চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: গান, গবেষণা, গৌরবের গল্প

মায়ায় বেঁধেছে এই প্রাঙ্গণ
ছবি: সৌরভ দাশ

ঘড়ির কাঁটা সবে আটটার ঘর পেরিয়েছে। সূর্য কেবল পূর্ব দিক থেকে উঁকি দিচ্ছে। তখনই হুইসেল বাজিয়ে ট্রেন জানিয়ে দিল, গন্তব্যে পৌঁছে গেছে। দলে দলে ট্রেন থেকে নামলেন এক ঝাঁক শিক্ষার্থী। মুহূর্তের মধ্যে নীরবতা ভেঙে জেগে উঠল একটি বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষার্থীরা দল বেঁধে ছুটলেন ক্লাসে, ক্যানটিনে কিংবা আড্ডা দেওয়ার প্রিয় জায়গায়। দিনভর তাঁরা চষে বেড়ালেন ক্যাম্পাসে। দিন শেষে আবার বাড়ি ফেরার তাড়া। তাই বিকেলে ক্যাম্পাসকে ঘুম পাড়িয়ে ফিরে যান শিক্ষার্থীরা।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এই চিত্র নিত্যদিনের। স্বাধীনতার পাঁচ বছর আগে, ১৯৬৬ সালের ১৮ নভেম্বর প্রতিষ্ঠানটির জন্ম হয়। চট্টগ্রাম নগর থেকে প্রায় ২২ কিলোমিটার উত্তরে হাটহাজারী উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের পাহাড়ি ও সমতল ভূমিতে এর অবস্থান। এখন আয়তন প্রায় ২ হাজার ৩১২ একর। সে হিসেবে এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৭ হাজার ৫৫০। শিক্ষার্থীর সংখ্যার দিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টি দেশে তৃতীয়। শিক্ষক আছেন ৯০৬ জন। গত ৫৫ বছরে বিশ্বের আনাচকানাচে ছড়িয়ে পড়েছেন এই বিদ্যাপীঠের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। দেশে-বিদেশে তাঁরা যে অবস্থানেই থাকেন না কেন, নিশ্চয়ই হৃদয়ে ধারণ করে রেখেছেন শাটলের ক্যাম্পাস।

মন কেড়ে নেওয়া সৌন্দর্যের জন্যও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় একটু আলাদা। ঋতু বদলের সঙ্গে সঙ্গে এখানে বদলে যায় ক্যাম্পাসের রং, ছবি। ক্যাম্পাসের ভেতর দিয়েই চলে গেছে আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথ। নানা প্রজাতির গাছ, বন্য প্রাণীদের অধিকার এখানে ততটাই, যতটা শিক্ষার্থীদের। প্রায়ই দেখা মেলে ছোট আকারের লালচে-বাদামি, পিঙ্গল রঙের মায়া হরিণ। পাহাড়ি ঝরনা, গিরিপথ, পামবাগান, বোটানিক্যাল গার্ডেন, স্লুইসগেট, বিশাল খেলার মাঠ, দৃষ্টিনন্দন ভবন, কী নেই? তাই শিক্ষার্থীরা ছাড়াও বহু মানুষ আসেন এই ক্যাম্পাসে। প্রতি শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস হয়ে ওঠে পর্যটনকেন্দ্র।

প্রথমবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পা রেখে এই সৌন্দর্য দেখে মোনালিসা মিতা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন, যেভাবেই হোক, এই ক্যাম্পাসের বাসিন্দা হতে হবে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়নাভিরাম পরিবেশ তাঁকে ভর্তি পরীক্ষায় ভালো করতে অনুপ্রেরণা দিয়েছে। ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রথম বর্ষের মোনালিসা বলছিলেন, ‘কাটা পাহাড় সড়কের কাছে এসেই ঠিক করে ফেলেছিলাম, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ না করে আমি এই ক্যাম্পাস ছাড়ছি না।’

মার্কেটিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান আবার এই ক্যাম্পাসের প্রেমে পড়েছেন ভিন্ন কারণে। তাঁর বাড়ি চট্টগ্রামের চকরিয়ায়। খেলাধুলা করতে পছন্দ করেন। বিকেল হলেই যান কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে। সেখানে থাকেন অন্ধকার হওয়া পর্যন্ত। সন্ধ্যা হলে কীভাবে মাঠের ওপর দিয়ে পাখিরা বাড়ি ফেরে, রোজ তিনি দেখেন। খেলার পর শরীরে রাজ্যের ক্লান্তি নিয়ে পাখিদের কিচিরমিচির শুনতে প্রতিদিন বসে থাকেন একমনে।

