তালা-চাবির খোঁজে

তালা-চাবির মানের ওপর নির্ভর করে আপনার সুরক্ষা। মডেল: মাহারিয়া, ছবি: নকশাতালা-চাবির মানের ওপর নির্ভর করে আপনার সুরক্ষা। মডেল: মাহারিয়া, ছবি: নকশা
তালা-চাবির মানের ওপর নির্ভর করে আপনার সুরক্ষা। মডেল: মাহারিয়া, ছবি: নকশাতালা-চাবির মানের ওপর নির্ভর করে আপনার সুরক্ষা। মডেল: মাহারিয়া, ছবি: নকশা

‘বন্ধু তিন দিন তর বাড়িত গেলাম, দেখা পাইলাম না...’। বিখ্যাত কণ্ঠশিল্পী রুনা লায়লার এ গানটা মনে আছে তো? গানের আরেকটি অংশ এমন—‘ঝড়বৃষ্টি মাথায় লইয়া গেলাম রাইতের বেলা, গিয়া দেখি কাঠের দরজায় লোহার একখান তালা, চাবি লইয়া নিঠুর কালা তুই তো আইলি না...’। ফলাফল, বন্ধুর সঙ্গে দেখা হলোই না। সময় এগিয়েছে, বন্ধু বাসায় আছে কি নেই, সেটা জেনেই যাওয়া যাবে। আর বাসায় বন্ধু এলে তো তাকে স্বাগত জানানোই হবে। তবে চোর-ডাকাত বলে-কয়ে আসে না, আর তাদের ঠেকাতে চাই জোরালো নিরাপত্তাব্যবস্থা। বাড়িঘরের নিরাপত্তাটা অনেকাংশেই নির্ভর করে তালা-চাবির ওপর।

তালা-চাবির রকমফের
নিরাপত্তার ক্ষেত্রভেদে তালার রকমফের অনেক। ঘরের দরজা থেকে শুরু করে আলমারি, শোকেস, ড্রয়ার, পড়ার টেবিলের, বাড়ির প্রধান ফটক, দোকানপাটের কলাপসিবল গেট; সবখানেই নিরাপত্তা দেওয়া হয় তালা দিয়েই। স্বয়ংক্রিয়ভাবে ঘর তালাবদ্ধ করার জন্য আছে অটো লকও। অটো লকের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে আপনি ঘরে ঢোকার সময় চাবি দিয়ে ঢুকবেন আর ঘর থেকে বেরোনোর সময় চাবি ঘোরাতে হবে না। দরজাটা একটু টেনে নিলেই হলো, আপনাআপনি বন্ধ হয়ে যাবে। আবার ঢোকার সময় চাবি দিয়ে ঢুকতে হবে। শুধু তা-ই নয়, চলার পথের সঙ্গী যে সাইকেল কিংবা মোটরসাইকেল, সেসবের চুরি ঠেকাতেও রয়েছে তালার ব্যবহার।

আকার-আকৃতিতে ছোট থেকে বড়, চারকোনা, গোলাকার, ডিম্বাকার, লম্বাটে এমনকি লতানো আকারের নমনীয় তালাও মেলে বাজারে। তালায় সাধারণত দেখা যায় কালো, সোনালি, তামাটে, রুপা, চকলেট, সাদা ইত্যাদি রং। কেউ সরাসরি তালা ব্যবহার করেন, কেউবা আবার তালা ব্যবহার করেন শিকলে জড়িয়ে। সে ক্ষেত্রে শিকলের প্রতিটি লুপের আকার অনুসারে তালার আকার নির্ধারণ করতে হয়। চাবির তালার পাশাপাশি আছে কম্বিনেশন লক। এই তালার চাবি হলো সংখ্যা। নম্বর মিলিয়ে মিলিয়ে তালা খোলা ও বন্ধ করা যায়।

দরদাম

আকার ও মানভেদে সাধারণ তালা কেনা যাবে। ২০ টাকা দামেও পাওয়া যায় তালা। বাজারে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত দামের তালা রয়েছে। গোলাকার হাতল ঘুরিয়ে যে দরজা খোলা হয়, সেই অটো লকের দাম ৩০০ থেকে ৫ হাজার টাকা। সদর দরজার নকশা করা বড় হাতলের আকর্ষণীয় একেকটি ‘হ্যান্ড লক’–এর দাম পড়বে ১ হাজার থেকে ৯০ হাজার টাকার মধ্যে। আলমারির তালার দাম ১৫০ থেকে ৪০০ টাকা। ড্রয়ারের জন্য ছোট গোল তালা মিলবে ৩০ থেকে ২২০ টাকার মধ্যে। সাইকেল ও মোটরসাইকেলে ব্যবহৃত বিশেষ তালা কিনতে পারবেন ২৫০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে।

কোথায় পাবেন

প্রায় শতাধিক দোকান নিয়ে তালা-চাবির বিশাল বাজার ‘কাব্য কস সুপার মার্কেট’ রয়েছে ঢাকার কারওয়ান বাজারে। ঢাকা তো বটেই, দেশের বিভিন্ন স্থানেও তালা-চাবি যায় এখান থেকে। এ ছাড়া কারওয়ান বাজার কিচেন মার্কেটের দোতলা, নিউমার্কেট ও গুলশান ডিসিসি মার্কেটের নিচতলা, পুরাণ ঢাকার গুলিস্তান, নবাবপুর, চকবাজারসহ দেশের প্রায় সর্বত্র হার্ডওয়্যারের দোকানে পাবেন তালা-চাবির খোঁজ।