
দুনিয়াজুড়ে টেডি বিয়ার নামের জনপ্রিয় ‘সফট টয়’ নিয়ে মানুষের আগ্রহের কমতি নেই। তবে এই টেডি বিয়ারের উৎপত্তির ইতিহাস ঘাঁটলে জানা যায় মজার এক ঘটনা। ১৯০২ সালের নভেম্বর মাসের কথা। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি থিওডর রুজভেল্ট একদিন মিসিসিপির জঙ্গলে শিকারে বের হলেন। কিন্তু সারা দিন জঙ্গলে ঘুরে তিনি কিছুই শিকার করতে পারলেন না। রাষ্ট্রপতির সঙ্গীরা ভাবলেন, শিকারে এসে রাষ্ট্রপতি যদি একটি ভালুক শিকার করতে না পারেন ব্যাপারটা কেমন হয়! নিজেরাই উদ্যোগী হলেন। রাষ্ট্রপতির অগোচরে একটা ভালুক বেঁধে আহ্বান জানালেন শিকারের। কিন্তু বিধিবাম, রাষ্ট্রপতি গুলি করতে অস্বীকৃতি জানালেন। তিনি বুঝতে পেরে ভালুকটিকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিলেন।
রাষ্ট্রপতির এই চমৎকার ঘটনাটি পত্রিকা মারফত জেনে যায় সবাই। মহৎ কাজ ভেবে সেটা স্মরণীয় করে রাখার উদ্যোগ নেন নিউইয়র্ক শহরের এক দম্পতি। ব্রুকলিনের দোকানদার মরিস মিচটম ও তাঁর স্ত্রী রোজ একটি তুলতুলে ভালুকসদৃশ পুতুল তৈরি করেন। পরবর্তী সময়ে তাঁরা পুতুলটিকে বাণিজ্যিকভাবে বিক্রির জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে অনুমতি চান। অনুমতি চাওয়ার কারণ, পুতুলটির নামকরণ। তাঁরা রাষ্ট্রপতির ডাকনাম ‘টেডি’ ব্যবহার করতে চান পুতুলটির নাম হিসেবে। চিঠি পেয়ে রাষ্ট্রপতিও রাজি হয়ে যান। এরপরই আনুষ্ঠানিকভাবে বাজারে আসে টেডি বিয়ার।
অবশ্য ভিন্নমতও পাওয়া যায় টেডি বিয়ার সম্পর্কে। ১৯০০ সালের গোড়াতেই জার্মান খেলনা ব্যবসায়ী মার্গারেট স্টিফ বিভিন্ন জীবজন্তুসদৃশ পুতুল বানাতেন। যার অন্যতম ছিল ভালুক। তবে রাষ্ট্রপতি থিওডর রুজভেন্টের নামে তৈরি টেডি বিয়ারের সঙ্গে সেটা প্রতিযোগিতায় টিকতে পারেনি।
হিস্ট্রি ডটকম অবলম্বনে