জীর্ণ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে চলছে পাঠদান

মিরসরাই উপজেলার ১০ নম্বর মিঠানালা ইউনিয়নের মিঠানালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিনটি ভবনের একটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। পর্যাপ্ত শ্রেণীকক্ষ না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান।
বিদ্যালয় ঘুরে দেখা গেছে, এখানে ভবন আছে তিনটি। ভবনের মধ্যে অধিকতর পুরোনো একাডেমিক ভবনটি জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কর্মরত শিক্ষকেরা জানান, ১৮৮৫ সালে স্থাপিত এই বিদ্যালয়ের পুরোনো ভবন ভেঙে চার কক্ষবিশিষ্ট একাডেমিক ভবনটি নির্মাণ করা হয় ১৯৯৪ সালে। বাকি দুটি ভবনের একটি ২০০২ সালে ও অপরটি ২০০৯ সালে নির্মিত হয়।
সরেজমিনে মিঠানালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, চার কক্ষবিশিষ্ট একাডেমিক ভবনের চারটি কক্ষের একটিতে শিশুশ্রেণী, অপর দুটিতে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর পাঠদান চলছে। অপর কক্ষ বিদ্যালয়ের গুদাম হিসেবে ব্যবহূত হচ্ছে।
প্রায় সবগুলো কক্ষের দেয়ালে ফাটল ধরেছে। পিলার ও ছাদ থেকে খসে পড়ছে পলেস্তারা। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তপন কুমার ধুম জানান, সম্প্রতি পাঠদান চলাকালে ভবনটির ছাদ থেকে পলেস্তারা খসে পড়ে শিক্ষার্থীদের গায়ে। কেউ হতাহত না হলেও এ ঘটনায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ৩০০ শিক্ষার্থী ও নয়জন শিক্ষক-শিক্ষিকা ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ে যাচ্ছেন। বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী রিহানুল মাওয়া বলে, ‘শ্রেণীকক্ষে আমরা আতঙ্কে থাকি। তাই পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারি না।’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তপন কুমার ধুম বলেন, ‘শ্রেণীকক্ষের সংকট থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে শ্রেণী-কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে। নতুন ভবন নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে ইতিমধ্যে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবরে একটি লিখিত আবেদন করেছি।’
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) হারুন উর রশিদ জানান, মিঠানালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ উপজেলায় ১৩টি ঝুঁকিপূর্ণ প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। ভবনগুলো নতুনভাবে নির্মাণের জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী আবুল হোসেন খান বলেন, মিঠানালা বিদ্যালয়ের একডেমিক ভবনটি ১৯৯৪ সালে চার লাখ ২০ হাজার টাকা ব্যয়ে দুইতলা ভিত্তি দিয়ে নির্মাণ করা হয়। এটির স্থায়িত্বকাল ৫০ বছর হওয়ার কথা। এত দ্রুত কেন ভবনটিতে ফাটল ধরল তা খতিয়ে দেখা হবে এবং ব্যবস্থা নেওয়া হবে।