বয়সের ছাপ দেখা যাওয়া খুব স্বাভাবিক একটি বিষয়। এই পরিবর্তনকে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে গ্রহণ করাই ভালো। কিন্তু অনেকের সময়ের আগেই সাদা হয়ে যায় চুল। বয়সে তরুণ কিন্তু চুলের মধ্যে দেখা যায় সাদা চুলের আনাগোনা। এমন অবস্থায় চুল রং করা হতে পারে একটি সমাধান। তবে পুরো চুল যারা রং করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না, তাঁদের জন্য ভালো উপায় হলো অল্প চুল রঙিন বা কালো করা। এমনকি চুলে মেহেদিও করতে পারেন।
চুল পুরোটা রং করুন বা অল্প, নিয়ম অনেকটা একই রকম। অল্প চুলই তো রং করছি, এটা ভেবে এমন কিছু করবেন না, যাতে চুলের ক্ষতি হয়। রং করার পরও যত্নে কোনো কমতি রাখা যাবে না—জানালেন বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ বিউটি কেয়ারের রূপবিশেষজ্ঞ শারমিন কচি।
অল্প চুল রং করার আগে
অল্প চুল রং করার আগেও কিছু যত্ন জরুরি। ডিম, কলা এবং টক দই সমান পরিমাণে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে গোড়াসহ সমস্ত চুলে ভালোমতো লাগিয়ে রাখুন এক ঘণ্টা। এরপর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।
গোড়ায় রং করতে চাইলে
প্রথমেই চুলের মাঝামাঝি থেকে নারকেল তেল ব্যবহার করতে হবে। এতে চুল ধোয়ার সময় পুরো চুলে রং লাগবে না। গোড়ার চুল ছাড়া অন্য চুল ফয়েল কাগজ দিয়ে আটকে নিলে ভালো হয়। কপাল ও কানের দিকে অবশ্যই পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করতে হবে, যেন রং না লাগে।
অল্প বা পুরো; রঙিন, কালো বা মেহেদি—যেটাই করতে চান না কেন, প্রথমেই চুল শ্যাম্পু করে পরিষ্কার করে নিতে হবে। কারণ তেল থাকলে চুলে রং ধরতে চায় না। এতে যেভাবেই চেষ্টা করুন না কেন রং হবে হালকা।
অল্প চুল রঙিন করলেও আপনার পুরো চুলই থাকতে হবে শুকনা ঝরঝরে। ভুলেও ভেজা চুলে রং বা মেহেদি ব্যবহার করবেন না।
ডগা পর্যন্ত রং করতে চাইলে
ডগা পর্যন্ত চুল সাদা হয়ে গেলে চুলের গোড়া থেকেই রং করতে হবে। এ ক্ষেত্রে কারও সহায়তা নিলে ভালো। অথবা পারলারে গিয়ে রং করাতে পারেন।
আরও পরামর্শ
গাঢ় ও উজ্জ্বল রং চাইলে প্যাকেটের রং ও অন্য উপাদান খুব ভালোভাবে ও সঠিক নিয়মে মেশাতে হবে। সে ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ কারও কাছে রং করাই ভালো।
রং করার পর শুধু চুলের সেই অংশই শ্যাম্পু করা ভুল। শ্যাম্পু করতে হবে পুরো চুল। কারণ কোনোভাবে চুলে রং থেকে গেলে মারাত্মক ক্ষতি হবে।
রং করার পর চুল কিছুটা শক্ত ও খসখসে হয়ে যায়। তাই শ্যাম্পুর পর অবশ্যই পুরো চুলে কন্ডিশনার ব্যবহার করে পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
রং করা চুলের যত্নের জন্য তেল ব্যবহার করা ভালো। এটি ময়েশ্চারাইজারের কাজ করে।