
ফজর আলী মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত অপরাধী। একাত্তর সালে মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাঁর মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেন। কিন্তু ফজর আলী এ বিচার মেনে নেন না। তাঁর দাবি, অন্যায়ভাবে এ বিচার করা হয়েছে। শুরু হয় সত্যের সঙ্গে মিথ্যার দ্বন্দ্ব। গত ২০ ফেব্রুয়ারি নগরের স্টুডিও থিয়েটার মিলনায়তনে উচ্চারণ নাট্য সম্প্রদায় পরিবেশিত রায় নাটকে এভাবেই ফুটে ওঠে সত্য-মিথ্যার দ্বন্দ্ব। আহমেদ তুষারের গল্প অবলম্বনে নাটকটির নাট্যরূপ দিয়েছেন শামীম আহমেদ। নির্দেশনায় ছিলেন সাদেকুল হক।
মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ফজর আলীর শাস্তি কার্যকরের পূর্বমুহূর্তকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয় নাটকের কাহিনি। যেখানে ফজর আলীর ঘুমের মাঝে এক কাল্পনিক চরিত্রের আগমন ঘটে। যে চরিত্রটি ফজরকে তার কৃতকর্মের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। কিন্তু ফজর এসব কথা মেনে নেন না। আত্মপক্ষ ÿসমর্থনে শুরু করেন যুক্তিতর্ক। তাঁর মতে এই শাস্তির আদেশ অন্যায়। অবশেষে এ লড়াইয়ে জয় হয় সত্যের। ফজর স্বীকার করেন তাঁর কৃতকর্মের কথা। আর কৃতকর্মের শাস্তি হিসেবে ফজরের ফাঁসি কার্যকর হয়।
‘হে শহীদ, হৃদয়ে তোমরা রবে চির উজ্জীবিত’ এই স্লোগানে নগরের স্টুডিও থিয়েটার মিলনায়তনে শেষ হয় দুই দিনব্যাপী নাট্যমেলা। চট্টগ্রাম গ্রুপ থিয়েটার ঐক্য পরিষদের আয়োজনে গত ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় এ নাট্যমেলার। আয়োজনের প্রথম দিন সন্ধ্যা ছয়টায় চট্টল থিয়েটার পরিবেশন করে নাটক মনে মনে বলি এবং সাতটায় উচ্চারণ নাট্য সম্প্রদায় পরিবেশন করে নাটক রায়।
২১ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকেই থিয়েটার ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণ মুখর ছিল সংস্কৃতিকর্মীদের পদচারণে। এদিন সকাল নয়টা থেকে স্টুডিও থিয়েটার মিলনায়তনে পথনাটকের আয়োজন করে বাংলাদেশ পথনাটক পরিষদ চট্টগ্রাম। এতে পথনাটক পরিবেশন করে চট্টল থিয়েটার, অনন্য থিয়েটার ও থিয়েটার গণমুখ।
এ ছাড়া বেলা ১১টায় থিয়েটার স্লোগান পরিবেশন করে নাটক স্বপ্ন সময়। সন্ধ্যা ছয়টায় কাল বা পরশু শিরোনামের নাটক পরিবেশন করে চট্টগ্রাম থিয়েটার। সন্ধ্যা সাতটায় আসর নাট্য সম্প্রদায়ের কবর নাটক পরিবেশনার মাধ্যমে শেষ হয় দুই দিনব্যাপী এ নাট্যমেলার।