খাদ্যবিষয়ক আলোকচিত্র প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের ৮ ছবি

চীনের আলোকচিত্রী লি হুয়াফেংয়ের তোলা ‘টেস্ট’ শিরোনামের এই আলোকচিত্র প্রতিযোগিতার বর্ষসেরা পুরস্কার জিতেছে

পেশাদার ও অপেশাদার আলোকচিত্রীদের সম্মানজনক পুরস্কারটির নাম ‘পিংক লেডি ফুড ফটোগ্রাফার অব দ্য ইয়ার’। যুক্তরাজ্যের বাজারে ‘পিংক লেডি’ মূলত সুস্বাদু আপেল। ফলের জন্য পরিচিত এই প্রতিষ্ঠানটি এক দশক ধরে খাদ্যবিষয়ক আলোকচিত্র প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে।

গত ২৮ এপ্রিল ঘোষণা করা হয়েছে ২০২১ সালের বর্ষসেরা ছবিসহ প্রতিযোগিতার ২৫ শ্রেণিতে স্থান পাওয়া ছবিগুলো। এর মধ্যে বিভিন্ন শ্রেণিতে বাংলাদেশি সাত আলোকচিত্রীর তোলা আটটি ছবি রয়েছে। সার্বিকভাবে প্রতিযোগিতার বর্ষসেরা হয়েছে চীনের আলোকচিত্রী লি হুয়াফেংয়ের তোলা একটি ছবি।

লি হুয়াফেংয়ের ‘টেস্ট’ বা স্বাদ শিরোনামে বর্ষসেরার ছবিটি একটি ছোট পরিবারের। ছবিটিতে দেখা যায়, এক তরুণ দম্পতি তাঁদের শিশুসন্তানকে নিয়ে বাসায় খাবার তৈরি করছেন। খাবার তৈরির সে আয়োজনে মিশে আছে একরাশ আনন্দ।

এ বছর বিশ্বের ৭০টি দেশের আলোকচিত্রীদের পাঠানো সাড়ে ১০ হাজার ছবি থেকে বিজয়ী ছবিগুলো নির্বাচন করা হয়েছে। সংক্ষিপ্ত তালিকা থেকে প্রতিটি শ্রেণিতে তিনটি করে আলোকচিত্র বিজয়ী করা হয়েছে। এসব ছবির জন্য পুরস্কার হিসেবে আলোকচিত্রীদের প্রত্যেককে পদক দেওয়া হয়। এ ছাড়া কিছু বিভাগের বিজয়ীরা পুরস্কার হিসেবে অর্থমূল্যও পান। আর বর্ষসেরা পুরস্কারের অর্থমূল্য হিসেবে আলোকচিত্রীকে দেওয়া হয় ৫ হাজার ব্রিটিশ পাউন্ড।

উল্লেখ্য, গত বছর ‘পলিটিকস অব ফুড’ বা ‘খাবারের রাজনীতি’ শ্রেণিতে বাংলাদেশি আলোকচিত্রী কে এম আসাদের ছবি বর্ষসেরা ছবি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিল।

‘পিংক লেডি ফুড ফটোগ্রাফার অব দ্য ইয়ার’ প্রতিযোগিতার বিভিন্ন শ্রেণিতে স্থান পাওয়া বাংলাদেশি আলোকচিত্রীদের ছবিগুলো দেখে নেওয়া যাক—

১. উৎপাদন শ্রেণিতে আলোকচিত্রী আবদুল মোমিনের নুডলস তৈরির ছবিটি প্রথম হয়েছে

২. জীবনের জন্য খাবার শ্রেণিতে মাহবুব হোসাইন খানের ‘ড্রিংকিং ফ্রম গারবেজ’ শিরোনামে ছবিটি প্রথম হয়েছে

৩. খাবারের রাজনীতি শ্রেণিতে সারোয়ার অপোর ‘দ্য কিচেন’ নামের ছবিটি দ্বিতীয় হয়েছে

৪. জীবনের জন্য খাবার শ্রেণিতে মোমিনুল ইসলাম মোমিনের ‘স্ট্রাগলিং ফার্মার’ নামের ছবিটি দ্বিতীয় হয়েছে

৫. বিয়ের ছবি শ্রেণিতে বাংলাদেশি আলোকচিত্রী সোহেল আহমেদের ‘স্পেশাল ফুড ফর দ্য কাপল’ শিরোনামের এই ছবিটি তৃতীয় হয়েছে

৬.`ফুড ইন দ্য ফিল্ড' শ্রেণিতে আলোকচিত্রী আবদুল মোমিনের ‘প্যাকিং ভ্যাজিটেবল’ শিরোনামে ছবিটি তৃতীয় হয়েছে

৭. মুঠোফোন শ্রেণিতে আলোকচিত্রী সৌরভ দাশের ‘মোবাইল বিস্কুট শপ’ শিরোনামে ছবিটি তৃতীয় হয়েছে

৮. জীবনের জন্য খাবার শ্রেণিতে আলোকচিত্রী কে এম আসাদের ‘আফটার লং জার্নি’ নামের ছবিটি তৃতীয় হয়েছে