নাক সাজাতেই নথ

নাকের নথ শুধু কনেরাই পরেন—এ ধারণা বদলে গেছে অনেক আগেই। কনে বা বরের বোন অথবা বান্ধবীরাও নথ পরে সাজে ভিন্নতা আনার চেষ্টা করেন। শুধু বিয়েতে নয়, ঘরোয়া অনুষ্ঠানগুলোতেও নথ পরা যায়। পরিবেশ ও চেহারার সঙ্গে মানিয়ে পরতে পারলেই সবাইকে তাক লাগাতে পারবেন অনায়াসে।
ঘরোয়া নিমন্ত্রণে দরকার গতানুগতিকের বাইরে ভিন্ন নকশার নথ। তবে সেই নথে টানা না থাকলেই ভালো লাগবে দেখতে। গোল রিঙের একপাশে ছোট্ট একটা ফুল বানিয়ে নেওয়া যায়। চাইলে পুঁতি ঝুলিয়ে দেওয়ার ফরমাশ দিতে পারেন আপনার কারিগরকে। বিয়ের অনুষ্ঠানে কনের বাইরে যাঁরা নথ পরতে চান, তাঁদের নথ আকারে একটু ছোট হলেই ভালো। নথের সঙ্গের টানাটি মুক্তা ও পুঁতি দিয়ে সাজিয়ে নিতে পারেন।
দেশি কিংবা বিদেশি সব ধরনের নথেই বিভিন্ন ধরনের পাথর ব্যবহার করা হয়। তবে কনে হিসেবে আপনার নথ হতে হবে পোশাকের সঙ্গে মানানসই। শাড়ির সঙ্গে বাঙালি ঐতিহ্যবাহী নকশার নথ বেশি মানায়। তবে চাইলে বড় নথও পরা যাবে। লেহেঙ্গার সঙ্গে অনেকে মাথায় ঝাপটা পরে থাকেন। লেহেঙ্গার সঙ্গে নাকের নথটা একটু বড় পরলে দেখতে ভালো লাগবে। ছবিতে ব্যবহূত নথগুলোর ভেতরের নকশা কানের দুল থেকে নিয়ে বানানো হয়েছে।
আবরারের স্বত্তাধিকারী আবরারুর রহমান বলেন, ‘অন্যের নথটা বেশি সুন্দর হয়েছে, এই ধারণা থেকে নিজের নথখানি বানাতে গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে। চেহারার সঙ্গে যাচ্ছে কি না, সেটা দেখতে হবে। যাঁদের নাক একটু চ্যাপটা গঠনের, ছোট আকারের নথ তাঁদের মানাবে বেশি। লম্বা নাকের অধিকারীরা বড় ও জমকালো নকশায় চলে যেতে পারেন’।
ঢাকার চাঁদনিচকে রুপার গয়নার দোকানগুলোতেই নথ খুঁজে পাবেন। নিজের পছন্দমতো নকশায় সাজিয়ে নিতে পারবেন নথটিকে। দুল কিংবা গলার হার যেকোনো জায়গা থেকে নকশা দেখালে হুবহু বানিয়ে দেবেন কারিগরেরা। রুপা বা অন্য যেকোন ধাতু দিয়েই বানাতে পারবেন। চাইলে ওপরে সোনার প্রলেপ লাগিয়ে দেবেন। দাম নির্ভর করবে নকশার ওপর।
ঢাকার ধানমন্ডি ৭ নম্বর রাস্তায় আবরারে ভিন্নধর্মী নথ পাওয়া যায়। পছন্দমতো যেকোনো নকশার নথ বানাতে পারবেন এখানে। নকশা অনুযায়ী দাম পড়বে এক হাজার ৮০০ থেকে পাঁচ হাজার টাকা।
অ্যারাবিয়ানসে জয়পুরি কুন্দনের নকশা করা নথ পাবেন। এ ছাড়া দেশীয় নকশার নথও পাবেন। দাম পড়বে ৮০০ থেকে দুই হাজার টাকা।



