দইয়ের সঙ্গে অনেকে চিড়া মিশিয়ে খেয়ে থাকেন। কেউ কেউ আবার পছন্দ করেন দইবড়া। রমজান মাসেও অনেকে ইফতারের সময় খেয়ে থাকেন এই দুটি খাবার। বারডেম জেনারেল হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ শামসুন্নাহার নাহিদ বলেছেন, দইবড়ার চেয়ে দই-চিড়া খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। দুই খাবারের গুণাগুণ এবং অপকারিতা নিয়ে বলেছেন এই পুষ্টিবিদ।

দই-চিড়া
এতে দই ও চিড়া দুটি খাদ্য থাকে। দুটি খাবারেরই আলাদা গুণাগুণ আছে। একসঙ্গে দুটি খাবার যোগ করা হলেও গুণাগুণ কমে না। দই পরিপাকে শক্তিবর্ধকের কাজ করে। এটি উচ্চ ক্যালসিয়াম ও প্রোটিনযুক্ত খাবার। সারা দিন রোজা রাখার পর দই খেলে যেটি হয়, তা হলো শরীরের শুকিয়ে যাওয়া কোষগুলো উজ্জীবিত হয়। পেট ফুলে যেতে দেয় না। এটি সহজে হজম হয়। অন্যান্য খাবারও হজম হতে সাহায্য করে। অন্যদিকে চিড়ায় শর্করা থাকে। শরীর ঠান্ডা রাখে এবং শরীরে শক্তি দেয়। এ ছাড়া ব্লাড সুগারও বাড়ায় না। তবে যাঁদের ডায়াবেটিস আছে, তাঁদের টক দই মেশানো দই-চিড়া খাওয়া উচিত।

দইবড়া
রান্না করা ডালের সঙ্গে দই যোগ করা হলে এতে গুণাগুণে পরিবর্তন আসে। অধিকাংশই খেসারির ডাল দিয়ে দইবড়া বানান। এটি শরীরের জন্য খুবই খারাপ। তবে অন্য যেকোনো ডাল হলে সমস্যা নেই। দই থাকায় এটি উচ্চ ক্যালসিয়াম এবং উচ্চ প্রোটিনজাতীয় খাবার। যাঁদের অ্যাসিডিটি, আলসার, কিডনি ও দাউদের সমস্যা আছে, তাঁদের দইবড়া খাওয়া উচিত নয়।
গ্রন্থনা: অধুনা প্রতিবেদক