গরুর খাঁটি দুধ!

ঢাকা শহরেই পেতে পারেন গরুর খাঁটি দুধ। ছবি: নকশা
ঢাকা শহরেই পেতে পারেন গরুর খাঁটি দুধ। ছবি: নকশা

‘ধান ভানলে কুড়ো দেব, মাছ কাটলে মুড়ো দেব, কালো গাইয়ের দুধ দেব, চাঁদের কপালে চাঁদ টিপ দিয়ে যা।’ শহুরে মায়েরা অনেকেই এমন করে কালো গাইয়ের দুধ দেব বলে চাঁদকে কাছে ডাকতে পারেন না। আর তাই শিশুদের জন্য নির্ভর করতে হয় গুঁড়ো দুধের ওপর। অনেক শিশু আবার গুঁড়ো দুধ পছন্দ করে না। সে ক্ষেত্রে বেছে নেওয়া হয় প্যাকেটজাত পাস্তুরিত তরল দুধ। চাইলে এই ঢাকা শহরেই পেতে পারেন রোজ রোজ অমন কালো গাইয়ের দুধ। জেনে নিন তার খোঁজ।

কাঁঠালবাগান
২৫টির বেশি গাভি নিয়ে গড়ে উঠেছে কাঁঠালবাগান গরুর খামার। বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সের ঠিক বিপরীতেই এর অবস্থান। কাঁঠালবাগান, গ্রিনরোড, ফার্মগেট ও বাংলামোটরের বাসাবাড়িতে দুধ সরবরাহ করে থাকেন এখানকার খামার-মালিক দুধ বিক্রেতারা। খাঁটি দুধের নিশ্চয়তায়, অনেক ক্রেতাই সামনে দাঁড়িয়ে থেকে সদ্য দোহানো দুধ নিয়ে ফেরেন বাসায়। প্রতি লিটার দুধের দাম এখানে ৯০ টাকা।
খামার-মালিকদের একজন মকবুল হোসেন জানান, মূলত শিশুদের পুষ্টির চাহিদা পূরণে দুধ উৎপাদনই এই খামারের মূল উদ্দেশ্য। ফলে বিয়ে বা অন্য কোনো উৎসব-অনুষ্ঠান উপলক্ষে আসা অর্ডার সচরাচর ফিরিয়ে দেন তাঁরা।
আগারগাঁও

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে গড়ে উঠেছে পৃথক দুটি গরুর খামার। প্রতি লিটার দুধের দাম এখানে ১০০ টাকা। মণিপুরিপাড়া, ফার্মগেট থেকে আসা গাড়িচালক ইব্রাহিম জানান, মালিকের সন্তানের জন্য প্রায়ই দুধ নিতে আসতে হয় এখানে। চাহিদা বেশি বলে সকাল সাতটার আগে না এলে ফুরিয়ে যায় সব।

মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ
এখানে একেকটি গরুর খামারে ১০০ থেকে ২০০ করে গাভি। খুচরা ও পাইকারি দুভাবেই দুধ বিক্রি হয় এখান থেকে। সে ক্ষেত্রে দামের হেরফের হয়।

হেমায়েতপুর, সাভার
ঢাকার অদূরে সাভারের হেমায়েতপুর রয়েছে অসংখ্য গরুর খামার। প্রতি লিটার দুধ পাবেন এখানে ৬০ টাকা দরে।

অন্যান্য
এ ছাড়া খিলক্ষেত (ভুবনেশ্বর প্রজেক্টের ভেতরে), চকবাজার, বেগুনবাড়ি, কচুক্ষেত, বাসাবো, শনির আখড়া ও যাত্রাবাড়ীতে মিলবে এমন গাভির খামার।

বাড়িতেই পাবেন
কাঁধে ও হাতে বড় দুটি দুধের ক্যান নিয়ে বাস থেকে নামলেন একজন দুধ বিক্রেতা। হেমায়েতপুরের কাঞ্চননগর গ্রাম থেকে আসা সেই দুধ বিক্রেতা জানান, বাংলামোটর, ইস্টার্ন প্লাজার পার্শ্ববর্তী ও ফার্মগেট এলাকার বাসাবাড়িতে প্রতিদিন ৪২ লিটার দুধ সরবরাহ করে থাকেন তিনি। ৪০ বছর ধরে তিনি এমনি করে রোজ দুধ বিক্রি করে আসছেন।
এমনিভাবে হয়তো আপনার পাশের বাসায় দুধ সরবরাহ করে আসছেন কোনো এক দুধওয়ালা। একটু খোঁজ নিয়ে, চাইলে আপনি নিজেও নিত্য নিতে পারেন এমন তরল দুধের স্বাদ।