গরমে চাই নরম কাপড়

চড়া রোদে আরাম পাবেন নরম কাপড়ে। নকশার আয়োজনে মডেল হয়েছেন গানের দল জলের গান-এর সদস্য জার্নাল। পোশাক: দেশাল, ছবি: কবির হোসেন
চড়া রোদে আরাম পাবেন নরম কাপড়ে। নকশার আয়োজনে মডেল হয়েছেন গানের দল জলের গান-এর সদস্য জার্নাল। পোশাক: দেশাল, ছবি: কবির হোসেন

রোদের দাপট চলছে এখন। পোশাকের বেলায় তাই এখন পছন্দে এগিয়ে আছে সুতি কাপড়ের পোশাক। যতটা সম্ভব পাতলা আর নরম কাপড়ের পোশাকই এই সময়ে বেশি আরামের। তবে তাতে বৈচিত্র্যের কমতি নেই। রং আর নকশায় নতুনত্ব এনে ফ্যাশন ডিজাইনাররা ছেলেদের জন্য গ্রীষ্মের পোশাক সংগ্রহও সাজিয়েছেন দারুণভাবে। বাজার ঘুরে তো তা-ই দেখা গেল।

ছবি: কবির হোসেন
ছবি: কবির হোসেন

ফ্যাশন হাউস দেশালের অন্যতম স্বত্বাধিকারী ও ডিজাইনার ইশরাত জাহান বলেন, ‘গ্রীষ্মে ছেলেদের পোশাক যতটা সাধারণ হয়, ততই ভালো। এ সময়ে সুতি কাপড়ে শান্তি মিলবে। চড়া রঙের বদলে একটু কোমল রঙের পোশাক হলেই ভালো। ফতুয়া, শার্ট বা পাঞ্জাবি যা-ই হোক, পাতলা কাপড় বেছে নিতে পারেন।’ বাজারে সুতি কাপড়ের নানা ধরনের পোশাক দেখা যাচ্ছে।বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসে কথা বলে জানা যায়, গোল গলার হাতাকাটা ও হাফ হাতা ফতুয়ায় চাহিদা বেশি। এটা আবার সময়ের সঙ্গে অনেকটা স্টাইলিশ পোশাক হিসেবেও তরুণদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।
কথা হয় গানের দল জলের গানের সদস্য জার্নালের সঙ্গে। ঢোলা সুতির প্যান্ট, হাতাকাটা ফতুয়া—এ ধরনের পোশাকেই এখন তাঁকে দেখা যাচ্ছে মঞ্চে। তিনি বলেন, ‘গরমে হাতাকাটা ফতুয়ার সঙ্গে খাটো প্যান্ট পরি। ফতুয়া পরে বাইরে গেলে নিজের বা বন্ধুর ডিজাইন করা ঢোলা প্যান্টও বেছে নিই। প্যান্ট যদি চেক হয়, তাহলে ফতুয়ায় এক রং থাকে। এ ছাড়া এই গ্রীষ্মে বিশেষ কোনো অনুষ্ঠানে গেলে সুতি শার্ট বা পাঞ্জাবি পরি। রঙের ক্ষেত্রে নরম কোনো রং, যা অন্যের চোখেও সহনীয়, এমনটাই বেছে নিই। সঙ্গে মিলিয়ে হাতে বা গলায় পরি নানা রকম জুয়েলারি।’
গ্রীষ্মের সংগ্রহ
পোশাকের দোকানগুলোয় গ্রীষ্মের সংগ্রহও বেশ বড়সড়। সাধারণ শার্ট ছাড়াও নতুন নানা কাটের শার্ট জনপ্রিয়তা পেয়েছে। নিচের দিকে গোল করে কাটা ব্যান্ড কলারের এই শার্টের অর্ধেক বা নিচ পর্যন্ত বোতাম। কোনোটার হাতার নিচে, কলারে বা সামনের দিকে লম্বা করে ওপর-নিচ পর্যন্ত জুড়ে দেওয়া আছে অন্য রং। কোনোটার সামনের দিকে হালকা সুতার কাজ বা প্রিন্টের নকশা। পাঞ্জাবিতে আছে টাইডাই, ব্লকপ্রিন্ট বা বাটিকের নকশা। শার্ট আর ফতুয়ার

ছবি: কবির হোসেন
ছবি: কবির হোসেন

মাঝামাঝি নতুন ধরনের কাটের পোশাকও এসেছে। যাঁরা ভিন্ন স্টাইলের পোশাক পরতে চান, তাঁরা চাইলে কিনতে পারেন সামার কোট। পাতলা সুতি কাপড়ের নানা ধরনের সামার কোট আছে বাজারে। ফ্যাশন হাউস ব্যাঙের স্বত্বাধিকারী সায়েম হাসান জানান, সুতি কাপড়কে প্রাধান্য দিয়ে তৈরি হচ্ছে এ সময়ের পোশাক। রং যতটা সম্ভব হালকা রাখা হচ্ছে। শার্ট, ফতুয়া বা পাঞ্জাবির সঙ্গে মিলিয়ে সুতি কাপড়ের প্যান্ট, ট্রাউজার, খদ্দর বা তাঁতের কাপড়ে ঢোলা প্যান্ট বানিয়ে নিতে পারেন।

ছবি: কবির হোসেন
ছবি: কবির হোসেন

যেমন দরদাম
সাধারণ সুতি শার্ট কিনতে পারা যাবে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায়। এ ছাড়া বিশেষ কাটের শার্ট মিলবে ৪০০ থেকে ১৫০০ টাকায়। হাতাকাটা ফতুয়ার দাম পড়বে ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে, হাফ ও ফুল হাতা হলে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা। গ্রীষ্মের পাঞ্জাবি কিনতে চাইলে দামটা শুরু হবে ৫০০ টাকা থেকে। সামার কোটের দাম পড়বে ১৪০০ টাকার মধ্যে।
যেখানে পাবেন
রাজধানীর নিউমার্কেট ও এর আশপাশের এলাকাজুড়ে পোশাকের বিশাল সমারোহ চোখে পড়বে। এ ছাড়া দেশাল, যাত্রা, আড়ং, দেশী দশ, ব্যাং, স্মার্টেক্স, প্লাস পয়েন্ট, ইয়েলো, আজিজ সুপার মার্কেট, বঙ্গ বাজার, স্বদেশী, রাপা প্লাজা, প্লাজা এ আর—এসব শপিং কমপ্লেক্সেও পাবেন।