জুতা রাখার নান্দনিক তাক

দু্ই দরজার জুতার তাক।
কৃতজ্ঞতা: বহু, ছবি: নকশা

ঠিক ঠিক এক জোড়া জুতা পেলে একজন মেয়ে পৃথিবী জয় করতে পারে—হলিউড অভিনেত্রী মেরিলিন মনরোর এই কথা ধরেই বলা যায়, জুতার মতো জুতা রাখার জায়গাটাও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। ঘরের প্রবেশদ্বার হোক কিংবা অন্দরের ভেতরে, জুতার তাক দরকারি অনুষঙ্গ।

কাপড় বা সাজসজ্জার উপকরণ সবকিছুই একটি নির্দিষ্ট স্থানে গুছিয়ে রাখা পরিপাটি গৃহের নিদর্শন। তেমনি অতিথি হোক বা ঘরের সদস্য প্রতিদিনের ব্যবহৃত জুতাগুলোও তাকে সাজিয়ে রাখা অন্দরসজ্জার একটি অংশ।

গতানুগতিক ধারা থেকে বেরিয়ে জুতার তাকগুলোর নকশায় দেখা যাচ্ছে নতুনত্ব। একসময়ের একরঙা প্লাস্টিক, লোহা বা ইস্পাতের জুতার তাকগুলোর পরিবর্তে দৃষ্টিনন্দন নকশা ও সহজে ব্যবহার উপযোগী তাক অনেকের কাছেই আকর্ষণীয়।

জুতা রাখার তাক হোক নান্দনিক

দুই দরজা, সিঁড়ি, আসন বা আয়নাবিশিষ্ট জুতার তাকের পাশাপাশি একেবারেই নতুন ধারা হলো লোকজ ধারায় আঁকা ছবি বা রিকশাচিত্র ও আলপনার নকশা করা জুতার তাক। এ ছাড়া উপকরণে এসেছে ব্যতিক্রমধর্মী সব বিকল্প। কাঠ, পার্টিকেল বোর্ড, ফাইবার বোর্ডের মতো উপকরণেই তৈরি করা হচ্ছে জুতার র‌্যাক।

রাফি আর্ট গ্যালারি একটি অনলাইনভিত্তিক উদ্যোগ। সব ধরনের আসবাবে রিকশাচিত্র, লোকজ ও ম্যান্ডেলা ধাঁরায় আঁকেন তাঁরা। এর স্বত্বাধিকারী মুহাম্মদ রাজিব বলেন, ‘আঁকা আসবাবের ধারাটি খুব বেশি পুরোনো নয়। শুধু বার্নিশ থেকে সরে এসে বছর পাঁচেক ধরে ছবি আঁকার এই ভিন্ন ধারাটি তৈরি হয়েছে।নিজস্ব শিল্পীদের দিয়ে আমাদের কারখানায় তাক তৈরি ও ছবি আঁকার কাজ করানো হয়। ক্রেতারা চাইলে তাঁদের পছন্দের ফরমাশও দিতে পারেন।’

একেবারেই দেশি এই জুতার তাকগুলো তৈরি করা হয় গর্জন বোর্ড দিয়ে। দুই দরজার তাকগুলোর উচ্চতা ৩ ফুট আর প্রস্থ ১৪ ইঞ্চি। তাকের ভেতরে রয়েছে ৩টি ধাপ, যাতে ৭ জোড়া জুতা রাখা যাবে।

নান্দনিক ও সৃজনশীল আসবাব নিয়ে কাজ করে বহু। অভিজাত জুতার তাক চাইলে ঢুঁ দিতে পারেন এখানে। একেবারে দেশি উপকরণ সেগুন কাঠ ও সেগুন কাঠের বোর্ডের মিশেলে তৈরি করা এই জুতার তাকে ২০ থেকে ৪০ জোড়া জুতা রাখা সম্ভব। দুই দরজাবিশিষ্ট পাল্লায় ছোট ছোট ছিদ্র আছে, যেন ভেতরে বাতাস চলাচল করতে পারে এবং জুতার গন্ধ না হয়। দাম পড়বে ২২ হাজার টাকা। চাইলে অনলাইনেও ফরমাশ দিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে ৮০০ টাকা ডেলিভারি চার্জ যোগ করতে হবে। তবে এই সুবিধা শুধু ঢাকার মধ্যেই।

এ ছাড়া অটবিতে পেয়ে যাবেন কাঠের তৈরি অন্য রকম শু র‌্যাক। এই র‌্যাকগুলো সহজেই ভাঁজ করে খোলা ও বন্ধ করা যায়। সামনে আয়না দেওয়া আছে, যাতে করে জুতা পরে দেখে নেওয়া যাবে। চেস্টনাট রঙের র‍্যাকটির উচ্চতা সাড়ে ৪ ফুট। দাম পড়বে ২৬ হাজার।

জুতা রাখার তাক হোক নান্দনিক
ছবি: নকশা

হাতিলে রয়েছে পাঁচ ধরনের শু র‍্যাক। সিঁড়ির মতো তিন ধাপের ভাঁজ করা র‍্যাকের দাম পড়বে ২৭ হাজার। এ ছাড়া জুতা রাখার তিন ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে, এমন র‌্যাকের দাম ৩৮ হাজার টাকা। এ ছাড়া ড্রয়ার ও তাক দেওয়া র‍্যাক ১১ হাজার ৫০০ টাকা ও আয়না দেওয়া ভাঁজ দেওয়া র‌্যাক ৩৪ হাজার ৮৫০ টাকা।

হাইটেকে আছে ভিন্নধর্মী গদি দেওয়া বসার আসনসহ ভাঁজ দেওয়া র‍্যাক। দাম পড়বে ১৯ হাজার টাকা। এ ছাড়া নাভানা ফার্নিচারে পাওয়া যাবে ৬০০০ থেকে ১২৫০০ টাকার মধ্যে দরজা দেওয়া কাঠের শু র‌্যাক। বাজেট কিছুটা কম হলে ঘুরে আসতে পারেন রিগ্যাল ফার্নিচার থেকে। এখানে ২০০০ থেকে ১৩৫০০ টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন পছন্দের শু র‌্যাক।