
ডায়েট চার্ট মেনে খাচ্ছেন, ব্যায়াম করছেন, শর্করা আর মিষ্টিজাতীয় খাবার বাদও দিয়েছেন, তা-ও কমছে না ওজন? মানে, ঠিক যেভাবে চাইছেন সেভাবে কমছে না? পেটের কাছে বা কোমরের কাছে থেকে যাচ্ছে কিছুটা চর্বি? সে ক্ষেত্রে আপনাকে আগে জানতে হবে নিজের গঠন সম্পর্কে। তারপর সে অনুসারে খাবার খেলে তৈরি হবে কাঙ্ক্ষিত গঠন।
ঢাকার বারডেম জেনারেল হাসপাতালের বিভাগীয় প্রধান ও প্রধান পুষ্টি কর্মকর্তা শামসুন্নাহার নাহিদ বলেন, একটা মানুষ ২০-৩৫ বছরের মধ্যে যে পরিমাণ ভিটামিন ডি আর ক্যালসিয়াম খায়, সেটাই পরবর্তী সময়ে তার শরীরের গঠন আর সুস্থতার কাজে আসে। মানুষকে অবশ্যই তার শারীরিক গঠন অনুসারে খাবার খেতে হবে। যেমন নাশপাতি আর আপেল আকারের মানুষের মধ্যে আপেল আকার ভালো। কারণ নাশপাতি আকৃতির লোকের পেটের দিকের মেদ বেশি হয়। সে ক্ষেত্রে সুস্থ থাকতে হলে খাবারের ব্যাপারে সচেতন হতে হবে।
আয়তাকার
এ ধরনের মানুষ সমান্তরাল শারীরিক গড়নের হয়। পুরো শরীরের আকৃতি সমান। এ ধরনের শারীরিক গঠনের মানুষের খাবার তালিকার দিকেও নজর রাখা জরুরি। স্বাস্থ্যকর চর্বি (বাদাম, স্যামন মাছ ইত্যাদি) এবং উদ্ভিদভিত্তিক প্রোটিন রাখতে হবে নিয়মিত খাবার তালিকায়। আপনি যদি আয়তক্ষেত্র শারীরিক গঠনের মানুষ হন, তবে সুস্থ থাকতে হলে আপনাকে কিন্তু ডায়েট মেনেই চলতে হবে। সে ক্ষেত্রে মিষ্টি আর ফাস্টফুড খাবার থেকে দূরে থাকা চাই। পান করতে হবে প্রচুর পানি।
আপেলের মতো
শারীরিক কাঠামো যদি আপেলের মতো হয়, তাহলে খুব সহজেই শরীরের মধ্য ভাগের ওজন বেড়ে যায়। সে ক্ষেত্রে একবারে অনেকটা খাবার খাওয়ার অভ্যাস বাদ দিয়ে অল্প অল্প করে বারবার খেতে হবে। মানে সারা দিনে তিনবারের খাবার ছয় ভাগে ভাগ করে খেতে হবে। আঁশযুক্ত খাবার, ফল, শাকসবজি, ভিটামিন সি এবং কম চর্বিযুক্ত দুধের তৈরি খাবার বেশি খাবেন। হজমে সমস্যা না হলে দই খেতে পারেন। ফাস্টফুড, রুটি এবং কিছু কিছু শাকসবজি যা পেটে গ্যাস তৈরি করে, সেসব এড়িয়ে চলুন।
আকৃতি যখন নাশপাতির মতো
বুকের তুলনায় কোমর এবং ঊরু চওড়া হলে শরীর অনেকটা নাশপাতি আকৃতির মনে হয়। এ রকম আকৃতি হলে মাছ, ডিম, দুগ্ধজাত দ্রব্য এবং উচ্চ প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। তরমুজ বা আনারসের মতো ফল খাওয়া ভালো হবে। পানীয়ের তালিকায় গ্রিন টিও থাকবে। সোডিয়ামের পরিমাণ বেশি এমন খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। লবণের পরিমাণ কমানোর পাশাপাশি ভাত, রুটি, নুডলসের প্রতি আসক্তি থাকলে তা-ও দূর করুন।
বালিঘড়ির মতো
বলা হয়, এটি সব থেকে কাঙ্ক্ষিত শারীরিক কাঠামো। এ ধরনের কাঠামোয় বুক ও কোমরের মাপ কাছাকাছি হয়। পেট হয় তার থেকে কিছুটা কম মাপের। এ ধরনের গঠনের অসুবিধা হচ্ছে তাদের রক্তে শর্করার উচ্চ মাত্রার ঝুঁকি আছে। তাই কম গ্লাইএসএমিক ইনডেক্সের সঙ্গে খাবারগুলো নির্বাচন করে একবারে অনেক বেশি না খেয়ে সারা দিনের খাবারকে ভাগ করে পাঁচ থেকে ছয়টি ছোট ছোট ভাগে খেতে হবে। সাদা রুটি, নুডলস এবং চালের বদলে খেতে হবে ফল ও সবজি।
সূত্র: হেলথ ডট কম, বাজফিড হেলথ