নবীনের কণ্ঠে রবীন্দ্রসংগীত

ফুলকির এ কে খান স্মৃতি মিলনায়তনে গান পরিবেশন করেন শমী সুহৃদ
ফুলকির এ কে খান স্মৃতি মিলনায়তনে গান পরিবেশন করেন শমী সুহৃদ

২৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা সাতটা। নবীন সংগীত শিল্পী শমী সুহৃদ দরাজ গলায় গাইছিলেন ‘আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ’। তাঁর সুর মূর্ছনা মুগ্ধতার আবেশ ছড়াল ফুলকির এ কে খান স্মৃতি মিলনায়তনে। সুহৃদের প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন হয়েছে এই ফুলকিতেই। এরপর যোগ দিয়েছেন এখানকারই সংগীত দল রক্তকরবীতে। মাঝে উচ্চ শিক্ষার জন্য গেছেন দেশের বাইরে। এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আবার গানের কাছে, শৈশবের বিদ্যাপীঠের কাছেই যেন ফিরে আসা।
আয়োজনটি ছিল রক্তকরবীর নবীন শিল্পীদের নিয়ে। তাঁদের কণ্ঠসুধা দর্শকদের গভীর নিমজ্জনের আনন্দ দিয়েছে। বাড়তি পাওয়া ছিল আবৃত্তি শিল্পী উদয় শংকর দাশ ও রুবিনা আক্তারের আবৃত্তি।
শুরুতেই ছিল আবৃত্তিশিল্পী উদয় শংকর দাশের পরিবেশনা। তিনি আবৃত্তি করে শোনান ‘হঠাৎ দেখা’, ‘আফ্রিকা’ ও ‘কৃষ্ণকলি’। রবীন্দ্রনাথের এই তিন পাঠকপ্রিয় কবিতা বারংবার পঠনে ও শ্রবণে নতুন হয়ে ওঠে। উদয় শংকরের আবৃত্তি দর্শককে আবারও সেই উপলব্ধি এনে দিল।
উদয়ের পর গান শুরু করেন শমী সুহৃদ। ‘আমার এই পথ চাওয়াতে আনন্দ’ এই গান দিয়ে শুরু করে একে একে গাইলেন ‘তিমির অবগুণ্ঠন’, ‘প্রথম আদি তব’ ‘শান্তি কর বরিষন’সহ বেশ কয়েকটি গান। নবীন এই শিল্পী অনেক দূর যাবেন, গানে গানে যেন এমন প্রতিশ্রুতি দিলেন শ্রোতাদের।
এর পর গাইলেন আমন্ত্রিত অতিথি শিল্পী শান্তা গুহ। ‘সার্থক জনম আমার’, ‘পুরোনো জানিয়া চেও না’, ‘হারমানা হার’, ‘ফাগুন হাওয়ায় হাওয়ায়’ ও ‘যেতে যেতে চাই না যেতে’ শিরোনামের গানগুলো শুনিয়ে তিনিও মুগ্ধ করলেন দর্শককে।
পেশাদার আবৃত্তিশিল্পী বলতে যা বোঝায় রুবিনা আক্তার তা নন। পেশায় শিক্ষিকা রুবিনা কবিতা পড়েন মনের আনন্দে, ভালোবেসে। তবে মঞ্চে উঠে ঠিকই দর্শকের হৃদয় স্পর্শ করলেন তিনি। ‘নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ’ ও ‘প্রশ্ন’ কবিতা শুনিয়ে আবেগে ভাসালেন সবাইকে। অনুষ্ঠানে নতুন মাত্রা যোগ করেছে জিনাত ইসলামের বৈঠকি উপস্থাপনা।