খেলার সময় উত্তেজনা নয়

খেলার উত্তেজনাকর মুহূর্তে অনেকে আবেগ সামলাতে পারেন না। চিৎকার-চেঁচামেচি আর লাফঝাঁপ শুরু করে দেন। এতে অনেক সময় অন্যরা বিরক্ত হন, নিজেও অস্থির হয়ে পড়েন। কেউবা আবার নীরবে বসে থেকে উত্তেজনায় ছটফট করেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টিভিতে অতিরিক্ত খেলা দেখা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
সাম্প্রতিক যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকেদের এক গবেষণায় দেখা গেছে, সরাসরি বা টিভিতে সম্প্রচারিত কোনো হকি খেলা দেখার সময় হৃৎস্পন্দন (হার্ট রেট) বেড়ে যেতে পারে, যা হৃদ্যন্ত্রের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে।
গবেষণায় দেখা গেছে, টিভির দর্শকদের ক্ষেত্রে হৃৎস্পন্দন ৭৫ শতাংশ আর সরাসরি খেলা দেখার সময় তা ১১০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যায়। মাঝারি ও প্রচণ্ড শারীরিক চাপের সময় হৃৎস্পন্দন যেভাবে বাড়ে, এর মাত্রা তার সমান।
যুক্তরাষ্ট্রের জাকারবার্গ সানফ্রান্সিসকো জেনারেল হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ ডেভিড ডি. ওয়াটার্স বলেন, উত্তেজনাপূর্ণ হকি খেলা দেখার সময় যেকোনো ব্যক্তির হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
কানাডার মন্ট্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পল খায়েরি বলেন, হকি খেলা দেখলে হৃৎস্পন্দন এতটাই বেড়ে যেতে পারে যে তা প্রচণ্ড মানসিক চাপ তৈরি করে।
গবেষকেরা বলছেন, পক্ষে-বিপক্ষে যখনই গোল করার সুযোগ আসে, তখন প্রায় সময় হৃৎস্পন্দন সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে যায়। এ ছাড়া খেলা অতিরিক্ত সময়ে গড়ালে বা খেলার শেষের উত্তেজনায় হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায়।
আগেও খেলা দেখার সঙ্গে হৃদ্রোগের সম্পর্ক নিয়ে গবেষণা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, করোনারি আর্টারি ডিজিজ বা হৃদ্রোগে যাঁরা আগে থেকেই ভুগছেন, তাঁরা খেলা দেখার সময় সমস্যায় পড়তে পারেন।
গবেষকেরা বলছেন, সাম্প্রতিক গবেষণার ফল চিকিৎসকেদের কাজে লাগবে। রোগীর খেলা দেখার অভ্যাস সম্পর্কে আগেভাগেই কথা বলে নিতে পারবেন চিকিৎসকেরা। তথ্যসূত্র: টাইম ডটকম।