দুটি বর্ষা গেল, ক্যাম্পাসে ফেরা হলো না

ঢাকা কলেজে লেখক ও তাঁর বন্ধুরা

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ। ক্যাম্পাসে ফেরা হয় না অনেকদিন হলো। কীভাবে সময় কাটছে, ক্যাম্পাসের কী মিস করছেন—লিখে পাঠাতে পারেন আপনিও। ইমেইলে লেখা পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]। অথবা যোগাযোগ করুন স্বপ্ন নিয়ের ফেসবুক পেজে

দুই সপ্তাহের ছুটির প্রস্তুতি নিয়ে আমরা ক্যাম্পাস ছেড়েছিলাম। দেখতে দেখতে দুই বর্ষা চলে গেল, ক্যাম্পাসে ফেরা হলো না। দিন দিন মনটা আরও বিষণ্ন হচ্ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে ১৮ একরের বিস্তৃত প্রিয় ক্যাম্পাস—ঢাকা কলেজে ফেরার আকুতি। কেমন আছে আমদের প্রিয় প্রাঙ্গণ? প্রশ্নটা যেন মনের অন্তরালে ঘুরপাক খাচ্ছে বেলা অবেলায়।

ক্যাম্পাস ঘিরে কত যে স্মৃতি! আমাদের শহীদ মিনার, বিজয় চত্বর কিংবা কলেজ মাঠের আড্ডায় এখন তো আর কেউ ভিড় জমায় না। কলেজে পা রেখে আমাদের প্রথম কাজ ছিল টংয়ের আড্ডায় যোগ দেওয়া, তারপর ক্লাস। ক্লাস শেষে পুকুরপাড়ে বসে, বন্ধুদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ঝালমুড়ি খেতে খেতে কথা হতো। কখনো আমরা কলেজ মাঠে খেলায় মেতে উঠতাম। জয় বা পরাজয় যা-ই হোক, আনন্দ হতো খুব। মসজিদের মিনার থেকে সু মধুর আজানের ধ্বনি শুনে আমরা ক্যাম্পাসের মসজিদে নামাজ পড়তে যেতাম। লাইব্রেরির কোণে কোনো এক চেয়ারে বসে হারিয়ে যেতাম বইয়ের পাতায়।

এখন তো আর এমন হয় না। কলেজের প্রতিটি আবাসিক হল এখন বোধ হয় পোকামাকড়ের দখলে। ধুলো-বালুতে একাকার আমাদের পড়ার টেবিল আর শোবার খাট। নীরবে নিভৃতে হয়তো ক্যাম্পাসও আমাদের জন্য। হয়তো কলেজ বাসগুলোর সিটের ওপর জমেছে ধুলোর স্তূপ, গায়ে হয়তো জং ধরেছে।

আশা রাখি এই পৃথিবী ফিরবে আগের রূপে, ক্যাম্পাসগুলো মুখরিত হবে শিক্ষার্থীদের পদচারণায়। আমিও ফিরব প্রাণের শিক্ষাঙ্গনে।