যেখানে সেখানে হাত–পা ছড়িয়ে বসে না পড়লে আর ‘নিজের ক্যাম্পাসের’ আনন্দ কোথায়!
ছবি: সৌরভ দাশ

গবেষণার গতি বাড়ছে

১৯৮৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর কার্যক্রম শুরু করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা পরিচালনা ও প্রকাশনা দপ্তর। এরপর থেকে ২০ জুন ২০১৫ পর্যন্ত ২৭ বছরে সম্পাদিত হয় ৩০৬টি গবেষণা প্রকল্প। কিন্তু এর পর থেকে গত সাত বছরে এই দপ্তরে গবেষণা প্রকল্প জমা হয়েছে ৫০৩টি।

এ প্রসঙ্গে গবেষণা পরিচালনা ও প্রকাশনা দপ্তরের পরিচালক আবদুল্লাহ আল ফারুক বলেন, ২০১৫ সালের পর থেকে গবেষণায় বরাদ্দ বেড়েছে। এর পর থেকে শিক্ষকেরা গবেষণায় বেশি মনোযোগী হয়েছেন। ধীরে ধীরে গবেষণা বাড়ছে। শিক্ষার্থীরাও গবেষণার কাজে অংশ নিচ্ছেন।

চলতি বছরে দুই গবেষণার মেলা

গবেষণায় প্রেরণা দিতে চলতি বছরে এরই মধ্যে দুবার গবেষণা পোস্টার প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রথমটি অনুষ্ঠিত হয় গত ২৪ মার্চ। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটি অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের ২৬৪ জন গবেষক অংশ নেন। গবেষণার পোস্টার ছিল ১০৬টি। শিক্ষকদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরাও অংশ নিয়েছেন। এমনকি শিক্ষকদের পেছনে ফেলে পুরস্কারও জিতেছেন বন ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী ইতা মনি চাকমা।

আরেকটি গবেষণা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২১ মে। এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৫২৪ জন তরুণ গবেষক। তাঁদের মধ্যে গবেষণাকর্ম উপস্থাপন করেন ৪৮ জন। পোস্টার প্রদর্শনীতে অংশ নেন ৪২৮ জন।

নিজের ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস
ছবি: সৌরভ দাশ

নতুন সাতটি গবেষণাগার

সুইজারল্যান্ডের ফাইন্ড ডায়াগনস্টিক ও চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সহায়তায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন সাতটি গবেষণাগার গড়ে উঠেছে। এসব গবেষণাগারের কোনোটিতে ক্ষুদ্র অণুজীবের জীবনবৃত্তান্ত নিয়ে গবেষণা হবে, কোনোটিতে গবেষকেরা সংক্রামক রোগের প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান করবেন। আবার কোনোটিতে তৈরি হবে প্রতিষেধকের নকশা। গত সোমবার এর উদ্বোধন করেন উপাচার্য শিরীণ আখতার। বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের জন্য গবেষণাগারগুলো তৈরি করা হয়েছে। তবে বিভাগের সভাপতি নাজনীন নাহার ইসলাম জানালেন, গবেষণার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কেউ এটি ব্যবহার করতে পারবেন।

প্রতিটি গবেষণাগারে আধুনিক সব যন্ত্রপাতি বসানো হয়েছে। রয়েছে সিকোয়েন্সার, আরটি-পিসিআর যন্ত্র, পিসিআর, জিন পালসার, ন্যানোড্রপ, এলাইজা, ওয়েস্টার্ন ব্লট, ফার্মেন্টর, শেইকার ইনকুভেটর, ফ্লোর মিটার, স্পেকটোফটোমিটার, বায়োসেফটি ক্যাবিনেট ১ সহ নানা যন্ত্রপাতি। এসব যন্ত্রের সাহায্যে ক্যানসার, সংক্রামক ব্যাধি, অটিজম, থ্যালাসেমিয়া, হিমোফিলিয়া, গলগণ্ড, কলেরা, টাইফয়েড, ডায়াবেটিস, অণুজীব সংক্রমণ, খাদ্যে বিষক্রিয়া, জলবায়ুসহিষ্ণু ধানের জাতসংক্রান্ত গবেষণাসহ নানা কার্যক্রম চলবে।

