দাঁতের জন্য বড় ব্রাশ, না ছোট ব্রাশ?

ঝকঝকে দাঁতে সুন্দর হাসিছবি: নকশা

নিয়ম করে দাঁত ব্রাশ, কুলকুচা, মাড়ি মালিশ—দৈনন্দিন এই কাজগুলো করলেই দাঁত ভালো থাকবে, এমনটা ভেবে নেওয়ার কোনো কারণ নেই। এই কাজগুলো করার পরও দাঁতে সমস্যা হতে দেখা যায়। তাই দাঁতের সুস্থতায় কাজগুলো করলেই শুধু হবে না, করতে হবে ঠিকঠাকমতো।

বড় ব্রাশ না ছোট ব্রাশ

শুধু দাঁত ব্রাশ করলেই হবে না, মানতে হবে সঠিক নিয়ম, করতে হবে ঠিকঠাকমতো। ডানে–বাঁয়ে করে দাঁত ব্রাশ করাটা ভুল প্রক্রিয়া। ওপর-নিচ করে দাঁত ব্রাশ করতে হবে দুই থেকে তিন মিনিট। অনেকেই ভাবেন, বড় হয়ে গেলেই বুঝি বড় ব্রাশ ব্যবহার করতে হবে, তা কিন্তু নয়। খেয়াল রাখতে ব্রাশটি মাড়ির শেষ সীমানা পর্যন্ত পৌঁছাচ্ছে কি না। আর সেটা বেবি টুথ ব্রাশ হলেও অসুবিধা নেই। তবে ব্রাশ কেনার আগে খেয়াল রাখতে হবে, ব্রাশের ওপরের অংশটি যেন নরম হয়। শক্ত হলে মুখের চামড়ার ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তিন মাস পরপর অবশ্যই টুথ ব্রাশ বদলে ফেলতে হবে।

দাঁতে কোনো সমস্যাবোধ না করলেও চিকিৎসকের কাছে বছরে একবার হলেও যাওয়া প্রয়োজন
ছবি: নকশা

স্কেলিং কেন জরুরি

দাঁতের নিয়মিত যত্ন নিশ্চিত করতে বছরে একবার হলেও চিকিৎসকের কাছে যাওয়া ভালো। দাঁতে দীর্ঘদিনের জমে থাকা ময়লা পরিষ্কারের জন্য ছয় থেকে এক বছরের মধ্যে স্কেলিং করানো জরুরি। দাঁতের ওপর পাথরের স্তর জমতে দেওয়া যাবে না। এতে দাঁতের গোড়া দিয়ে রক্ত বেরিয়ে আসবে। মুখে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হবে, জানালেন শমরিতা মেডিকেল কলেজের সাবেক চিকিৎসক ও প্রভাষক নাজমুল ইসলাম। রাতে খাওয়া শেষে দাঁত ব্রাশের পর অবশ্যই মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করতে হবে। মাউথ ওয়াশ ব্যবহারের পর পানি ছাড়া আর কিছুই খাওয়া যাবে না। আধঘণ্টার মধ্যে পানিও খাওয়া ঠিক নয়।

দাঁতের ঘরোয়া টোটকা

আমাদের ঘরে থাকা সামগ্রী দিয়েও দাঁতের যত্ন নেওয়া যায়। টুথ পেস্টের সঙ্গে লবঙ্গের পেস্ট যুক্ত করে দাঁত ব্রাশ করলে দাঁতের গোড়া শক্ত হয়, জানালেন রূপবিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা। নিমপাতা, দারুচিনির পেস্টও দাঁতের জন্য ভালো। দাঁতের ব্যথা কমাতে গরম পানিতে নিমপাতা, লবণ কিছুক্ষণ রেখে কুলকুচি করলে ভালো কাজ দেয়। তবে দাঁতের প্রধান ঘরোয়া টোটকা হতে পারে লবঙ্গ। দিনে একবার শুধু লবঙ্গ বেটেও যদি দাঁতে লাগানো হয়, তাহলে দেখবেন, মুখমণ্ডলে জমে থাকা নীরব রোগগুলো অনেকটাই চলে গেছে। দাঁতের হলদে ভাব দূর করতে লেবুর রসের সঙ্গে লবণ মিশিয়ে ব্রাশ করতে পারেন। বিবর্ণ দাঁত হয়ে উঠবে ঝকঝকে। আবার মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে সহজ সমাধান হতে পারে কমলার খোসা। প্রতিদিন সকালে কিংবা দিনের যেকোনো সময়ে কমলার খোসা চিবিয়ে খেলে দাঁতের মাড়িও ভালো থাকে।