
সময়ের হাত ধরে বদলেছে চুড়ির ধরন, উপাদান-নানা কিছু। কিন্তু হাত ভরা রেশমি চুড়ির কদর এতটুকুও কমেনি। পয়লা বৈশাখের মতো উপলক্ষ হলে তো কথাই নেই! হাত ভরে রেশমি চুড়ি পরতে তো হবেই।
আর এক দিন বাদেই পয়লা বৈশাখ। গত কয়েক দিনে রাজধানীর বেশ কিছু বিপণিবিতান এবং ফুটপাত ঘুরে দেখা গেছে, বৈশাখ সামনে রেখে এখনই অনেক বিক্রেতা বাহারি রেশমি চুড়ির পসরা সাজিয়ে বসেছেন। রাজধানীর বলাকা সিনেমা হলের সামনের ফুটপাতে চুড়ি বিক্রি করছিলেন দীন মোহাম্মদ৷ জানালেন, বৈশাখ উপলক্ষে রেশমি চুড়ির চাহিদা সব সময়ই বেশি। রঙের ক্ষেত্রে শুধু লাল-সাদাই নয়, সব রঙের চুড়ি কিনে থাকেন ক্রেতারা৷

রেশমি চুড়ি: রেশমি চুড়ি সাধারণত দুই ধরনের হয়। সাধারণ ও খাঁজকাটা কাচের চুড়ি। সাধারণ চুড়ির মধ্যে আবার দুই ধরনের চুড়ি রয়েছে। এর একটি স্বচ্ছ (ট্রান্সপারেন্ট), চুড়ির এক পাশ থেকে অন্য পাশ দেখা যায়। অন্যটি গাঢ় রঙের হয়। এক রঙের চুড়ি ছাড়াও একই চুড়ির মধ্যে বিভিন্ন রংও (মাল্টিকালারড) পাবেন। তবে এ চুড়ির সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো, লাল, সবুজ, সাদা, হলুদ থেকে শুরু করে প্রায় সব রঙেরই পাবেন। পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে রাজধানীর গাউছিয়া মার্কেটের ফুটপাত থেকে চুড়ি কিনছিলেন সুপ্রীতি সুমি। তিনি বললেন, বৈশাখ উপলক্ষে শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে পরার জন্য লাল-সাদা চুড়ি কিনতে এসেছেন তিনি। বললেন, ‘হাত ভরে পরতে পারি, তাই এ চুড়ি আমার প্রিয়।’
কোথায় পাবেন: ঢাকার চকবাজারে এ চুড়ির সবচেয়ে বড় বাজার। এমন কোনো চুড়ি নেই যা এখানে পাওয়া যায় না। এখানে সাধারণত পাইকারি ও খুচরা বিক্রি হয়। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলা ও কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে, গাউছিয়া মার্কেট ও এর আশপাশের ফুটপাত, চাঁদনীচক, নিউমার্কেট, ইস্টার্ন প্লাজা, বসুন্ধরা সিটি, কর্ণফুলী গার্ডেন সিটি, মৌচাকের বিপণিবিতানগুলোতে রেশমি চুড়ি কিনতে পাবেন। এ ছাড়া পাড়া-মহল্লাতেও ফেরিওয়ালারা এ চুড়ি ফেরি করে বিক্রি করেন। রাজধানীর বাইরে জেলা-উপজেলা কিংবা গ্রামের বাজারেও আছে এ চুড়ি।
কেমন দাম: একেবারে হাতের নাগালে বলতে যা বোঝায় রেশমি চুড়ির দাম তা-ই। জায়গা ভেদে খানিকটা এদিক-সেদিক হতে পারে। তবে প্রতি ডজন চুড়ির দাম ২৫ থেকে ৪০ টাকার বেশি নয়। সাধারণ রেশমি চুড়ি ২৫ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে পাবেন। আর বহুরঙা চুড়ির দাম ৪০ থেকে ৫০ টাকার মতো পড়বে।