কী খাচ্ছেন আজ রাতে?

রাতের খাবার কেমন হবে? দিনের পর দিন কিংবা রাতের পর রাত হয়তো এই প্রশ্নটা নিয়েই ভেবেছেন অনেকে। অনেকে বলতে ওজন বা স্বাস্থ্য নিয়ে যাঁদের চিন্তার শেষ নেই। সুস্থ থাকতে প্রতিদিন প্রতিবেলা তো খাবেনই; তবে কোনটি খাবেন বা কখন খাবেন?
লাইফ স্টাইল ওয়েবসাইট বোল্ড স্কাই বলছে, অন্য বেলার চেয়ে রাতের খাবারের ব্যাপারে একটু বাড়তি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কারণ, রাতে ভালো ঘুমের জন্য পরিমিত খাবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো, রাতের খাবারের একটু এদিন-সেদিক হলেই শরীরে বাড়তি মেদ জমবে, বাসা বাঁধবে নানা রোগবালাই!
বারডেম জেনারেল হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ পুষ্টি ও পথ্যবিদ শামসুন্নাহার নাহিদ বললেন, ‘একজনের রাতের খাবার তার শরীর গঠনে অনেকাংশে নির্ভর করে। রাতে খেয়েই ঘুমিয়ে পড়ার ফলে শরীরে চর্বি জমে। ওজন বাড়তে শুরু করে। যেহেতু খাওয়ার পর একটা লম্বা সময় মানুষ ঘুমিয়ে থাকে, তাই খাবার তালিকায় তখন কার্বোহাইড্রেট ও চর্বির পরিমাণ কম রাখা উচিত।’
নিয়ম মেনে খান
সঠিক ওজনের সাধারণ মানুষের জন্য শামসুন্নাহার নাহিদের পরামর্শ, ঘুমাতে যাওয়ার দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খেতে হবে। দুপুরে যে পরিমাণ ভাত-রুটি খাওয়া হয়, রাতে সেটার চেয়ে একটু কম হলেই ভালো। পোলাও, বিরিয়ানি বা তেহারির মতো তেলযুক্ত খাবার রাতে বর্জন করতে পারলে তো কথাই নেই। কাবাব বা ফ্রায়েড চিকেন নয়, তার বদলে সাধারণ মাছ বা মুরগির মাংস খান। বেশি তেলে ভাজা সবজির চেয়ে, কম তেলে রান্না করা সবজি বা সবজির ভর্তা খেলে উপকার পাবেন। আর রাতের খাবারের পরে ডেজার্ট হিসেবে টক দই খেলে খাবার হজম হয় সহজেই।
যাদের ওজন বেশি, তারা সন্ধ্যাতেই রাতের খাবার খেয়ে নিলে ভালো। খেতে হবে ঘুমানোর তিন থেকে চার ঘণ্টা আগে। এতে ঘুমানোর আগে হজম হয়ে পাকস্থলী খালি হয়ে যায়। এতে করে ওজন বাড়ার আশঙ্কা যায় কমে। তবে এতে অনেকের ঘুমানোর আগে আগে খিদে লেগে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে শামসুন্নাহার নাহিদের পরামর্শ হলো, কম ক্যালরির ও হাই প্রোটিনযুক্ত খাবার খেতে পারেন।
কী খাবেন রাতে
ভাত, রুটি বা নুডলস—যেকোনো একটি বেছে নিন। মাছ বা মাংস ভুনা বা ভাজা না খেয়ে ঝোল রান্না করে খেতে পারেন। রাতের মেন্যুতে সবজি থাকুক প্রতিদিন। তবে সেটা অল্প তেলে রান্না হলেই ভালো। তেল এড়িয়ে খেতে চাইলে সবজির ভর্তা বা সেদ্ধ করে খেতে পারেন। ডাল ও সালাদ রাখুন। ফলের সালাদ ও টক দই খেলে সেটা শরীরের জন্য উপকারী। আর খাওয়ার পরপরই পানি না খেয়ে একটু বিরতি নিয়ে খান।