শুধু অবকাঠামোগত উন্নয়নই নয়, মেধাভিত্তিক ও গবেষণামুখী পরিবেশ তৈরি করতে কাজ করে যাচ্ছি আমরা। শিক্ষার্থীদের গবেষণায় উদ্বুদ্ধ করতে নিয়মিত বিভিন্ন অনুষদে সভা ও সেমিনার করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের যাতায়াত, খাদ্য ও আবাসনসংকট নিরসনেও আমরা তৎপর। পড়াশোনার সর্বোচ্চ পরিবেশ নিশ্চিত করে সৎ, দক্ষ ও মেধাবী শিক্ষার্থী তৈরি করতে চাই। যাতে শিক্ষার্থীরা আগের মতো দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখতে পারে।
শিরীণ আখতার, উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় গ্রন্থাগার

বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারটি চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে বড়। দেশের সমৃদ্ধ গ্রন্থাগারগুলোর মধ্যেও এটি অন্যতম। এ গ্রন্থাগারের যাত্রা শুরু হয় ১৯৬৬ সালের নভেম্বরে। তিনতলা গ্রন্থাগারে শিক্ষার্থী, গবেষক এবং শিক্ষকদের জন্য আলাদা ঘর ও একটি মিলনায়তন আছে। এ ছাড়া ১৯৭৩ সালের পর থেকে প্রতিদিনের দৈনিক পত্রিকাগুলোও সংরক্ষিত আছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারিক এ কে এম মাহফুজুল হক জানান, তিন শ বই নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও এখন এ গ্রন্থাগারের সংগ্রহে বিভিন্ন দেশের প্রায় সাড়ে চার লাখ বই আছে। বিরল বই সংগ্রহের দিক থেকে এ গ্রন্থাগার বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম। এ ছাড়া গ্রন্থাগারটিতে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে প্রায় ১০ হাজার ব্রেইল বই ও বিশেষ কম্পিউটার।

যে কারণে আলাদা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৭ প্রজাতির ব্যাঙ, ৫৬ প্রজাতির সরীসৃপ, ২১৫ প্রজাতির পাখি ও ২০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণীর দেখা মেলে। এর মধ্যে মায়া হরিণ, অজগর, আসামি বানরসহ বিভিন্ন প্রজাতির দুর্লভ জীব আছে। এসব প্রাণীর উপস্থিতি এ প্রাঙ্গণকে অনন্য করেছে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আছে প্রাণিবিদ্যা জাদুঘর, যার যাত্রা শুরু হয় ১৯৭৩ সালে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের পাঠের সহায়ক হিসেবে এটি স্থাপন করা হয়। এ জাদুঘরটিতে ৫৪০টি প্রাণীর নমুনা সংরক্ষিত রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সামুদ্রিক বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের একটি কক্ষে গড়ে তোলা হয়েছে সমুদ্রসম্পদ জাদুঘর। এখানে ৫৫০টির মতো সামুদ্রিক প্রাণী সংরক্ষণ করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে হাঙর, বৈদ্যুতিক মাছ, আজব বাণাকেল, অক্টোপাস, শামুক, বিভিন্ন প্রজাতির সাপ উল্লেখযোগ্য।

ইতিহাসসংবলিত জাদুঘর

সময়টা ১৯৭৩ সালের ১৪ জুন। মধ্যযুগের চারটি কামান নিয়ে যাত্রা শুরু করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘর। এখন জাদুঘরটি পাঁচটি গ্যালারিতে বিভক্ত। এতে রয়েছে প্রাচীন শিলালিপি, অষ্টম শতকের পাহাড়পুর থেকে আনা পোড়ামাটির চিত্রফলক, বুদ্ধমূর্তি, মধ্যযুগের ১০ থেকে ১৫টি বিষ্ণুমূর্তি, সৈন্যদের ব্যবহৃত অস্ত্রশস্ত্র, বিভিন্ন রকম মুদ্রা, প্রাচীন পাথরের ভাস্কর্যসহ নানা কিছু।

