জাতির কলঙ্ক মোচন হলো

শরীফ চৌহান
শরীফ চৌহান

অনেক রাজনৈতিক প্রতিবন্ধকতা, দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে প্রথমবার কারও শাস্তি হলো। এটা বাংলাদেশের মানুষের অনেক বড় অর্জন। এর মধ্য দিয়ে ভবিষ্যতে অন্য যুদ্ধাপরাধীর বিচারের রায় ঘোষণা ও কার্যকরের পথ সুগম হলো।

আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ার পর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে এ কথা বলেন গণজাগরণ মঞ্চ চট্টগ্রামের সমন্বয়ক শরীফ চৌহান। তিনি বলেন, এই রায় বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে ৪২ বছর পর বাঙালি জাতি কলঙ্কমুক্ত হলো। মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের পর যে অপূর্ণতা ছিল, তা আজ পূর্ণতা পেল।

শরীফ চৌহান আরও বলেন, ১৯৯২ সালে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে গণ-আন্দোলন শুরু হয়েছিল। এরই ধারাবাহিকতায় তরুণ প্রজন্মের নেতৃত্বে গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলন হলো। এই দুটি আন্দোলনই মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের ভিত্তি তৈরি করেছে।

বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের মূলনীতির ভিত্তিতে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে চায়। একজন রাজাকার বেঁচে থাকা পর্যন্ত তারুণ্যের সংগ্রাম চলবে।