জাহাজে চড়ে কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে যেতে পর্যটকদের আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা সময় লাগে। তবে এখন থেকে মাত্র এক ঘণ্টায় এই পথ পাড়ি দিতে পারবেন পর্যটকেরা। এই রুটে আগামী ৬ নভেম্বর গ্রিনলাইন চালু করছে দ্রুতগতির পরিবহনের ‘এমভি গ্রিনলাইন ১’। ৬ নভেম্বর থেকে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত এই জাহাজ দিনে একবার করে যাত্রী পারাপার করবে।
জাহাজটির পরিচালক সুলতান আহমদ জানান, ১২০ জন যাত্রী ধারণক্ষমতার এমভি গ্রিনলাইন-১ প্রায় ৩৪ কিলোমিটারের দীর্ঘ টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে চলাচল করবে। সকাল সাড়ে নয়টায় টেকনাফের স্থলবন্দর থেকে পর্যটকদের নিয়ে জাহাজটি ছাড়বে। এরপর বেলা সাড়ে তিনটায় জাহাজটি সেন্ট মার্টিন থেকে টেকনাফের উদ্দেশে রওনা দেবে। আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এই নৌপথে জাহাজটি চলাচল করবে। টিকিটের মূল্য রাখা হয়েছে ইকোনমি জনপ্রতি ১ হাজার ৬০০ টাকা আর বিজনেস ক্লাস ২ হাজার ১০০ টাকা। ইতিমধ্যে টিকিট বিক্রিও শুরু হয়েছে বলে তিনি জানান।
গ্রিনলাইন পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আলাউদ্দিন জানান, ২০১৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর এই জাহাজ সার্ভিস চালু হয়। এর পাশাপাশি পর্যটকদের সেবা দিতে ১ নভেম্বর থেকে ঢাকা-টেকনাফ রুটে গ্রিনলাইন এসি বাস চলাচল করবে।
টেকনাফ–কক্সবাজার নৌরুটে কেয়ারি সিন্দাবাদ ও কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন এবং বে ক্রুজ নামের তিনটি জাহাজের সারা বছর চলাচলের অনুমতি রয়েছে। তবে পর্যটন মৌসুম শুরু হলে এই রুটে যাত্রীর সংখ্যা বেড়ে যায় বলে জাহাজের সংখ্যাও বাড়ে।
কেয়ারি সিন্দাবাদ ও কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন জাহাজের কক্সবাজারের ব্যবস্থাপক মো. হুমায়ুন কবির বলেন, এই নৌপথে সারা বছর চলাচলের জন্য তিনটি জাহাজের অনুমতি রয়েছে। বাকিগুলো পর্যটন মৌসুমের কয়েক মাস চলাচল করে। এসব জাহাজের ভাড়া ৪৫০ থেকে দেড় হাজার টাকা।
সেন্ট মার্টিন কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি মো. ছিদ্দিকুর রহমান জানান, ঈদের পর থেকে জাহাজ ও ট্রলার চলাচল শুরু হয়েছে। এ কারণে পর্যটকের আগমনও বাড়ছে।
সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল আমিন জানান, পর্যটন মৌসুমকে কেন্দ্র করে এই নৌপথে গত বছর ১০টি জাহাজ চলাচল করেছিল। এবারও তাই আশা করা হচ্ছে। নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত টানা পাঁচ মাস সেন্ট মার্টিন দ্বীপ পর্যটকে ভরপুর থাকবে।