
দিন যত যাচ্ছে, নিত্যনতুন তৈজসপত্রের দেখা মিলছে বাজারে। আর পুরোনোগুলো পাচ্ছে নতুন নকশা ও রূপ। নতুন আঙ্গিক আর ভিন্নধর্মী নকশার জগ শোভা পাচ্ছে অনেকের খাবারের টেবিলে। একটা সময় ব্যবহার করা হতো কাঁসা, পিতল কিংবা রুপার জগ। উৎসবে এগুলোর ব্যবহার এখনো আছে। তবে কাচ, মাটি, সিরামিক বা প্লাস্টিকের জগই জনপ্রিয় এখন।
ধরন বুঝে ব্যবহার
আপনার ব্যবহারের সুবিধা অনুযায়ী জগের ধরন বাছাই করে নিতে পারেন। কাচ, ক্রিস্টাল, সাধারণ প্লাস্টিক, অ্যাক্রিলিক প্লাস্টিক, সিরামিক, মাটি—মোটামুটি এই কয়েক ধরনের উপাদান দিয়ে তৈরি জগ পাওয়া যায়। নকশারও আছে রকমফের। কোনোটা দেখলে মনে হয় জিরাফের মতো ঘাড় উঁচিয়ে আছে, কোনোটা কোমর বাঁকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে! পাবেন শুধু জগ অথবা গ্লাসসহ জগের সেটও। মাটি, কাচ, ক্রিস্টাল ও সিরামিকের জগ ব্যবহার করতে পারেন কোনো অনুষ্ঠানে। প্রতিদিন ব্যবহারের জন্য ফাইবার কিংবা প্লাস্টিকের জগই ভালো। হাত থেকে পড়ে গেলেও ভাঙবে না আর ফেটে যাওয়ার ভয়ও কম। চাইলে মাটির জগও প্রতিদিন ব্যবহার করতে পারেন। মাটির জগে পানি বেশ ঠান্ডা থাকে। গরমের দিনগুলোতে মাটির জগ ব্যবহারের এই একটা সুবিধা রয়েছে।

আড়ংয়ের ডিজাইনার মারুফা এ. চৌধুরী জানালেন, ভিন্ন ধরনের জগের মধ্যে সিরামিকের ওপর হাতে রংতুলি দিয়ে নকশা করা জগেরই চাহিদা থাকে সারা বছর। কোথায় পাবেন
রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় জগ পাবেন প্রচুর। এখানে প্লাস্টিক, কাচ, ফাইবার ও ক্রিস্টালের জগের বেচাকেনা বেশি হয়। এ ছাড়া ক্রোকারিজের যেকোনো দোকানেই জগ পাওয়া যাবে। আড়ং, যাত্রা, ক্লে ইমেজ ইত্যাদি জায়গায় হাতে নকশা করা সিরামিক কিংবা মাটির জগ পাবেন।

দামদর
কাচ, ক্রিস্টাল ও ফাইবারের জগের দাম পড়বে ২৫০ থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে। সাধারণ প্লাস্টিক জগের দাম ২০০ থেকে ৩৫০ টাকা। অ্যাক্রিলিক প্লাস্টিক জগের দাম একটু বেশি হয়, ৬০০ থেকে ২০০০ টাকা। আর যদি গ্লাসসহ জগের সেট কিনতে চান, তবে দাম পড়বে ৭০০ থেকে ১৬০০ টাকার মধ্যে। সেটের জগ ও গ্লাস সাধারণত কাচ, ক্রিস্টাল কিংবা সিরামিকের হয়ে থাকে। আড়ংয়ে মাটির বা হাতে নকশা করা সিরামিকের জগ পাবেন ২৮৫ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে। তবে চাইলে এর সঙ্গে একই নকশার গ্লাস কিংবা মগও মিলিয়ে কিনে নিতে পারেন। সেটের জন্য আপনার যতগুলো প্রয়োজন, ততগুলোই কিনতে পারবেন এখানে।