পছন্দ বিষয়টি একান্তই ব্যক্তিগত। কেউ চান ঢেউখেলানো কোঁকড়া চুল, আর কারও–বা ভালো লাগে পাটের আঁশের মতো সোজা ঝলমলে চুল। আর এমন চুল পেতে সমাধান হিসেবে আছে কয়েকটি পদ্ধতি। তবে পদ্ধতিতে ভিন্নতা থাকলেও প্রস্তুতির নিয়ম কিন্তু একই।

চুল সোজা করার আগে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞকে আপনার চুল দেখাতে হবে
মডেল: সৌমি, ছবি: কবির হোসেন

চুল সোজা করার আগের প্রস্তুতি

বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন
চুল সোজা করার আগে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞকে আপনার চুল দেখাতে হবে। আপনার চুলে কোন পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে, শুধু একজন বিশেষজ্ঞই তা বলতে পারবেন। চুল সোজা করার কয়েকটি পদ্ধতি আছে। তার মধ্যে রিবন্ডিং খুব পরিচিত একটি পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে মূলত তিনটি ধাপে চুল সোজা করা হয়। চুলের ধরন ও দৈর্ঘ্য অনুসারে ৩ থেকে ৮ ঘণ্টা লাগে।
চুল সোজা ও নরম করার হালের জনপ্রিয় আরেকটি পদ্ধতি কেরোটিন ট্রিটমেন্ট। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এ পদ্ধতির ক্ষতিকর দিকও বেশ কম। আবার সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকেও চুলকে রক্ষা করতে সাহায্য করে কেরোটিন ট্রিটমেন্ট। বিশেষজ্ঞই ঠিক করে দেবেন আপনার জন্য কোনটা ভালো।

এক সপ্তাহ আগেই শ্যাম্পু বন্ধ করুন
শ্যাম্পু করলে চুল খুব বেশি নাজুক হয়ে পড়ে। পুনরায় শক্তি ফিরে পেতে প্রয়োজন হয় বাড়তি সময়। তাই শ্যাম্পু করলে কৃত্রিম প্রসাধনী ব্যবহারে চুলের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। এমনকি চুল ঝলসেও যেতে পারে। তাই চুল সোজা করার এক সপ্তাহ আগে শ্যাম্পু করুন ও কন্ডিশনার দিন। তারপর আর শ্যাম্পু করবেন না। ক্ষার কম এমন শ্যাম্পু ব্যবহার করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

চুল সোজা করার এক সপ্তাহ আগে শ্যাম্পু করুন ও কন্ডিশনার দিন
মডেল: সৌমি, ছবি: কবির হোসেন

ছাড়িয়ে নিন চুলের জট
আপনার কোঁকড়া চুলে খুব বেশি জট থাকলে অবশ্যই চিরুনি দিয়ে বারবার আঁচড়ে ছাড়িয়ে নিন। কারণ, জট থাকলে চুল ঠিকঠাক সোজা হবে না। এ ছাড়া এতে চুল ঝরে পড়ারও আশঙ্কা বাড়ে।

সোজা চুলে কন্ডিশনার
চুল সোজা করা মানেই কিন্তু কাজ শেষ নয়। চুলের মসৃণতা ধরে রাখতে শ্যাম্পুর পর সব সময়ই কন্ডিশনার ব্যবহার বাধ্যতামূলক। এতে চুল তার প্রয়োজনীয় ময়েশ্চারাইজার পাবে। আর সপ্তাহে এক দিন অবশ্যই চুলে ডিপ কন্ডিশনিং করতে হবে।


সূত্র: স্টাইল ক্রেজ