দুঃখ-কথা লিখলে মনের ভার কমে?

গভীর দুঃখের কথা লিখলে বা কাউকে বললে মনটা নাকি খানিক হালকা হয়। এই আবিষ্কার ১৯৮৬ সালের। মনোবিদ্যার অধ্যাপক জেমস পেনবেকার তখন ছাত্রছাত্রীদের একটা কাজ দিয়েছিলেন। ১৫ মিনিটে তাঁদের ব্যক্তিগত জীবনের সবচেয়ে বেদনার ঘটনা নিয়ে লিখতে বলেন।

শিক্ষকের এই নির্দেশ পালন করার সময় ২০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে অন্তত একজন কান্নায় ভেঙে পড়েন। তবু তাঁরা কেউই লেখা থামাননি। এমন প্রতিক্রিয়া দেখে পেনবেকার সিদ্ধান্ত নিলেন, ব্যাপারটা নিয়মিত চর্চা করাবেন। এভাবে ছয় মাস ওই ছাত্রছাত্রীদের ওপর পর্যবেক্ষণ চালিয়ে দেখা যায়, তাঁরা তুলনামূলক সুস্থ বোধ করছেন। আর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাতায়াতও কমিয়ে দিয়েছেন।

আরও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে পেনবেকার প্রমাণ পেলেন, মনের গভীর গোপন দুঃখগুলো লিখে ফেলায় তাঁর ছাত্রছাত্রীদের উপকারই হয়েছে। অন্য মনোবিদেরাও মানুষের সুস্থতায় অভিব্যক্তিপূর্ণ লেখালেখির প্রভাব নিয়ে অনুসন্ধান চালিয়ে প্রায় একই ধরনের ফলাফল পান। অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্ট থেকে শুরু করে আর্থ্রাইটিস, স্তন ক্যানসার ও মাইগ্রেন রোগীরাও মনের ব্যথার লিখিত বা কথ্য বয়ান করে অল্পবিস্তর উপশমের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন।