চকলেট আর কার্টুনের মধ্যে একটা মিল আছে। আকাঙ্ক্ষাটা ছোটবেলায় বেশি থাকে, কিন্তু বুড়ো হলেও যেতে চায় না। পরিসংখ্যানেও তারই প্রতিফলন দেখা যায়: বিশ্বব্যাপী দৈনিক ১০০ কোটির বেশি মানুষ চকলেট খেয়ে থাকে। নারী-পুরুষনির্বিশেষে চকলেট পছন্দ করলেও কিছু গবেষণায় দেখা যায়, চকলেটের প্রতি পুরুষদের যতটা টান, নারীদের টান তার চেয়ে অনেক বেশি। সে যাই হোক, সব চকলেট কিন্তু এক নয়। তৈরির প্রক্রিয়া ও উপাদানভেদে চকলেটের ধরন নির্ধারণ করা হয়। চকলেটের সবচেয়ে জনপ্রিয় ধরনের দুটি হলো ডার্ক ও মিল্ক চকলেট।
কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে বটে, তবে স্বাস্থ্য সচেতন মানুষদের দুটোই এড়িয়ে যাওয়া উচিত বলে উল্লেখ করেন বারডেম জেনারেল হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ শামসুন্নাহার নাহিদ। তিনি বলেন, ‘দুই ধরনের চকলেটের সবচেয়ে বড় উপকারিতা হলো চটজলদি শরীরে শক্তি জোগায়। কিন্তু উপকারের চেয়ে ক্ষতির দিকটাই বেশি। ডার্ক চকলেটের তুলনায় মিল্ক চকলেট কিছুটা ভালো, কারণ এতে দুধের পুষ্টিগুণ থাকে।’
প্রতি ১০০ গ্রাম ডার্ক ও মিল্ক চকলেটের পুষ্টিগুণের একটা তালিকা এখানে তুলে ধরা হলো।
খাদ্য উপাদান ডার্ক চকলেট মিল্ক চকলেট
ক্যালরি ৫৯৮ ৫৩৪
মোট চর্বি ৪২.৬ গ্রাম ২৯.৭ গ্রাম
কোলেস্টেরল ৩ মিলিগ্রাম ২৩ মিলিগ্রাম
সোডিয়াম ২০ মিলিগ্রাম ৭৯ মিলিগ্রাম
কার্বোহাইড্রেট ৪৫.৯ গ্রাম ৫৯.৪ গ্রাম
প্রোটিন ৭.৮ গ্রাম ৭.৭ গ্রাম
ক্যালসিয়াম ৭৩ মিলিগ্রাম ১৮৯ মিলিগ্রাম
পটাশিয়াম ৭১৫ মিলিগ্রাম ৩৭২ মিলিগ্রাম
সূত্র: ক্যালরি কিং
ডার্ক চকলেট
এ ধরনের চকলেটের প্রধান উপকরণ কোকো পাউডার। আর কোকো পাউডার ছোটদের রক্তের কিছু উপাদান বাড়িয়ে দেয়। যারা স্নায়ুর সমস্যায় ভুগছে কিংবা হাইপার-অ্যাকটিভ শিশুদের ক্ষেত্রে ডার্ক চকলেট না খেতে দেওয়ার পরামর্শ দেন শামসুন্নাহার নাহিদ।
মিল্ক চকলেট
মিল্ক চকলেটের মিল্ক পাউডারের জন্য এতে ডার্ক চকলেটের তুলনায় ভিটামিন, ক্যালসিয়াম ও অন্যান্য কিছু খনিজ উপাদান বেশি থাকে। আর তাই তুলনা করতে চাইলে মিল্ক চকলেটকেই এগিয়ে রাখেন শামসুন্নাহার নাহিদ। দুই ধরনের চকলেটই দাঁতের জন্য ক্ষতিকর।