আরও আছে প্রাগৈতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক গ্যালারি, ভাস্কর্য গ্যালারি, ইসলামিক আর্ট গ্যালারি, লোকশিল্প গ্যালারি এবং সমসাময়িক বিভিন্ন চিত্র গ্যালারি। প্রতিটি সংগ্রহের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত ইতিহাসও লেখা আছে।

শাটলের গান এবং অন্যান্য

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের প্রধান বাহন শাটল ট্রেন। চট্টগ্রাম নগরের বটতলী থেকে ক্যাম্পাস পর্যন্ত চলে এই ট্রেন। রবি থেকে বৃহস্পতি—প্রতিদিন সাতবার ট্রেন যাওয়া-আসা করে। আর শুক্র ও শনিবার তিনবার। গানের জন্যও বিখ্যাত শাটল। হুইসেলের সঙ্গে সঙ্গে বগির দেয়াল কিংবা দরজা চাপড়ে ‘ড্রাম’ বাজিয়ে শিক্ষার্থীরা গাইতে থাকেন গান। নকিব খান, এস আই টুটুল, পার্থ বড়ুয়া, বাপ্পা মজুমদারের মতো সংগীতশিল্পীরাও এই শাটলে সুর বেঁধেছেন।

শাটলের মতোই বিখ্যাত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ঝুপড়ির আড্ডা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদ ও হলের পাশে গড়ে ওঠা ছোট দোকানগুলো ঝুপড়ি নামে পরিচিত। এখানেও জমে গানের আসর। রাজনৈতিক আলাপ, সাহিত্যচর্চা, দর্শন কিংবা বিজ্ঞান নিয়ে তর্ক থেকে শুরু করে বন্ধুদের খুনসুটি, মন দেওয়া-নেওয়া—সবই চলে।

লোকপ্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল জুবায়ের বলেন, ‘এ বিশ্ববিদ্যালয় শুধু একটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, হাজারো শিক্ষার্থীর আবেগ। এখান থেকে যেমন বন্ধু পেয়েছি, তেমনি পেয়েছি নানা সংগঠনে কাজ করার অভিজ্ঞতা।’

ক্লাব কার্যক্রমে বেশ সক্রিয় চবি। বিতর্ক, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান—এসবের চর্চা তো আছেই। ব্যতিক্রম কিছু সংগঠনও গড়ে উঠেছে। যেমন শিক্ষার্থীদের নিয়মিত উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় সহায়তা দিচ্ছে চিটাগাং ইউনিভার্সিটি রিসার্চ অ্যান্ড হায়ার স্টাডি সোসাইটি।

দেশে-বিদেশে, সরকারি-বেসরকারি নানা উচ্চ পদে ছড়িয়ে আছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। সবচেয়ে কম বয়সে ব্যাঙের নতুন প্রজাতি আবিষ্কার করে স্বীকৃতি পাওয়া বিজ্ঞানী সাজীদ আলী হাওলাদার এ বিশ্ববিদ্যালয়েরই ছাত্র ছিলেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র ছিলেন। দেশের প্রথম নারী জেলা প্রশাসক রাজিয়া বেগম ছিলেন ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ছাত্রী। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র প্রয়াত আনিসুল হকও এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন।

ভর্তি-ইচ্ছুকদের অপেক্ষায়

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু হবে ১৫ জুন। চলবে ৩ জুলাই পর্যন্ত। আগামী ১৫ জুন বেলা ১১টা থেকে ৫ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত আবেদন ফি জমা দেওয়া যাবে।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, চারটি ইউনিট ও দুটি উপ-ইউনিটের মাধ্যমে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। এবার ৪৮টি বিভাগ ও ৬টি ইনস্টিটিউটে ৪ হাজার ৯২৬টি আসনের জন্য শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। এর মধ্যে সাধারণ আসন ৪ হাজার ১৮৯টি ও কোটা ৭৩৭টি। ভর্তির আবেদনের জন্য প্রতি ইউনিট ও উপ-ইউনিটে একজন শিক্ষার্থীকে দিতে হবে ৮৫০ টাকা।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট (admission.cu.ac.bd) থেকে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা বিস্তারিত জানতে ও আবেদন করতে পারবেন।