চলতি ধারায় পর্দা

দুই রঙের পর্দার ক্ষেত্রে বিপরীত রঙের পর্দা ব্যবহার করতে পারেন। কৃতজ্ঞতা : সাবিহা কুমু
ছবি : সুমন ইউসুফ

অন্দরসজ্জার সাম্প্রতিক ট্রেন্ড একই জানালায় দুই বা তিন রঙের পর্দা। বড় জানালা হলে যদি আপনার তিনটি পর্দা লাগে, তাহলে দুই পাশের দুটি পর্দা এক রঙের নিয়ে মাঝখানের পর্দা অন্য রঙের নিতেই পারেন। যেমন দুই পাশের পর্দা যদি হয় আকাশি, তাহলে মাঝখানের পর্দাটি সাদা অথবা হালকা গোলাপি হতে পারে। আবার দুই পাশে এক রঙের পর্দা লাগিয়ে মাঝখানে প্রিন্টের পর্দাও লাগাতে পারেন। এতে আপনার ঘর আরও সুন্দর দেখতে লাগবে।

এ বিষয়ে স্থাপত্য–বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ‘মেটামরফিক’-এর স্থপতি ফারাহ মৌমিতা বলেন, হালকা রঙের পর্দায় বড় ফ্লোরাল প্রিন্ট বেশ ভালো দেখাবে। দুই রঙের পর্দার ক্ষেত্রে বিপরীত রঙের পর্দা ব্যবহার করতে পারেন। আবার অনেকে বড় কোনো জানালায় রংধনুর সাতটি রঙের পর্দাও ঝুলিয়ে দিতে পারেন। অনেক রঙের পর্দা একসঙ্গে দিলে জর্জেট বা নেটের কাপড় হলে দেখতে বেশ ভালো লাগে। দিনের বেলা নানা রঙের আলোয় ঘরটি মোহনীয় হয়ে ওঠে।

পর্দার নিচের অংশে সুতার ছোট ছোট বল বা পমপমের লেসও লাগিয়ে নিতে পারেন। চাইলে কুঁচিও লাগাতে পারেন। যে রঙের পর্দা, সেই রঙের কুঁচি লাগালে দেখতে ভালো লাগবে।

পর্দা বানানোর সময় নানা ধরনের ডিজাইন যেমন পাওয়া যায়, তেমনি কাপড়ের ধরনেও থাকে ভিন্নতা। ঘরে প্রচুর রোদ ঢুকলে গাঢ় রঙের পর্দা ব্যবহার করতে পারেন। এতে রোদের তাপে রং জ্বলে যাওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। সুতির পাশাপাশি লিনেন, মখমল বা সিল্কের পর্দা ঘরকে দেবে আভিজাত্য। দীর্ঘদিন ব্যবহারের জন্য সিনথেটিক পর্দা খুবই টেকসই। হালফ্যাশনে হ্যান্ডপেইন্ট, ব্লক, বাটিক, প্রিন্ট ও কাঁথা স্টিচের পর্দা বেশ ভালো চলছে। তবে একরঙা পর্দা বরাবরই সমাদৃত অনেকের কাছে। পর্দার নানা ধরনের নকশার পাশাপাশি ব্যবহার করতে পারেন ফিতা, পুঁতির মালা, কাঠের বোতাম, বাড়তি কাপড় ও লেস।

যত্ন

জানালার মধ্যে গুঁজে না রেখে ফিতা দিয়ে বেঁধে সুন্দর করে গুছিয়ে রাখলে পর্দার আয়রন নষ্ট হয় না।

ধুলোবালু পর্দায় বেশি আটকায়। প্রতিদিন অন্তত একবার প্লাস্টিকের ঝাড়ু দিয়ে পর্দা ঝেড়ে নিলে লেগে থাকা আলগা ধুলাময়লা ঝরে যাবে।

বেশি কড়া রোদে রঙিন পর্দা না শুকানোই ভালো। এতে পর্দার ঔজ্জ্বল্য হারিয়ে ফ্যাকাশে হয়ে যায়।

কমপক্ষে ছয় মাসে একবার ঘরে বা লন্ড্রিতে দিয়ে পর্দা ধুয়ে নিলে পর্দার রং ঠিক থাকে।

ঘরে ধোয়ার উপযোগী নয়—এমন পর্দা লন্ড্রি থেকে পরিষ্কার করে আয়রন করিয়ে নেওয়াই ভালো। অনেক পর্দা ওয়াশিং মেশিনে ধোয়া যায় না, সে বিষয়ও খেয়াল রাখতে হবে।