খাগড়াছড়িতে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষে সাফল্য

টমেটোখেত পরিচর্যা করছেন খাগড়াছড়ি সদরের কমলছড়ি গ্রামের জ্যোতি বসু চাকমা  প্রথম আলো
টমেটোখেত পরিচর্যা করছেন খাগড়াছড়ি সদরের কমলছড়ি গ্রামের জ্যোতি বসু চাকমা প্রথম আলো

গ্রীষ্মকালে টমেটোর চাষ খাগড়াছড়ি জেলার কৃষকদের কাছে অলীক একটি ব্যাপার। কিন্তু এ সময় টমেটো চাষ করে সফলতা পেয়েছেন খাগড়াছড়ি জেলা সদরের কমলছড়ি গ্রামের পাঁচ কৃষক। এ চাষে তাঁদের কারিগরি সহায়তা ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছেন কো-অর্ডিনেট সাব প্রজেক্ট অন ফার্মিং সিস্টেম রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট ফর ফারমার্স লাইভলিহুড ইমপ্রুভমেন্টের কর্মকর্তারা। পরীক্ষামূলকভাবে এ বছর গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ করা হলেও ভবিষ্যতে বেশি করে বারি-৪ জাতের এ টমেটো চাষ করার আগ্রহ দেখিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কৃষকেরা।
খাগড়াছড়ি জেলা সদরের পাঁচ কিলোমিটার দক্ষিণে কমলছড়ি গ্রাম। এ গ্রামের চর এলাকায় গিয়ে দেখা মেলে প্লাস্টিকের ছাউনি দেওয়া কয়েকটি ঘের। এসব ঘেরের ভেতর করা হয়েছে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর চাষ।
প্রকল্পের পাঁচ কৃষকের মধ্যে সবচেয়ে সফল আনন্দ বিকাশ চাকমা। তিনি জানান, আড়াই শতক জমিতে টমেটো চাষ করতে তাঁর মোট সাত হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এ পর্যন্ত ২০ কেজি টমেটো বিক্রি করেছেন প্রতি কেজি ১০০ টাকা দামে। কিছু দিনের মধ্যে আরও দুই-আড়াই মণ টমেটো তুলতে পারবেন বলে তাঁর আশা। এতে তাঁর সব খরচ বাদে তিন হাজার টাকা লাভ হবে। কৃষক জ্যোতি বসু চাকমা বলেন, ‘পরীক্ষামূলকভাবে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর চাষ করে প্রথমে কিছুটা সমস্যায় পড়েছি। এখন অভিজ্ঞতা হওয়াতে ভবিষ্যতে কোনো সমস্যা হবে না।’
প্রকল্পটির বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মাহবুবুল হাসান জানান, পাহাড়ি এলাকায় এমনিতেই গাছের রোগবালাই বেশি। গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষে যে রোগটি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর তা হলো ব্যাকটেরিয়াল উইল। গাছে এই রোগ হলে কোনো ওষুধই কাজে আসে না। তাই এ রোগের প্রতিষেধক হিসেবে মাঠ তৈরির সময় কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে এ জাতের টমেটো চাষে আগ্রহী কৃষকেরা বীজের জন্য খাগড়াছড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।