্লা, মিতালী মুখার্জি, রুনা লায়লা, সাবিনা ইয়াসমিন, সৈয়দ আবদুল হাদীর গান।
৪. যে সিনেমা বারবার দেখতে ইচ্ছা করে...
কর্ণিয়া: বলিউডের থ্রি ইডিয়টস, কুচকুচ হোতা হ্যায় দুটি কতবার যে দেখেছি!। বাংলাদেশের মোল্লা বাড়ির বউ ও মনপুরা আমার পছন্দের।
মা: স্বরলিপি, সীমানা পেরিয়ে এবং ভারতের শাপমোচন, হারানো সুর বারবার দেখতে ইচ্ছে করে।
৫. আপনার প্রিয় অভিনয়শিল্পী?
কর্ণিয়া: শাবানা, ববিতা, সুবর্ণা মুস্তাফা, সালমান শাহ, তাহসান ও তিশা।
মা: ভারতের উত্তমকুমার, সুচিত্রা সেন এবং বাংলাদেশের রাজ্জাক, শাবানা, আলমগীর।
৬. কোথায় বেড়াতে ভালোবাসেন?
কর্ণিয়া: কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত। এ ছাড়া আমার গ্রাম ঝিনাইদহ জেলার হাটগোপালপুর।
মা: ঝিনাইদহের হাটগোপালপুর গ্রাম ও কক্সবাজারে ঘুরতে যেতে ভালো লাগে।
৭. কখন বিরক্ত হন?
কর্ণিয়া: যখন কাউকে একটা কথা বারবার বলার পরও সে বোঝে না তখন।
মা: একটি কাজ করতে ইচ্ছা করছে কিন্তু করতে পারছি না তখন।
৮. পত্রিকায় যা আগে পড়ি...
কর্ণিয়া: প্রথম ও শেষের পাতার শিরোনামগুলো আগে পড়ি। এরপর সোজা বিনোদন পাতায় চলে যাই।
মা: পত্রিকা পড়ার তেমন একটা সময় পাই না। তবে যখন আমার মেয়ে কর্ণিয়াকে নিয়ে পত্রিকায় লেখা হয় তখন সংগ্রহ করে পড়ি।
৯. টেলিভিশনে কোন অনুষ্ঠান বেশি দেখা হয়?
কর্ণিয়া: নিয়মিত কার্টুন, সরাসরি গানের অনুষ্ঠান ও সিনেমা দেখা হয়।
মা: ভারতের স্টার প্লাস, জি বাংলা চ্যানেলের সিরিয়াল দেখি।
১০. অবসরে কী করেন?
কর্ণিয়া: নতুন গান শুনি ও তোলার চেষ্টা করি। এ ছাড়া টেলিভিশন দেখি আর ফেসবুক চালাই।
মা: সারা দিনই কাজ করি। তবে সময় পেলে নিজের ও আমার মেয়েদের জামাকাপড়ের সেলাইয়ের কাজ করি।
১১. প্রিয় মুহূর্ত?
কর্ণিয়া: আমার জীবনে স্মরণীয় দুটি মুহূর্ত হলো—এক. পাওয়ার ভয়েজ প্রতিযোগিতায় যখন প্রথম রানারআপ হিসেবে আমার নাম ঘোষণা করা হলো। দুই. ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় আমার ছোট বোন যখন উত্তীর্ণ হলো।
মা: মন খারাপ থাকলে কর্ণিয়া আমাকে নজরুলসংগীত শোনায়। সেই সময়টা আমার অনেক প্রিয়।
১২. প্রিয় রং?
কর্ণিয়া: কালো ও লাল আমার বেশি পছন্দ।
মা: কালো ও সাদা।
সাক্ষাৎকার: শফিক আল মামুন