তোমাকে অক্সিজেনের মতো চাই

তোমাকে অক্সিজেনের মতো চাই

জানি, তুমি খুব একটা ভালো নেই। জীবনে ভালো থাকতে গেলে ভালো লাগা থাকতে হয়; যা তুমি নিজেই নষ্ট করে ফেলেছ। ভালো থাকতে যা চেয়েছ, তা অসম্ভব ছিল না, কিন্তু কঠিনেরে জয় করতে যে নিজেকেও কঠিন হতে হয়। হয়তো তুমি তা হতে পারনি। আমার জীবনেও তুমি তুফানের মতো দু–একবার এসে বলেছিলে ‘ভালোবাসবে আমাকে?’ কী জবাব দেব তোমাকে আমি? আমি তো তোমাকে অক্সিজেনের মতো চাই। তুমি আমার অক্সিজেন হতে পারলে না। অক্সিজেনের অভাবে শ্বাসকষ্টে ভোগালে আমাকে। তা–ও শয়ে গিয়েছি আমি, তবুও তোমাকে চেয়েছিলাম। কিন্তু তুমি আমাকে বুঝলে না। হয়তো তুমি জানতেই পারনি, তোমাকে কেউ এতটা ভালোবাসে।

তুমি আমার অক্সিজেন হলে তোমার কি ভীষণ সমস্যা হয়ে যেত? এখনো অপেক্ষায় থাকি হয়তো তুমি এসে আমার শ্বাসকষ্ট কমাবে। সত্যি আসবে তো?

গোকুল চন্দ্র রায়, নীলফামারী

অন্য রকম টান

ছোটবেলা থেকেই পাখিদের প্রতি অন্য রকম একটা টান আমার। যখন প্রাথমিকে পড়তাম, বিকেলবেলা ঘুড়ি ওড়াতাম। সুতা ধরে উড়ন্ত ঘুড়ির দিকে তাকিয়ে ভাবতাম, আহ্, যদি ঘুড়ির মতো উড়তে পারতাম! কত মজাই না হতো। উড়ন্ত পাখির দিকে তাকিয়ে ভাবতাম, আহা পাখির মতো যদি ডানা থাকত, কত মজাই না হতো। উড়ে উড়ে পাহাড় ডিঙাতাম, পাড়ি দিতাম নদী-সাগর। এমন ভাবনার রেশ রেখেই ফসল খেতের আইল বেয়ে ছুটে চলেছি, দুহাত মেলে পাখির মতো ওড়ার চেষ্টা করেছি।

আহ্! দুরন্ত সেই শৈশবকাল। মনে পড়লেই আফসোস লাগে। আর এখন এই প্রযুক্তির যুগে স্থিরভাবে ব্যস্ত থাকি মুঠোফোনে, টেলিভিশনে। কী করলে ভালো লাগবে, সেটাই বুঝে উঠতে পারি না আজকাল। মন থেকে বিরক্তির ছাপ যেন কাটতেই চায় না। শুধু ফিরে যেতে ইচ্ছে করে শৈশবে।

জোয়ার্দার হাফিজ, দৌলতপুর, মানিকগঞ্জ।

ফিরে আসেন, প্লিজ

খুব ইচ্ছে হয় আপনাকে ফিরে পেতে। খুব মনে পড়ে আপনাকে। অনেক বেশি মিস করি। আমার পৃথিবীজুড়েই শুধু আপনি। আমার দিনের শুরু হয় আপনাকে নিয়ে ভাবতে ভাবতে আর শেষও হয় আপনাকে নিয়ে ভাবতে ভাবতে। পুরো দিনটাই কাটে ভাবতে ভাবতে। অনেক বেশি ভালোবাসি যে আপনাকে। আপনি কি পারেন না আবার ফিরে আসতে। আপনি ফিরে আসেন, প্লিজ।

আপনার ফিরে আসার অপেক্ষায় রইলাম। আপনার ‘হানি বান’ আপনার জন্য অপেক্ষা করছে।

নাহিদ রহমান, খুলনা

তুই ভালো থাক বন্ধু

রোলমেট, মেডিকেলে এসে পাওয়া সবচেয়ে ভালো ফ্রেন্ড। প্রথম দিকে তোকে দেখে মনে হয়েছিল মিশুক না। কিন্তু আস্তে আস্তে একসঙ্গে আইটেম দেওয়া, অল্প অল্প রিডিং রুমে পড়াশোনা করতে করতে ফ্রেন্ডশিপটা অনেক মজবুত হয়ে গেছে।

আমি এমনিতে সবার সঙ্গে বেশি কথা বলি না। নিজের মতো করে একা থাকতে পছন্দ করি। কিন্তু তুই আলাদা। আমি সব কথা তোর সঙ্গে শেয়ার করি। জানি না, এই ফ্রেন্ডশিপ কত দিন ঠিকবে। কিন্তু তুই সব সময় ভালো থাকিস। তোর সব মনের ইচ্ছা পূরণ হোক, সেই দোয়া করি।

তোর রোলমেট

কেমন আছ তুমি

পিচ্চি, কেমন আছ তুমি? আমি তো ভালো নেই। চোখে ঘুম নেই। মুখে হাসি নেই। হাসতেও ভুলে গেছি আমি। কারণ, তুমি নেই। জানো, আজকে মিটিমিটি আলো জ্বলছে। নক্ষত্ররাজিরাও তার সঙ্গে আলো ছড়াচ্ছে। কিন্তু আলোর বিচ্ছুরণ আমাকে মুগ্ধ করতে পারছে না। কারণ, তুমি নেই। আমাদের দুজনার কত স্বপ্ন আর অভিলাষ ছিল, একসঙ্গে পাশাপাশি বসে দুজন দুজনার উষ্ণতা মেখে রাতের আকাশ দেখব।

গল্প-কবিতা ও রসিকতায় কাটাব সারাটা রাত। আজ যেন সবকিছু থমকে গেছে। আচ্ছা, তোমাকে যে রোজ ডায়েরি লিখতে বলেছিলাম—লিখছ তো?

আসআদ শাহীন, লালপুর, নাটোর